বান্ধবীর আশা পূরণের যুদ্ধ শুরু বন্ধুর
মাথায়, হাতে-পায়ে এখনো ব্যান্ডেজ বাঁধা। ডান পায়ে ছয়টা সেলাই। চোখের তলায় কালসিটে। সারা শরীরে লোহার রডের আঘাত। কিন্তু শরীরের এই যন্ত্রণা এখন আর তাঁকে ততটা কষ্ট দেয় না। মানসিক আঘাত সেই যন্ত্রণা ছাপিয়ে গেছে।
২৮ বছরের এ যুবক চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পান রাতের বাসে তাঁর চোখের সামনে বান্ধবীর ওপর গণধর্ষণ, নৃশংস মারধর ও যৌন অত্যাচার। দিল্লিতে বসেই তাঁকে শুনতে হয়েছে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে বান্ধবীর মৃত্যুসংবাদ। যে দুঃসহ অভিজ্ঞতার বোঝা তাঁকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
তবে কষ্ট বুকে চেপে ইতিমধ্যে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার লড়াই শুরু করেছেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এ যুবক। ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের সামনে ধর্ষণে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছেন। অভিযোগপত্রে তাঁকেই মামলার প্রধান অভিযোগকারী ও প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে। তাঁর মামা আইনজীবী ডি কে মিশ্রর বক্তব্য, 'শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা নিয়েই এত দিন ও পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলেও এগিয়ে আসবে ও।'
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতের ঘটনা জীবনটাই বদলে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের যুবকটির। বান্ধবীর সঙ্গে 'লাইফ অব পাই' সিনেমা দেখে রাতে বাসে উঠেছিলেন দুজনে। বুঝতে পারেননি, বাসের মধ্যে যাত্রীর ছদ্মবেশে ছয় মাতাল ওত পেতে আছে। বাসে ওঠার পরই বচসা শুরু হয়। এরপর তাঁর সামনেই তরুণীর ওপর গণধর্ষণ চালায় ছয়জন। বাধা দিতে গেলে প্রচণ্ড মারধর করা হয় দুজনকেই। জামাকাপড়ও ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর দুজনকেই বাস থেকে ফেলে দিয়ে চাকার তলায় ফেলার চেষ্টা করে তারা। রক্তাক্ত বান্ধবীকে কোনোরকমে টেনে তখনকার মতো প্রাণে বাঁচালেন। বাকি ঘটনা সবারই জানা।
ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর দিল্লিতে এসে চার বছর ধরে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন ওই যুবক। পরিবারের সদস্যরা বলেছে, ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি একবারে শান্ত হয়ে গেছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কথাবার্তা বলছেন না। যে কয়েক দিন তরুণীর চিকিৎসা চলেছে, উত্তাল ছিল গোটা দেশ, তিনি শুধু খবরের চ্যানেল দেখেছেন। বান্ধবীর মৃত্যুর খবরও টিভি দেখেই জেনেছেন। এখন আছেন গোরক্ষপুরে গ্রামের বাড়িতে।
পরিবারের লোকজন বলেছে, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন বান্ধবীকে দেখতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। দুজনের মধ্যে কথাও হয়েছে। তখনই যুবক তরুণীকে জানান, ছয় অভিযুক্তই ধরা পড়েছে। তাদের শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে দাবি উঠেছে। প্রচণ্ড শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যেও এ খবরে আশার আলো ফুটে উঠেছিল ২৩ বছরের ওই তরুণীর মুখে। তিনিও অপরাধীদের কঠোর শাস্তিই চেয়েছিলেন।
বান্ধবীর সেই আশা পূরণ করতেই সাক্ষ্য দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন ওই যুবক। শুধু দোষীদের শাস্তি নয়, ধর্ষণবিরোধী আইন কঠোর করার প্রক্রিয়াও এই মামলার সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইছেন তিনি। যুবকের বাবা ও মামা দুজনই আইনজীবী। যুবকের মামা জানান, ছয় অভিযুক্তের মধ্যে একজন নিজেকে নাবালক বলে দাবি করলেও তার যাতে একই সঙ্গে বিচার হয়, সেই দাবিও জানাবেন তাঁরা। মামা ডি কে মিশ্রর মতে, অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার করলে ১৫ দিনেই মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে। না হলে দুই-তিন মাস লাগবে। সূত্র : আনন্দবাজার।
তবে কষ্ট বুকে চেপে ইতিমধ্যে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার লড়াই শুরু করেছেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এ যুবক। ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের সামনে ধর্ষণে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছেন। অভিযোগপত্রে তাঁকেই মামলার প্রধান অভিযোগকারী ও প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে। তাঁর মামা আইনজীবী ডি কে মিশ্রর বক্তব্য, 'শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা নিয়েই এত দিন ও পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলেও এগিয়ে আসবে ও।'
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতের ঘটনা জীবনটাই বদলে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের যুবকটির। বান্ধবীর সঙ্গে 'লাইফ অব পাই' সিনেমা দেখে রাতে বাসে উঠেছিলেন দুজনে। বুঝতে পারেননি, বাসের মধ্যে যাত্রীর ছদ্মবেশে ছয় মাতাল ওত পেতে আছে। বাসে ওঠার পরই বচসা শুরু হয়। এরপর তাঁর সামনেই তরুণীর ওপর গণধর্ষণ চালায় ছয়জন। বাধা দিতে গেলে প্রচণ্ড মারধর করা হয় দুজনকেই। জামাকাপড়ও ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর দুজনকেই বাস থেকে ফেলে দিয়ে চাকার তলায় ফেলার চেষ্টা করে তারা। রক্তাক্ত বান্ধবীকে কোনোরকমে টেনে তখনকার মতো প্রাণে বাঁচালেন। বাকি ঘটনা সবারই জানা।
ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর দিল্লিতে এসে চার বছর ধরে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন ওই যুবক। পরিবারের সদস্যরা বলেছে, ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি একবারে শান্ত হয়ে গেছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কথাবার্তা বলছেন না। যে কয়েক দিন তরুণীর চিকিৎসা চলেছে, উত্তাল ছিল গোটা দেশ, তিনি শুধু খবরের চ্যানেল দেখেছেন। বান্ধবীর মৃত্যুর খবরও টিভি দেখেই জেনেছেন। এখন আছেন গোরক্ষপুরে গ্রামের বাড়িতে।
পরিবারের লোকজন বলেছে, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন বান্ধবীকে দেখতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। দুজনের মধ্যে কথাও হয়েছে। তখনই যুবক তরুণীকে জানান, ছয় অভিযুক্তই ধরা পড়েছে। তাদের শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে দাবি উঠেছে। প্রচণ্ড শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যেও এ খবরে আশার আলো ফুটে উঠেছিল ২৩ বছরের ওই তরুণীর মুখে। তিনিও অপরাধীদের কঠোর শাস্তিই চেয়েছিলেন।
বান্ধবীর সেই আশা পূরণ করতেই সাক্ষ্য দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন ওই যুবক। শুধু দোষীদের শাস্তি নয়, ধর্ষণবিরোধী আইন কঠোর করার প্রক্রিয়াও এই মামলার সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইছেন তিনি। যুবকের বাবা ও মামা দুজনই আইনজীবী। যুবকের মামা জানান, ছয় অভিযুক্তের মধ্যে একজন নিজেকে নাবালক বলে দাবি করলেও তার যাতে একই সঙ্গে বিচার হয়, সেই দাবিও জানাবেন তাঁরা। মামা ডি কে মিশ্রর মতে, অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার করলে ১৫ দিনেই মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে। না হলে দুই-তিন মাস লাগবে। সূত্র : আনন্দবাজার।
No comments