সম্পাদকীয় সমীপে- বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী খেলা
বাংলাদেশের অনেক খেলা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। এদেশের জনপ্রিয় খেলাধুলা কানামাছি, দারিয়াবান্ধা, তাস, লুডু, ফুটবল, হাতবল, কাবাডি, হা-ডু-ডু-ডু, লাটিম ইত্যাদি।
খেলাগুলোর মধ্যে বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলার কিছু প্রচলন থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলা হারিয়ে গেছে। পূর্বে প্রতিটি গ্রামের স্কুলের মাঠ, বাড়ির পাশের খালি জমি, হাট-বাজারের মাঠে প্রতিদিন বিকালে ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতা হতো। ঐসব প্রতিযোগিতায় টেলিভিশন, ঘোড়া, ঘড়ি, কাপ, স্বর্ণ, রৌপ্য উপহার হিসেবে দেয়া হতো। এক গ্রামের সঙ্গে অন্য গ্রাম, এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিবাহিত এবং অবিবাহিত, হিন্দু এবং মুসলমান এভাবে প্রতিযোগিতা হতো। গ্রামের মানুষ উৎসাহের সঙ্গে সেই প্রতিযোগিতা দেখে আনন্দ উপভোগ করত। গ্রাম ও শহরের প্রতিটি বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েও বিভিন্নভাবে ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করত। একই রকম ছিল হা-ডু-ডু খেলার ঐতিহ্য। বাংলাদেশে বর্তমানে ক্রিকেট খেলার কারণে সেই হা-ডু-ডু খেলাও মানুষ ভুলে যেতে বসেছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে হা-ডু-ডুসহ ঐতিহ্যবাহী খেলা যেন রূপকথার গল্পের মতো। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে খেলোয়াড় ভাড়া করেও নেয়া হতো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রাম ও ক্লাব পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় যে উৎসব ছিল তার মজা একমাত্র যাঁরা এ খেলা দেখেছেন তাঁরাই বলতে পারবেন। প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়িতে এসে বিকালে নিজ বাড়ির উঠানে এবং পাশের খালি মাঠে দাঁড়িয়াবান্ধা, কানামাছি ও হাতবল খেলত। সন্ধ্যা হলে খেলা ছেড়ে ছেলেমেয়েরা ঘরে ফিরে পড়তে বসত। লুডু খেলাও ছিল অন্যান্য খেলার মতো একটি প্রিয় খেলা। অবসর পেলেই আবালবৃদ্ধবনিতা, গৃহবধূ লুডু খেলতে বসত। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো লুডু খেলায়ও। বৃষ্টি নামলে লুডু খেলা আর খই খাওয়ার ধুম পড়ত। হা-ডু-ডুর মতো কাবাডিও ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। অন্যান্য খেলার মতো কাবাডি খেলার প্রতিযোগিতা হতো মহল্লা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত। তাস খেলাও একটি জনপ্রিয় শখের খেলা ছিল। মানুষ অবসর পেলেই আড্ডা আর তাস খেলায় মেতে উঠত। বর্তমানে তাস দিয়ে সর্বনাশা জুয়া খেলা হয় বলে এর ঐতিহ্য অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে। লাটিম বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি ঐতিহাসিক খেলা। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি ছোট, বড় সবাই বিকাল হলে লাটিম খেলায় ব্যস্ত হয়ে যেত। প্রতিযোগিতা লাগত কে কার লাটিম ফাটাতে পারে। অন্য একটি প্রতিযোগিতা ছিলÑকে কতবড় লাটিম বানাতে পারে। লাটিম ঘোরার ভোঁ ভোঁ শব্দ মানুষের চিত্তবিনোদনের একটি বিষয় ছিল। এছাড়াও অনেক খেলা এখন আর লক্ষ্য করা যায় না। নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যবাহী পুরনো দিনের খেলাধুলার কথা বললে তারা এটাকে নিছক গল্পই মনে করে। বর্র্তমানে আকাশ সংস্কৃতির কারণে ঐতিহাসিক খেলাগুলো বিলুুপ্তির পথে। মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য এগুলোকে ফিরিয়ে আনা উচিত। এ জন্য দরকার সরকারী, বেসরকারী ও সামাজিক সমন্বিত উদ্যোগ।জহিরুল ইসলাম, ঢাকা
সড়কটির মেরামত করতে হবে
আমরা ৩৫নং ওয়ার্ডের বক্সীরহাট, চট্টগ্রামের অধিবাসী অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি। ৩৫নং বক্সীরহাট ওয়ার্ডের সড়কটি এতটাই বিধ্বস্ত যে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি চালানো অসাধ্য হয়ে উঠছে। রাস্তায় এক একটি গর্ত যেন গভীর কূপ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন চাক্তাই, খাতুনগঞ্জের ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দাপটে রাস্তার অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন। মালভর্তি রিক্সা কিংবা ঠেলাগাড়ি প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে; এতে করে রাস্তায় বিপুল যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের অবস্থা এত প্রকট যে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ পারাপারের কোন সুযোগ পায় না। চট্টগ্রামের বর্তমান মেয়রও অঙ্গীকার করেছিলেন রাস্তাটি মেরামতের জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মানুষের প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি খুবই কম। আমি মনে করি, বর্তমান মেয়র অনেকাংশে ব্যর্থ। পয়ঃনিষ্কাশন এবং চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট উন্নয়ন মোটেই চোখে পড়ে না। এমতাবস্থায় ৩৫নং বক্সীরহাট ওয়ার্ডের তথা আছদগঞ্জ সড়কটি জরুরী সংস্কারের জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রণজিত মজুমদার
আছদগঞ্জ, চট্টগ্রাম
বঙ্গবন্ধুর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই
বঙ্গবন্ধু তার “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” নামক গ্রন্থে রামদিয়া এবং রামদিয়ার কৃতী সন্তান চন্দ্রনাথ বোস সম্বন্ধে ১১৮ থেকে ১৯২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অনেক কিছুই লিখেছেন। স্বাধীনতার আগে বঙ্গবন্ধু অনেকবারই রামদিয়ায় এসেছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে সর্বশেষ তিনি রামদিয়ায় এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রামদিয়াকে থানা (বর্তমান উপজেলা) পর্যায়ে উন্নীত করা হবে, যা ১৯৭৫ সালের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধুর রামদিয়ায় এসে থানা ঘোষণা করার কথা ছিল (সে কারণেই হয়ত রামদিয়া উপজেলা নামে মাঝে মাঝে কাশিয়ানী ইউএনও অফিসে সরকারী চিঠি আসে)। কিন্তু দুর্ভাগ্য রামদিয়াবাসীর, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা তাঁকে হারালাম। এখন রামদিয়াবাসী আশায় বুক বেঁধে আছে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকে তিনি রামদিয়াকে উপজেলা পর্যায়ে উন্নীত করবেন। এ ছাড়া নিম্নোক্ত কারণগুলোর জন্যও রামদিয়া উপজেলা হওয়া দরকার। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হলেও অধিকাংশ ইউনিয়নের লোকজন প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন কাজে রামদিয়ার ওপর নির্ভরশীর। ভৌগোলিক দিক দিয়ে কাশিয়ানী উপজেলার এক কর্নারে অবস্থিত, সেদিকে রামদিয়া উপজেলা মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। ফলে কাশিয়ানী উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রমসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সে কারণে কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়নসহ গোপালগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর এবং মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ও মামুদপুর এই দশটি ইউনিয়ন নিয়ে ওই অঞ্চলের লোকজনের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি রামদিয়াকে উপজেলা করা হোক।
রামদিয়ায় রয়েছে একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (১৯৪২), দুটি হাইস্কুল (১৯৪২), দুটি প্রাইমারি স্কুল, আটটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ দুটি প্রি-ক্যাটেড স্কুল। আছে পাঁচটি মসজিদসহ একটি আলিয়া মাদ্রাসা ও তিনটি মন্দিরসহ দুটি আশ্রম, এখানে রয়েছে তিনটি সরকারী ব্যাংকের শাখাসহ ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংক এবং দেশের নামকরা এনজিওগুলোর শাখা অফিস ও বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স এবং ফিনান্সিয়াল অফিস। রয়েছে পল্লী বিদ্যুত অফিস, ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, পোস্ট অফিস, ইউনিয়ন অফিস এবং একটি সরকারী ডাকবাংলো। প্রায় সবগুলো মোবাইল ফোন কোম্পানির এক এবং একাধিক টাওয়ার, দুটি এলজিইডির গোডাউন এবং বিভিন্ন নামকরা কোম্পানির শোরুম রয়েছে। এখানে দুটি সরকারী হাসপাতালসহ পাঁচটি প্রাইভেট ক্লিনিক এবং একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। এ ছাড়া আইটি এবং কম্পিউটারনির্ভর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আছে বিভিন্ন ধরনের অনেক শিল্প-কারখানা।
রামদিয়া কুমার নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় এবং আশপাশের ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর হওয়ায় এগুলো যেমন এখানে স্থাপিত হতে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদে পরিণত করতে সাহায্য করেছে, তেমনি ধীরে ধীরে রামদিয়াকে অন্যতম প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলেছে। কারণ ধান, চার, পাট, মাছ, তেল, সার, বীজ, সিলিন্ডার গ্যাস, সুন্দরী কাঠসহ বিভিন্ন ধরণের গৃহস্থরী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর ডিলার রামদিয়ার ব্যবসায়ীরা হওয়ায় আশপাশের কয়েকটি উপজেলার ব্যবসায়ী ও লোকজন এসব দ্রবসামগ্রী ক্রম-বিক্রয়ের জন্য রামদিয়া বাজারের ওপরই বেশি নির্ভরশীল।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রামদিয়াকে উপজেলা করার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি তারা রক্ষা করেননি। ্য রামদিয়াকে অবিলম্বে উপজেলা পর্যায়ে উন্নীত করতে বর্তমান সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
আহম্মদ হাসান রাজীব
রামদিয়া, গোপালগঞ্জ
চেয়েছিলেন পাকা রাস্তা, পেলেন খাল
শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম ছাত্র থাকাকালে ১৯৭১ সালের স্বাধীনাতা যুদ্ধে অংশ নেন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া গ্রামে। তিনি সরাসরি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গুলিতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে মারা যান। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই শহীদের মাতা মোসাম্মাৎ আমেনা খাতুন তাঁর গ্রামের মধ্য দিয়া কাঁচা সড়কটি পাকা করা এবং মসুরা খেলার মাঠটির সংস্কারের জন্য প্রধান প্রকৌশলী, এলজিআরডি, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকার বরাবর আবেদন করেছিলেন এবং ওই রাস্তা ও মাঠটির নামকরণ শহীদের নামে করার জন্য আবেদন করেছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়েও তখন ওই রাস্তাটি এবং মাঠটির নামকরণ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের নামে নামকরণ করে রেজুল্যুশন করা হয়।
২০১০ সালের প্রথম দিকে শূন্য যায় যে, শুধু আধা মাইল রাস্তাটির জন্যই নাকি ৩৬ লাখ টাকা মঞ্জুর করা হয় এবং তখন স্থানীয় এমপি আলহাজ আব্দুল মান্নান সাহেব এসে শহীদের নামে রাস্তাটির শুধু নামফলক উন্মোচন করে চলে যান। এর কিছুদিন পর আনুমানিক মার্চ-এপ্রিল-মে ২০১০ সালে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। গ্রামের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত রাস্তাটি কোমরসমান খোঁড়া হয় এবং তা একটি খালে পরিণত হয়। কিছুদিন খোঁড়াখুঁড়ির পর রাস্তায় আর কাজের কোন লোকজন দেখা যায়নি। রাস্তার কাজ চলাকালে সেখানে কোন কন্ট্রাক্টরের/কোম্পানির সাইন বোর্ড টাঙ্গানো ছিল না এবং কোন তারিখে কাজটি শেষ হবে এই সম্পর্কে জনগণ কিছুই জানতে পারেনি। বিগত কয়েক বছর শহীদ মাতা আমেনা খাতুন রাস্তার এই ভয়াবহ চিত্র দেখতে দেখতে কয়েক মাস আগে মারা যান।
রাস্তাটির দু’পাশে মানুষের বাড়িঘর। আগে গ্রামের মানুষ রাস্তা দিয়ে রিকশা-সাইকেল যেতে পারত; কিন্তু এখন মানুষকে চলাফেরা করতে হয় কোন রকমে গ্রামের বাড়ির ভেতর দিয়ে। এই যে মানুষের দুর্দশা এগুলো দেখার কেউ নেই। এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি ।
এম. রহমান
কটিয়াদী, কিশোগঞ্জ
গে-ারিয়ার দুরবস্থা
পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী গেন্ডারিয়া এলাকা আজ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। শুধু গে-ারিয়া নয়, এলাকার আশপাশের মিলব্যারাক, ফরিদাবাদ, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, নারিন্দা, দয়াগঞ্জ, ধোলাইখাল প্রভৃতি এলাকার বিবিধ সমস্যা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অবহেলা ও উদাসীনতা সত্যিই চোখে পড়ার মতো। ট্যাক্স দিলেও সেবা পায় না এলাকার নাগরিকরা। রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা, ময়লা-আবর্জনা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার ওপর পড়ে থাকে। স্ট্রিট লাইট জ্বলে না, ড্রেন-নর্দমা অপরিষ্কার, ম্যানহোল নেই, নিয়মিত রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেয়া হয়নি। এলাকায় দিনের বেলায় অহরহ ট্রাক চলে, পুলিশ নির্বিকার। মাদকের রমরমা ব্যবসা। মাদকসেবী ধরার নামে এলাকার নিরীহ ছাত্র ও ছেলের পুলিশ হেনেস্তা করে। গে-ারিয়া-মতিঝিল-টঙ্গী পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের আকুতি কেউ শোনে না। রাস্তার ওপর বাজার, টং দোকানদারদের দৌরাত্ম্য। এই শীতে এলাকায় বিদ্যুত ও গ্যাস সংকটে জনজীবন অতিষ্ঠ। খেলার মাঠ নেই, চান্দের গাড়ি বেপরোয়া চলাচল বিপজ্জনক, দেখার কেউ নেই। এমতাবস্থায় গে-ারিয়া, সূত্রাপুর, ফরিদাবাদসহ পুরান ঢাকার বিবিধ সমস্যা জরুরী ভিত্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী
ফরিদাবাদ, গে-ারিয়া, ঢাকা
রামেক হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা
এক বছরের অধিক সময় ধরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হপাসাতলের সিটিস্ক্যান যন্ত্রটি বিকল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ অবধি যন্ত্রটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারেনি বা মেরামতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এ কারণে যন্ত্রটি বিকল পড়ে থাকায় রোগীদের অশেষ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ এবং মাথায় আঘাতজনিত কারণে যেসব রোগী হাসপাতালে আসে তাদের সিটিস্ক্যান করাতে হয়। কিন্তু যন্ত্রটি বিকল থাকায় এখন তাদের হাসপাতালের বাইরের কোন ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য নিতে হয়। এতে অতিরিক্ত টাকা এবং ভোগান্তি পোহাতে হয়। রামেক হাসপাতালের এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি বিকল হবার ঠিক পর পর যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে তা মেরামতের ব্যবস্থা নেয়ার দরকার ছিল। কিন্তু পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে বিগত এক বছরেও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। সাধারণ গণমানুষ দ্রুত ও সহজে সেবা পাওয়ার জন্য সরকারী হপাসাতালে আসেন। কিন্তু জরুরী প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকলে সেবার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই রামেক হাসপাতালের বিকল সিটিস্ক্যান যন্ত্রটি অবিলম্বে মেরামতের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইকবাল, তাহেরপুর, রাজশাহী
No comments