ফুলবাড়ীতে গণধর্ষণের অভিযোগে দুজন জেলে
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত মঙ্গলবার দুপুরে এক গৃহবধূ (২৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর (ঘাটপাড়া) গ্রামের কাছে একটি আখখেতে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ তিন সন্তানের মা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি পাঁচজনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই এজাহারভুক্ত আসামি শাহিন হোসেন (২৫) ও আলম হোসেনকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে উপজেলার ঘাটপাড়া গ্রামে চাচার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকামোড় নামক স্থানে চাচাতো দেবর আনছারুল হকের সঙ্গে দেখা হয়। দুজন মিলে চাচার বাড়ির দিকে রওনা হন। ঘাটপাড়া গ্রামের একটি আখখেতের পাশে বসে পাঁচ ব্যক্তি জুয়া খেলছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা গৃহবধূ ও তাঁর দেবরকে আটকান। একপর্যায়ে দুজনের কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন ও কিছু টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে তাঁরা আনছারুলকে মারধর করে ছেড়ে দেন এবং পাঁচজন মিলে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। মান-সম্মানের কথা ভেবে গৃহবধূ ঘটনাটি কাউকে না জানিয়ে স্বামীর বাড়ি ফিরে যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) হরিদাস মহন্ত বলেন, ঘটনাটি এক দিন পরে পুলিশ জেনেছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। গণধর্ষণের বিষয়টি একজন নারীনেত্রী ঢাকা থেকে মুঠোফোনে পুলিশকে জানান। এরপরই পুলিশ তোড়জোড় শুরু করে। গত বুধবার বিকেলের দিকে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ডেকে এনে মামলা নেওয়া হয়।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরুল কায়েস বলেন, শুরুতে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সব আসামিকে ধরা যেত। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা দুজনকে গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) হরিদাস মহন্ত বলেন, ঘটনাটি এক দিন পরে পুলিশ জেনেছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। গণধর্ষণের বিষয়টি একজন নারীনেত্রী ঢাকা থেকে মুঠোফোনে পুলিশকে জানান। এরপরই পুলিশ তোড়জোড় শুরু করে। গত বুধবার বিকেলের দিকে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ডেকে এনে মামলা নেওয়া হয়।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরুল কায়েস বলেন, শুরুতে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সব আসামিকে ধরা যেত। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা দুজনকে গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।
No comments