জটিলতা জমি নিয়ে ॥ আটকে যাচ্ছে প্রকল্প- ০ অধিগ্রহণে বাদ সাধছে মামলা- ০ জনপ্রতিরোধ- ০ বাজার দরে দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা- ০ ক্ষতিপূরণের অর্থপ্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা by রশিদ মামুন
ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে ঢাকার অদূরে আড়িয়াল বিল শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্প। সাম্প্রতিক সময়ে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে আড়িয়াল বিলে জনপ্রতিরোধের মুখে পড়ে সরকার।
স্থানীয় জনগণ ‘জান দেব তবুও জমি দেব না’ এমন ব্রত নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করে রুখে দিয়েছে বেসামরিক বিমান এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বৃহৎ প্রকল্পটি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে জমি সংক্রান্ত জটিলতায় সরকারের বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো এভাবে আটকে যাচ্ছে। শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুত খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জমি জটে পড়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পর জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ। অনেকক্ষেত্রে প্রশাসনিকভাবে ভূমি অধিগ্রহণ করলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ জমি বুঝে পাচ্ছে না।ভূমি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলছেন, সরকারের যে বিভাগ আমাদের কাছে জমি চাইছে সেখানেই মন্ত্রণালয় ভূমি হুকুম দখল করে দিচ্ছে। এখন আমাদের কাছে কোন আবেদন পড়েনি। তবে হুকুম দখলের পর কোন মামলা সংক্রান্ত কারণে জমি না পাওয়ার বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নয় বলে মনে করেন তিনি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, রাষ্ট্রের সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা না থাকার কারণে এমন অসুবিধা হচ্ছে। কোথায় কী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে জনসাধারণ তা আগে থেকে জানে না। যখন যেখানে খুশি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে মানুষের বসতভিটা এবং চাষের জমি অধিগ্রহণের মতো ঘটনা ঘটছে। যাতে করে মানুষ গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলছে। অন্যদিকে সরকারীভাবে জমি অধিগ্রহণে শুধু যে মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার আশঙ্কা করে তাই নয় আর্থিকভাবেই ক্ষতির শিকার হতে হয়। উপরন্তু সরকারী অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির কথাও বলছেন কেউ কেউ। বাজারদর অনুযায়ী দাম পাওয়া নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে, তেমনি বিক্রেতা উদ্বেগে থাকেন প্রতিশ্রুত অর্থ ঠিক ঠাক পাবেন কি না। তবে সরকারী এবং খাস জমিতে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে তাও জমি জটের শিকার হচ্ছে।
জমি অধিগ্রহণ করার পরও মানুষের যাওয়ার জায়গা না থাকায় প্রকল্পের মধ্যেই থেকে যাওয়ার উদাহরণও রয়েছে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এবং বাগেরহাটে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুত প্রকল্প বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানির বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এখনও আন্দোলন চলছে। আবার জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে ঝুলে যাচ্ছে অনেক প্রকল্প। রাজধানীর উড়াল সড়ক এবং বিবিয়ানার বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো এই তালিকায় রয়েছে। এই দুই প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে বেগ পেতে হয় সরকারকে। এমন কি সরকারী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে মতপার্থক্যর কারণেও কোন কোন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্প বিলম্বিত হচ্ছে। রাজধানীর মেট্রোরেল প্রকল্প নিয়ে গত বছর থেকে চলতি বছর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এ ধরনের বিতর্ক চলে। জাতীয় সংসদ এবং বিমানবাহিনী স্ব স্ব অবস্থানে অটল থাকায় রুট নির্ধারণে সরকারকে বিকল্প অনুসন্ধান করতে হয়। শুধু যে দেশেই বিভিন্ন প্রকল্পে জমি জট লেগেছে তা নয় ভরত-বাংলাদেশ বিদ্যুত সঞ্চালন লাইনের ভারতীয় অংশে (পশ্চিমবঙ্গে) জমির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেরি হচ্ছে। বাংলাদেশ অংশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও ভারতীয় অংশের কাজ চলছে ধীরে। প্রকল্পটির বহরমপুর এলাকায় সাবস্টেশনের জন্য ৩০ একর জমি প্রয়োজন। ভারতের গ্রিড কর্পোরেশন এবং ভূমি মালিকদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নিয়ে টানাপোড়েনে প্রকল্পটির কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যে ফুলবাড়ীর অবস্থা সব থেকে খারাপ। বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে খনি ইজারার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে স্থানীয় জনগণ। উদ্বাস্তু হওয়ার আতঙ্কে ফুলবাড়ীর মানুষ আন্দোলনে নেমেছে। ফুলবাড়ীর সাধারণ মানুষের এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুত বন্দর রক্ষায় গঠিত জাতীয় কমিটি। জ্বালানি বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তিরা এশিয়া এনার্জির সঙ্গে কোন খনি করার চুক্তি নেই এমন কথা বললেও বিষয়টির স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিচ্ছে না সরকার। উপরন্তু এশিয়া এনার্জিকে সমীক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়ায় কয়েক দিন হরতাল হয়েছে ফুলবাড়ীতে।
বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভূমির অপ্রতুলতা। উন্নয়ন কাজের জন্য যে পরিমাণ ভূমির প্রয়োজন, তার সবটুকু পাওয়া খুব কঠিন কাজ। সমন্বিত কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা না থাকায় সাধারণ মানুষ যেখানে বসবাস বা কৃষি কাজ করে জীবন নির্বাহ করে তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে উচ্ছেদ করতে হয়। অন্যদিকে সরকার যে প্রক্রিয়ায় জমি অধিগ্রহণ করে তা নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে। সাধারণত সরকার অধিগ্রহণ করার সময় নির্দিষ্ট এলাকার জন্য তখনকার জমির দলিল মূল্যকে ভিত্তি ধরে দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু সাধারণত জমির দলিল মূল্যের চেয়ে বাজারদর বেশি থাকায় জনসাধারণ সরকারী অধিগ্রহণে বাদ সাধে। অন্যদিকে বাজার দর অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ করলে সেক্ষেত্রে জমিপ্রাপ্তি সহজ হয়। পদ্মা সেতুতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমোদন নিয়ে বাজারদর অনুযায়ী মূল্য পরিশোধের একটি উদাহরণ হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিবছর ৮০ হাজার হেক্টর কৃযি জমি হ্রাস পাচ্ছে। হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন ২২০ হেক্টর করে আবাদী জমি অনাবাদী খাতে ব্যবহার হচ্ছে যা আমাদের মতো কৃষিনির্ভর এবং অতিরিক্ত জনবহুল ও দরিদ্র দেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেবে দেশে আবাদী জমির পরিমাণ ৮৩ লাখ হেক্টর কিন্তু বাস্তবে ৮০ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর। যার এক চতুর্থুাংশ হুমকির মুখে। ১৯৮৬ সালে আবাদযোগ্য ভূমি ছিল ৮১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর। ২০০৩ তা কমে দাঁড়ায় ৭০ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে। ২০০৭ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৬৭ লাখ ৯০ হাজার হেক্টরে। ক্রমাগতভাবে জমি হ্রাসের কারণে সাধারণ মানুষ বসতভিটা এবং আবাদযোগ্য জমি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে দিন দিন আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। এছাড়াও ক্রমাগতভাবে বিভাজনের ফলে একক ব্যক্তির জমির পরিমাণও দিন দিন কমছে। ফলে যার দখলে যে পরিমাণ জমি রয়েছে তা যে কোন প্রকারে হোক আঁকড়ে থাকতে চাচ্ছেন। আবার উন্নয়ন প্রকল্পর মধ্যে যদি কারও বসতভিটা পড়ছে সেখানে মানুষ তার বাড়ি হারানোর আশঙ্কায় অধিগ্রহণে বাদ সাধছে। এ বাধা পেরিয়ে যখন জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে তখন প্রতিশ্রুত সকল ক্ষতিপূরণ ভুক্তভোগীরা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণে সাম্প্রতিক সময়ে বাধার শিকার হয়েছে সরকার। স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে এক হাজার ৮৩৪ একর ভূমির মধ্যে সরকারী ভূমির পরিমাণ মাত্র ৮৪ একর। ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন, অধিগ্রহণের ফলে কয়েকশ’ পরিবার ভিটেছাড়া হবে। তারা বলছেন, সরকার দুই মৌজায় বিঘাপ্রতি দেড় লাখ থেকে এক লাখ ৭৮ হাজার টাকা দাম দিচ্ছে। কিন্তু এই টাকায় বাইরে কোথাও জমি পাওয়া যায় না। আশপাশে বিঘাপ্রতি জমির দাম রয়েছে অন্তত ১৫ লাখ টাকা। এ জন্য এখনও অর্ধেক ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণের টাকা তোলেনি। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে তিনটি রুল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে সুশান্ত কুমার দাস জনকণ্ঠকে বলেন, পাশেই বেসরকারী বিদ্যুত কোম্পানিগুলো ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা প্রতি বিঘা জমি কিনছে। সেখানে আমাদের দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ এক লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এই টাকায় কোথাও জমি পাওয়া যায় না। অধিগ্রহণের ফলে আমরা পথে বসে যাব। এ বিষয়ে আমরা তিনটি রিট আবেদন করেছি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বিচারের ভার আমরা আদালতের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
আবার যে এর বিপরীত চিত্রও যে নেই তা নয়। বড়পুকুরিয়াতে নতুন খনি করার জন্য প্রায় ৬০০ পরিবারকে ক্ষতি পূরণ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় বাজারমূল্যের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি দাম দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের। এতে কোন কোন পরিবার দেড় দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরও ওই এলাকা ছেড়ে যায়নি। এখানে ভূমিহীন পরিবারগুলোকেও পাঁচ শতক করে জমি দেয়া হয়েছে। তবে বড়পুকুরিয়ার এই ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের দীর্ঘ দিন আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া খনি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কামরুজ্জমান জনকণ্ঠকে এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন এদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নির্ভর করছে। এখনও ক্ষতিগ্রস্তরা প্রকল্প এলাকাতেই রয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবলু জনকণ্ঠকে বলেন, এখানে উন্মুক্ত খনি করতে গেলে সরকার তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়বে। এখানে সচেতন মানুষ উন্মুক্ত খনির বদলে অন্যকোন প্রযুক্তিতে কয়লা তোলার পক্ষে। তবে অধিকাংশ মানুষই কয়লা খনি চায় না। তিনি বলেন, জোট সরকারের সময় মনে হয়েছিল এশিয়া এনার্জির পেছনে সরকার আর এখন মনে হচ্ছে এশিয়া এনার্জির সামনে সরকার। সরকারের চিঠির পর এশিয়া এনার্জি প্রত্যন্ত কিছু এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করছে বলে জানান তিনি।
আবার নানা সময়ে জমি দিয়ে প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। হতিরঝিল প্রকল্পে মুক্তিযোদ্ধা কমরেড নেতা আব্দুশ শহীদের স্ত্রী রাজিয়া শহীদ জানালেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য তাদের চারকাঠা জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সরকারের তরফ থেকে পূর্তমন্ত্রী মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি দেন, বেগুনবাড়ীতে একটি ফ্ল্যাট, ঝিলমিলে একটি প্লট এবং নগদ ৭০ লাখ টাকা দেয়া হবে। কিন্তু সরকারের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার পর ৫৫ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এখন যোগাযোগ করা হলে বলছে দেয়া হবে। কিন্তু প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়েছে। আর কবে দেয়া হবে এমন হতাশা প্রকাশ করেন রাজিয়া শহীদ।
যদিও হাতিরঝিল প্রকল্প উদ্বোধনের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের ফ্ল্যাট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এত পরে এসে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কেন এই উদ্যোগ নিতে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অনেক আগেই মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়টি সমাধান করতে পারত যা করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত রাজধানীর ১১টি স্কুল- কলেজ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে সবগুলোর নির্মাণ কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে কয়েকটি প্রকল্পের জমির জট কাটলেও সবগুলোর এখনও কাটেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সময় মতো জমি পেলে স্কুল-কলেজগুলোর নির্মাণ কাজ এত দিনে শেষ হয়ে যেত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর এবং আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক এএসএম মাহবুব উন নবী এ প্রসঙ্গে বলেন, দুই ধরনের উন্নয়ন রয়েছে। একটি হচ্ছে ভাল উন্নয়ন, অপরটি খারাপ। উন্নয়ন পরিকল্পনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। এছাড়া সরকারের ভূমি অধিগ্রহণে যেসব জটিলতা রয়েছে তা দূর করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
No comments