ইতিহাস গড়লেন তুলসি
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে প্রথম হিন্দু আইনপ্রণেতা হিসেবে শপথ নিলেন তুলসি গ্যাবার্ড (৩১)। হাওয়াই অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত তুলসি আরো একটি বিষয়ে ইতিহাস গড়েছেন।
তিনি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতা হাতে নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করেছেন। ভগবদ্গীতা হাতে শপথ নেওয়ার ঘটনা কংগ্রেসে এই প্রথম।
গত বৃহস্পতিবার তুলসিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার জন বোয়েনার। তুলসি শপথ নেন ভগবদ্গীতা হাতে নিয়ে। এ জন্য তিনি গীতার নিজের কপিটি সঙ্গে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, 'গীতার শিক্ষাই আমাকে জনগণের সেবক-নেতা হওয়ার লড়াইয়ে এবং দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।'
মাত্র ২১ বছর বয়সে হাওয়াই আইনসভায় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তুলসি। ২৩ বছর বয়সে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় পদ ছাড়েন তিনি। যুদ্ধে যাওয়ার জন্য একজন নির্বাচিত সদস্যের পদ ছাড়ার এই ঘটনাও ওই অঙ্গরাজ্যে প্রথম। ২৮ বছর বয়সে প্রথম নারী হিসেবে কুয়েত আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের পক্ষ থেকে সম্মাননা পান তিনি।
তুলসি বলেন, 'গীতা আমার মনের প্রশান্তি ও শক্তির বিরাট এক উৎস। মধ্যপ্রাচ্যে দায়িত্ব পালনের সময় অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার শক্তি ছিল এই গীতা।'
একজন ভারতীয় নাগরিক কিংবা ভারতীয় সংস্কৃতির না হয়েও হিন্দু ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করেন তুলসি। তিনি জানান, বহুজাতিক, বহু সংস্কৃতির, বহু বিশ্বাস ধারণ করে এমন এক পরিবারে তিনি বড় হয়েছেন। তাঁর মা একজন হিন্দু, বাবা ক্যাথলিক চার্চের প্রভাষক। কিশোর বয়স থেকেই আধ্যাত্ম্যবাদী দর্শনকে আঁকড়ে ধরেছেন বলে জানান তিনি। এক সময় তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন, নিজের জন্য বাঁচা নয়, জীবনের গভীর উপলব্ধিই ধর্মের সারকথা। তুলসির বাবা মাইক গ্যাবার্ড বর্তমানে হাওয়াই রাজ্যের সিনেট সদস্য। মা ক্যারল শিক্ষা কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার তাঁরাও শপথ গ্রহণ করেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গত বৃহস্পতিবার তুলসিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার জন বোয়েনার। তুলসি শপথ নেন ভগবদ্গীতা হাতে নিয়ে। এ জন্য তিনি গীতার নিজের কপিটি সঙ্গে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, 'গীতার শিক্ষাই আমাকে জনগণের সেবক-নেতা হওয়ার লড়াইয়ে এবং দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।'
মাত্র ২১ বছর বয়সে হাওয়াই আইনসভায় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তুলসি। ২৩ বছর বয়সে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় পদ ছাড়েন তিনি। যুদ্ধে যাওয়ার জন্য একজন নির্বাচিত সদস্যের পদ ছাড়ার এই ঘটনাও ওই অঙ্গরাজ্যে প্রথম। ২৮ বছর বয়সে প্রথম নারী হিসেবে কুয়েত আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের পক্ষ থেকে সম্মাননা পান তিনি।
তুলসি বলেন, 'গীতা আমার মনের প্রশান্তি ও শক্তির বিরাট এক উৎস। মধ্যপ্রাচ্যে দায়িত্ব পালনের সময় অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার শক্তি ছিল এই গীতা।'
একজন ভারতীয় নাগরিক কিংবা ভারতীয় সংস্কৃতির না হয়েও হিন্দু ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করেন তুলসি। তিনি জানান, বহুজাতিক, বহু সংস্কৃতির, বহু বিশ্বাস ধারণ করে এমন এক পরিবারে তিনি বড় হয়েছেন। তাঁর মা একজন হিন্দু, বাবা ক্যাথলিক চার্চের প্রভাষক। কিশোর বয়স থেকেই আধ্যাত্ম্যবাদী দর্শনকে আঁকড়ে ধরেছেন বলে জানান তিনি। এক সময় তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন, নিজের জন্য বাঁচা নয়, জীবনের গভীর উপলব্ধিই ধর্মের সারকথা। তুলসির বাবা মাইক গ্যাবার্ড বর্তমানে হাওয়াই রাজ্যের সিনেট সদস্য। মা ক্যারল শিক্ষা কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার তাঁরাও শপথ গ্রহণ করেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments