তাপমাত্রা বাড়ছে ধীরে ধীরে, ফের শৈত্যপ্রবাহ ২২ জানুয়ারির পর- তবে শ্রীমঙ্গলে এখনও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
আগামী ২২ জানুয়ারির পর নতুন করে
শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে
শৈত্যপ্রবাহের ধরন কি হবে তা এখনও বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তারা।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ও সারাদেশের ওপর দিয়ে মাঝারি মাত্রার
শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখনও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮
ডিগ্রীর মধ্যে নেমে যেতে পারে। এর পরেই আবার ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
আরেকটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮
থেকে ১০ ডিগ্রীর মধ্যে নেমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এখনও
পর্যন্ত দেশের ওপর দিয়ে দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী
কয়েকদিনের মধ্যে তা থেমে যাবে। এদিকে দেশের শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে এখনও
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত এ
শৈত্যপ্রবাহ আরও দুদিন স্থির থাকবে বলে জানা গেছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের
কারণে সোমবার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৯ ডিগ্রী
সেলসিয়াস। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখনও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর
সন্দ্বীপ, রাঙ্গামাটি, যশোর, কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে এবং রংপুর ও রাজশাহী
বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও
দুদিন এ অবস্থা থাকার পর শৈত্যপ্রবাহ ধীরে ধীরে কমে আসবে। আবহাওয়া অফিস
জানিয়েছে, আজও দেশের তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে তা ৭ থেকে ৮ ডিগ্রীর মধ্যে চলে আসতে পারে।
এদিকে সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অনেকটাই কমে এসেছে।
শ্রীমঙ্গল বাদে দেশের অন্যান্য এলাকার তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
তবে কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি।
ময়মনসিংহে এখনও তাপমাত্রা ৮.২ ডিগ্রীর মধ্যে অবস্থান করছে। এ ছাড়া
টাঙ্গাইলে তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রী, মাদারীপুরে ৯.২ ডিগ্রীর মধ্যে অবস্থান
করছে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সীতাকু- ও রাঙ্গামাটির তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর
নিচেই অবস্থান করছে। সন্দ্বীপে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়
৯.৯ ডিগ্রী, সীতাকুণ্ডে ৯ ডিগ্রী এবং রাঙ্গামাটিতে তাপমাত্রা রয়েছে ৮
ডিগ্রীতে।
এদিকে সিলেটের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১১ ডিগ্রীতে উঠলে শ্রীমঙ্গলে এখনও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তাপমাত্রা এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এ এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ কমে এসেছে। তবে তাপমাত্রা কম থাকায় শীতের অনুভূতি রয়েছে ব্যাপক। রাজশাহী, ঈশ্বরদী ও বগুড়ার তাপমাত্রা রয়েছে যথাক্রমে ৮.৫, ৮.৪ ও ১০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রংপুর ও দিনাজপুরে তাপমাত্রা খুব ধীর গতিতে বাড়ছে। এ এলাকায় এখনও বেশ জাঁকিয়ে শীত পড়ছে। দেশের অন্য যে কোন অঞ্চলের চেয়ে শীতের তীব্রতা এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয়বারের মতো বয়ে যাওয়া তীব্র শৈত্যপ্রবাহে এ অঞ্চলের লোকজন কাহিল হয়ে পড়ে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে শীত পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হলেও এ এলাকায় তীব্রতা এখনও রয়ে গেছে। সোমবার রংপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৪ ডিগ্রী, দিনাজপুরে ৭.৬ ডিগ্রী এবং সৈয়দপুরে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ ছাড়া যশোর ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রয়েছে ৮.৪ ডিগ্রী ও ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসব অঞ্চল বাদে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর ওপরে রয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলে জানুয়ারিজুড়েই শীত থাকবে।
এবার গত ২১ ডিসেম্বর শুরু হয় মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। তা একটানা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে প্রথম শৈত্যপ্রবাহিটি সারাদেশের ওপর টানা ১১ দিন থাকলেও তা ছিল মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের। আর জানুয়ারি ৭ তারিখ থেকে শুরু হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। যা সারাদেশের ওপর তীব্র আকার ধারণ করে। এখনও তা দেশের কোন কোন অঞ্চলে অব্যাহত আছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একযোগে এভাবে শীত পড়ার ঘটনা এবারই প্রথম। আবার দ্বিতীয় পর্যায়ে শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার নিয়ে বইতে থাকে। যা অতীতে কোন দিন দেখা যায়নি। তারা বলছেন, অতীতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও তা সাধারণত দু’একদিনের বেশি অবস্থান করত না। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে শৈত্যপ্রবাহ যেমন দীর্ঘমেয়াদী হচ্ছে, এর তীব্রতাও দিনে দিনে বাড়ছে।
এদিকে সিলেটের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১১ ডিগ্রীতে উঠলে শ্রীমঙ্গলে এখনও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তাপমাত্রা এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এ এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ কমে এসেছে। তবে তাপমাত্রা কম থাকায় শীতের অনুভূতি রয়েছে ব্যাপক। রাজশাহী, ঈশ্বরদী ও বগুড়ার তাপমাত্রা রয়েছে যথাক্রমে ৮.৫, ৮.৪ ও ১০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রংপুর ও দিনাজপুরে তাপমাত্রা খুব ধীর গতিতে বাড়ছে। এ এলাকায় এখনও বেশ জাঁকিয়ে শীত পড়ছে। দেশের অন্য যে কোন অঞ্চলের চেয়ে শীতের তীব্রতা এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয়বারের মতো বয়ে যাওয়া তীব্র শৈত্যপ্রবাহে এ অঞ্চলের লোকজন কাহিল হয়ে পড়ে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে শীত পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হলেও এ এলাকায় তীব্রতা এখনও রয়ে গেছে। সোমবার রংপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৪ ডিগ্রী, দিনাজপুরে ৭.৬ ডিগ্রী এবং সৈয়দপুরে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ ছাড়া যশোর ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রয়েছে ৮.৪ ডিগ্রী ও ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসব অঞ্চল বাদে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর ওপরে রয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলে জানুয়ারিজুড়েই শীত থাকবে।
এবার গত ২১ ডিসেম্বর শুরু হয় মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। তা একটানা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে প্রথম শৈত্যপ্রবাহিটি সারাদেশের ওপর টানা ১১ দিন থাকলেও তা ছিল মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের। আর জানুয়ারি ৭ তারিখ থেকে শুরু হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। যা সারাদেশের ওপর তীব্র আকার ধারণ করে। এখনও তা দেশের কোন কোন অঞ্চলে অব্যাহত আছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একযোগে এভাবে শীত পড়ার ঘটনা এবারই প্রথম। আবার দ্বিতীয় পর্যায়ে শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার নিয়ে বইতে থাকে। যা অতীতে কোন দিন দেখা যায়নি। তারা বলছেন, অতীতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও তা সাধারণত দু’একদিনের বেশি অবস্থান করত না। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে শৈত্যপ্রবাহ যেমন দীর্ঘমেয়াদী হচ্ছে, এর তীব্রতাও দিনে দিনে বাড়ছে।
No comments