সরকারপন্থী আইনজীবীদের সভা-আইনমন্ত্রী-অ্যাটর্নি জেনারেলের তীব্র সমালোচনা
সরকার সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের এক সভায় একাধিক মন্ত্রীসহ আইনজীবী নেতারা সরকার সমর্থক অন্য গ্রুপের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত এ সভায় আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদারের প্রতি বিষোদগার করা হয়। এদিকে আগামী এপ্রিলে সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন করা হবে বলে সভা থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ৫০১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় সাহারা খাতুন বলেন, যখন একাত্তর সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে আব্দুল বাসেত মজুমদার কিছু লোক নিয়ে আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন। বেআইনিভাবে কমিটি গঠন করেছেন। এই বেআইনি কাজ তাঁকে করতে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, 'সমন্বয় পরিষদ নিয়ে সংঘটিত সমস্যা সমাধান করবেন বলে আইনমন্ত্রী কথা দিয়েছেন। অথচ এখনো সমাধানের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখছি না।'
সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু বলেন, 'যাঁরা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তাঁদের কোনো কমিটমেন্ট নেই। তাঁরা কোনো দিনও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ করেননি। আজকে তাঁদের কর্মকাণ্ড বিএনপি-জামায়াতকে সহযোগিতা করছে।' তিনি বলেন, 'কেউ আওয়ামী লীগের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের কলিজায় আঘাত করবেন- তা হবে না, হতে দেব না। অ্যাটর্নি জেনারেল আওয়ামী লীগ করেননি। তিনি গণফোরাম করেন।'
আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি কে এম সাইফুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বাপ-দাদাও কোনো দিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ করেননি। আইনমন্ত্রী নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।'
সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাজাহান মিয়া, সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, আব্দুল্লাহ আবুসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আইনজীবীরাও বক্তব্য দেন। সমন্বয় পরিষদের সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর বিরোধের জের ধরে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ভেঙে যায়। ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম পরিষদের আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় আব্দুল বাসেত মজুমদারের নেতৃত্বে সমন্বয় পরিষদের পৃথক সভায় তাঁকে আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়। সরকার সমর্থক আইনজীবীদের বিরোধের জের ধরে গত বছর নভেম্বর থেকেই দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সভা হচ্ছে।
সভায় সাহারা খাতুন বলেন, যখন একাত্তর সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে আব্দুল বাসেত মজুমদার কিছু লোক নিয়ে আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন। বেআইনিভাবে কমিটি গঠন করেছেন। এই বেআইনি কাজ তাঁকে করতে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, 'সমন্বয় পরিষদ নিয়ে সংঘটিত সমস্যা সমাধান করবেন বলে আইনমন্ত্রী কথা দিয়েছেন। অথচ এখনো সমাধানের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখছি না।'
সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু বলেন, 'যাঁরা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তাঁদের কোনো কমিটমেন্ট নেই। তাঁরা কোনো দিনও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ করেননি। আজকে তাঁদের কর্মকাণ্ড বিএনপি-জামায়াতকে সহযোগিতা করছে।' তিনি বলেন, 'কেউ আওয়ামী লীগের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের কলিজায় আঘাত করবেন- তা হবে না, হতে দেব না। অ্যাটর্নি জেনারেল আওয়ামী লীগ করেননি। তিনি গণফোরাম করেন।'
আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি কে এম সাইফুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বাপ-দাদাও কোনো দিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ করেননি। আইনমন্ত্রী নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।'
সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাজাহান মিয়া, সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, আব্দুল্লাহ আবুসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আইনজীবীরাও বক্তব্য দেন। সমন্বয় পরিষদের সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর বিরোধের জের ধরে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ভেঙে যায়। ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম পরিষদের আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় আব্দুল বাসেত মজুমদারের নেতৃত্বে সমন্বয় পরিষদের পৃথক সভায় তাঁকে আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়। সরকার সমর্থক আইনজীবীদের বিরোধের জের ধরে গত বছর নভেম্বর থেকেই দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সভা হচ্ছে।
No comments