মেডিক্যাল বোর্ড গঠন-স্কুলছাত্রী চম্পাকে হারিয়ে কাঁদছে গ্রামের মানুষ
পাটকাঠির জীর্ণ বেড়া আর টিনের ছাউনির ঘরে ভাঙা টেবিলে বইগুলো সাজানো রয়েছে। দেখে মনে হয় এখনই কেউ যেন পড়া ছেড়ে উঠে গেছে। অথচ বাড়ির উঠানে স্বজনদের বুকফাটা আর্তনাদ। কে কাকে সান্ত্বনা দেবে, কার আছে সেই ভাষা। চম্পা নিশ্চুপ-নিশ্চল শুয়ে আছে কবরে।
ফরিদপুরের কাশিমাবাদ এলাকার মানুষ ভিড় করছে চম্পার কবরের পাশে। তার বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করছে এলাকাবাসী। মেধাবী ছাত্রী জাকিয়া আক্তার চম্পাকে অকালে হারিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কাঁদছে কাশিমাবাদের মানুষ। সবার একটাই দাবি, হত্যাকারীদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
ফরিদপুর সদর উপজেলা কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রামের পিতৃমাতৃহীন জাকিয়া আক্তার চম্পা স্থানীয় পোরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে গত ১৩ ডিসেম্বর চাচাতো বোনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে আনন্দে মেতেছিল চম্পা। ওই দিন সন্ধ্যায় তার চাচতো ভাই সালামের ছেলেমেয়েরা তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি চম্পা। ওই রাতেই ধর্ষণকারীর হত্যাকাণ্ডে চম্পার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। পরে বাড়ির মেহগনি গাছে তার লাশ ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
জানা যায়, চাচাতো ভাই সালামের শ্যালক রাজবাড়ী জেলার সাইবাড়িয়া গ্রামের হাকিম মণ্ডলের ছেলে শামীম ভগি্নপতির বাড়িতে বেড়াতে এসে চম্পাকে উত্ত্যক্ত করত। এক পর্যায়ে চম্পাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয় শামীম। এর পরও স্কুলে যাওয়া-আসার পথে চম্পাকে উত্ত্যক্ত করত শামীম। ওই দিন শামীম কৌশলে চম্পাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।
চম্পার ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র হাসিবুল ইসলাম জানান, '১৪ ডিসেম্বর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ওই দিনই আমি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করি। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক অঞ্জন কুমার দাস লাশের ময়নাতদন্ত করেন। রিপোর্টে চিকিৎসক চম্পার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা ও ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি উল্লেখ করেন। আমি ওই রিপোর্টের আপত্তি জানিয়েছি। চম্পার আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া যারা লাশের গোসল করিয়েছেন তারা তার শরীরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের চিহ্ন দেখেছেন।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের শেখ জানান, মামলার পর এজাহারভুক্ত দুই আসামি সহোদর আবুল খাঁ (৩২) ও হাসেম খাঁকে (২৮) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, 'বাদীর আপত্তির মুখে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ তোলার আবেদন জানিয়ে আমি গত ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করি। আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গত বৃহস্পতিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরে নথি পাঠিয়েছেন।'
ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলাম জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মইন উদ্দিন আহ্মদের নির্দেশে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে চম্পার লাশ তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মেডিক্যাল বোর্ড সদস্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে আজ শনিবার চম্পার লাশ তোলা হতে পারে।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো কালের কণ্ঠকে জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা যায়নি। আজ শনিবার সকালে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হতে পারে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রামের পিতৃমাতৃহীন জাকিয়া আক্তার চম্পা স্থানীয় পোরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে গত ১৩ ডিসেম্বর চাচাতো বোনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে আনন্দে মেতেছিল চম্পা। ওই দিন সন্ধ্যায় তার চাচতো ভাই সালামের ছেলেমেয়েরা তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি চম্পা। ওই রাতেই ধর্ষণকারীর হত্যাকাণ্ডে চম্পার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। পরে বাড়ির মেহগনি গাছে তার লাশ ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
জানা যায়, চাচাতো ভাই সালামের শ্যালক রাজবাড়ী জেলার সাইবাড়িয়া গ্রামের হাকিম মণ্ডলের ছেলে শামীম ভগি্নপতির বাড়িতে বেড়াতে এসে চম্পাকে উত্ত্যক্ত করত। এক পর্যায়ে চম্পাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয় শামীম। এর পরও স্কুলে যাওয়া-আসার পথে চম্পাকে উত্ত্যক্ত করত শামীম। ওই দিন শামীম কৌশলে চম্পাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।
চম্পার ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র হাসিবুল ইসলাম জানান, '১৪ ডিসেম্বর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ওই দিনই আমি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করি। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক অঞ্জন কুমার দাস লাশের ময়নাতদন্ত করেন। রিপোর্টে চিকিৎসক চম্পার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা ও ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি উল্লেখ করেন। আমি ওই রিপোর্টের আপত্তি জানিয়েছি। চম্পার আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া যারা লাশের গোসল করিয়েছেন তারা তার শরীরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের চিহ্ন দেখেছেন।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের শেখ জানান, মামলার পর এজাহারভুক্ত দুই আসামি সহোদর আবুল খাঁ (৩২) ও হাসেম খাঁকে (২৮) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, 'বাদীর আপত্তির মুখে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ তোলার আবেদন জানিয়ে আমি গত ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করি। আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গত বৃহস্পতিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরে নথি পাঠিয়েছেন।'
ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলাম জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মইন উদ্দিন আহ্মদের নির্দেশে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে চম্পার লাশ তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মেডিক্যাল বোর্ড সদস্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে আজ শনিবার চম্পার লাশ তোলা হতে পারে।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো কালের কণ্ঠকে জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা যায়নি। আজ শনিবার সকালে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হতে পারে।
No comments