১০ জানুয়ারি কী হবে?
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ১০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে শাভেজের। কিন্তু অসুস্থতার কারণে প্রায় এক মাস কিউবায় আছেন তিনি। সুস্থ হয়ে কবে দেশে ফিরতে পারবেন বা আদৌ তিনি সুস্থ হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
শাভেজের অনুপস্থিতিতে ভেনিজুয়েলার সরকার ও রাজনীতিতেও জটিল পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা বাড়ছে।
গত অক্টোবরে চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শাভেজ। ভেনিজুয়েলার সংবিধান অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি শপথের পর শাভেজের ছয় বছরের নতুন মেয়াদ শুরুর কথা রয়েছে। কিন্তু সময়মতো শপথ অনুষ্ঠান না হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সংবিধানে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। এই সুযোগে ভেনিজুয়েলার সরকার ও বিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ শপথ অনুষ্ঠান পেছানোর দাবি জানিয়েছেন। অথবা শপথের দিন প্রেসিডেন্টের 'সাময়িক অনুপস্থিতি' ঘোষণার দাবি উঠেছে। তবে শপথ নিতে শাভেজের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিরোধীরা নতুন নির্বাচনের দাবি তুলেছে। নতুন নির্বাচনের জন্য শপথের দিন শাভেজের 'স্থায়ী অনুপস্থিতি' ঘোষণা করতে হবে।
সংবিধানবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ জানুয়ারি শাভেজ যদি শপথ নিতে না পারেন তবে তাঁর 'স্থায়ী অনুপস্থিতি' ঘোষণা করে নির্বাচন আহ্বান করা যথার্থ হবে। ভেনিজুয়েলার সংবিধানে ২৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদে স্থায়ী অনুপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। তাঁদের অভিমত, প্রেসিডেন্টের পদ চালানোর ব্যাপারে শাভেজ শারীরিকভাবে একেবারেই অক্ষম হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তাঁর স্থায়ী অনুপস্থিতি ঘোষণার জন্য সুপ্রিম কোর্ট ও পার্লামেন্ট থেকে এ বিষয়টি অনুমোদন করিয়ে আনতে হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা অসম্ভব মনে হচ্ছে।
শপথের দিন প্রেসিডেন্টের 'অস্থায়ী অনুপস্থিতি' ঘোষণার আরেকটি পথ খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে পার্লামেন্ট স্পিকার দিওসদাদো কাবেইয়ো প্রেসিডেন্টের পদে বসবেন। কিন্তু কাবেইয়ো সংবিধানের ২৩১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসরণের পক্ষে। কোনো কারণে পার্লামেন্টে শপথ নিতে না পারলে সুপ্রিম কোর্টে শপথ নেওয়ার বিকল্প রাখা হয়েছে ওই অনুচ্ছেদে। ওই অনুচ্ছেদে শপথের নির্দিষ্ট কোনো দিন বা স্থান বেঁধে দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একটি দল দাবি করছে, ১০ তারিখেই সুপ্রিম কোর্টে শপথ নেওয়ার সুযোগ শেষ হয়ে যাবে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, শাভেজের দীর্ঘদিনের শাসন থেকে মুক্তি পেতেই বিরোধীরা ১০ জানুয়ারির শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। কিন্তু শাভেজ যদি আবার দায়িত্ব নিতে নাও পারেন, বিরোধীদের নিরাশ হওয়ার কারণ রয়েছে। ব্যাপক জনপ্রিয় শাভেজ ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দলের নেতৃত্বে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করেছেন। অন্যদিকে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো একক কোনো নেতা এখনই নেই বিরোধী দলগুলোর মধ্যে। গত অক্টোবরের নির্বাচনে বড় ব্যবধানের পরাজয়েও বিরোধীদের পিছু না হটার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
গত অক্টোবরে চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শাভেজ। ভেনিজুয়েলার সংবিধান অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি শপথের পর শাভেজের ছয় বছরের নতুন মেয়াদ শুরুর কথা রয়েছে। কিন্তু সময়মতো শপথ অনুষ্ঠান না হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সংবিধানে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। এই সুযোগে ভেনিজুয়েলার সরকার ও বিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ শপথ অনুষ্ঠান পেছানোর দাবি জানিয়েছেন। অথবা শপথের দিন প্রেসিডেন্টের 'সাময়িক অনুপস্থিতি' ঘোষণার দাবি উঠেছে। তবে শপথ নিতে শাভেজের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিরোধীরা নতুন নির্বাচনের দাবি তুলেছে। নতুন নির্বাচনের জন্য শপথের দিন শাভেজের 'স্থায়ী অনুপস্থিতি' ঘোষণা করতে হবে।
সংবিধানবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ জানুয়ারি শাভেজ যদি শপথ নিতে না পারেন তবে তাঁর 'স্থায়ী অনুপস্থিতি' ঘোষণা করে নির্বাচন আহ্বান করা যথার্থ হবে। ভেনিজুয়েলার সংবিধানে ২৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদে স্থায়ী অনুপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। তাঁদের অভিমত, প্রেসিডেন্টের পদ চালানোর ব্যাপারে শাভেজ শারীরিকভাবে একেবারেই অক্ষম হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তাঁর স্থায়ী অনুপস্থিতি ঘোষণার জন্য সুপ্রিম কোর্ট ও পার্লামেন্ট থেকে এ বিষয়টি অনুমোদন করিয়ে আনতে হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা অসম্ভব মনে হচ্ছে।
শপথের দিন প্রেসিডেন্টের 'অস্থায়ী অনুপস্থিতি' ঘোষণার আরেকটি পথ খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে পার্লামেন্ট স্পিকার দিওসদাদো কাবেইয়ো প্রেসিডেন্টের পদে বসবেন। কিন্তু কাবেইয়ো সংবিধানের ২৩১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসরণের পক্ষে। কোনো কারণে পার্লামেন্টে শপথ নিতে না পারলে সুপ্রিম কোর্টে শপথ নেওয়ার বিকল্প রাখা হয়েছে ওই অনুচ্ছেদে। ওই অনুচ্ছেদে শপথের নির্দিষ্ট কোনো দিন বা স্থান বেঁধে দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একটি দল দাবি করছে, ১০ তারিখেই সুপ্রিম কোর্টে শপথ নেওয়ার সুযোগ শেষ হয়ে যাবে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, শাভেজের দীর্ঘদিনের শাসন থেকে মুক্তি পেতেই বিরোধীরা ১০ জানুয়ারির শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। কিন্তু শাভেজ যদি আবার দায়িত্ব নিতে নাও পারেন, বিরোধীদের নিরাশ হওয়ার কারণ রয়েছে। ব্যাপক জনপ্রিয় শাভেজ ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দলের নেতৃত্বে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করেছেন। অন্যদিকে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো একক কোনো নেতা এখনই নেই বিরোধী দলগুলোর মধ্যে। গত অক্টোবরের নির্বাচনে বড় ব্যবধানের পরাজয়েও বিরোধীদের পিছু না হটার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
No comments