ভারতের সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি- ভারত-পাকিস্তানের পতাকা বৈঠক ১৫ মিনিটে শেষ, সমঝোতা হয়নি
ভারত ও পাকিস্তানের ব্রিগেড পর্যায়ের পতাকা বৈঠক গতকাল সোমবার কোনো রকমের সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণরেখা-সংলগ্ন পুন্চ এলাকায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠক মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়।
নিয়ন্ত্রণরেখা-সংলগ্ন পুন্চ এলাকায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠক মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়।
বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় সীমান্তে দেশ দুটির সেনাদের বন্দুকযুদ্ধের পর যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা আরও ঘনীভূত হলো।
এদিকে, পতাকা বৈঠক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং তাঁর অধীনস্ত সেনাধিনায়কদের পাকিস্তানের ‘উসকানিমূলক’ গুলির ‘আক্রমণাত্মক’ পাল্টা জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। ব্যর্থ পতাকা বৈঠকের পরপরই রাওয়ালকোটের বাত্তাল সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে একজন পাকিস্তানি নাগরিক আহত হয়েছেন বলে ইসলামাবাদ দাবি করেছে। তবে এ ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, সে দেশের সেনাবাহিনীর দশম ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার টি এস সাধুর সঙ্গে গতকাল বিকেলে পুনেচ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চাকান দা বাগে পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় দেশের ডজন খানেক কমান্ডারও অংশ নেন।
বৈঠকে সম্প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ভারতের দুজন সেনা হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি শিরশ্ছেদ করা সেনাসদস্য ল্যান্স নায়েক হিমরাজের মস্তক এবং নিহত দুই সেনাসদস্যের ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় ‘ভারত পাল্টা জবাব’ দেওয়ার অধিকার রাখে।
পতাকা বৈঠকে ব্রিগেডিয়ার টি এস সাধু পাকিস্তানের প্রতি এ ধরনের অপেশাদারি কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০০৩ সালের নভেম্বরের অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ‘যথোপযুক্ত ও দ্রুত জবাব’ দেবে ভারত। নয়াদিল্লির এই কড়া অবস্থানের জবাব পাকিস্তান কীভাবে দিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সবই অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তারা ভারতকে অস্ত্রবিরতি মেনে চলারও আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, নিয়ন্ত্রণরেখায় পুনরায় বাণিজ্য ও মানুষের চলাচল শুরু করার বিষয়টি গতকাল অপ্রত্যাশিতভাবে পতাকা বৈঠকে আলোচনা হয়নি। ১০ জানুয়ারি থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় বাণিজ্য এবং সব ধরনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। সীমান্তের দুই পাশে আটকা পড়েছে পচনশীল পণ্যবোঝাই ৬৫টি ট্রাক ও শত শত যাত্রী।
ভারতের ‘আক্রমণাত্মক’ জবাবের হুমকি: পতাকা বৈঠকের আগে গতকাল নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং বলেন, সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গুলি চালালে ‘আক্রমণাত্মক’ জবাব দিতে ভারতীয় কমান্ডারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই স্পষ্ট নির্দেশ: উসকানি পেলে আমাদের কমান্ডাররা পাল্টা গুলি চালাবেন। আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের কমান্ডাররাও আক্রমণাত্মক হবেন।’
ভারত দাবি করেছে, ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতের একজন সেনাকে হত্যা এবং আরেকজনকে শিরশ্ছেদ করেছে। তবে পাকিস্তান এই দাবি নাকোচ করে দিয়ে পাল্টা দাবি করেছে, ভারতের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে দুজন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে।
২০০৩ সাল থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি পালন করে আসছে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র দুটি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় সেই শান্তির প্রক্রিয়া বেশ খানিকটা ধাক্কা খেল।
বিক্রম সিং বলেন, ‘ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে হামলা চালানো হয়েছে, তা “ক্ষমার অযোগ্য”। আমরা চাই, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যত দ্রুত সম্ভব ভারতীয় সেনাসদস্যের শিরশ্চেদ করা মস্তক ফেরত দিক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিতে চাই এবং পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার সেরা উপায়ও খুঁজছি। তবে সবার আগে হামলা বন্ধ করতে হবে।’ এএফপি, ডন ও দ্য হিন্দু।
এদিকে, পতাকা বৈঠক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং তাঁর অধীনস্ত সেনাধিনায়কদের পাকিস্তানের ‘উসকানিমূলক’ গুলির ‘আক্রমণাত্মক’ পাল্টা জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। ব্যর্থ পতাকা বৈঠকের পরপরই রাওয়ালকোটের বাত্তাল সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে একজন পাকিস্তানি নাগরিক আহত হয়েছেন বলে ইসলামাবাদ দাবি করেছে। তবে এ ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, সে দেশের সেনাবাহিনীর দশম ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার টি এস সাধুর সঙ্গে গতকাল বিকেলে পুনেচ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চাকান দা বাগে পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় দেশের ডজন খানেক কমান্ডারও অংশ নেন।
বৈঠকে সম্প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ভারতের দুজন সেনা হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি শিরশ্ছেদ করা সেনাসদস্য ল্যান্স নায়েক হিমরাজের মস্তক এবং নিহত দুই সেনাসদস্যের ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় ‘ভারত পাল্টা জবাব’ দেওয়ার অধিকার রাখে।
পতাকা বৈঠকে ব্রিগেডিয়ার টি এস সাধু পাকিস্তানের প্রতি এ ধরনের অপেশাদারি কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০০৩ সালের নভেম্বরের অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ‘যথোপযুক্ত ও দ্রুত জবাব’ দেবে ভারত। নয়াদিল্লির এই কড়া অবস্থানের জবাব পাকিস্তান কীভাবে দিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সবই অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তারা ভারতকে অস্ত্রবিরতি মেনে চলারও আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, নিয়ন্ত্রণরেখায় পুনরায় বাণিজ্য ও মানুষের চলাচল শুরু করার বিষয়টি গতকাল অপ্রত্যাশিতভাবে পতাকা বৈঠকে আলোচনা হয়নি। ১০ জানুয়ারি থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় বাণিজ্য এবং সব ধরনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। সীমান্তের দুই পাশে আটকা পড়েছে পচনশীল পণ্যবোঝাই ৬৫টি ট্রাক ও শত শত যাত্রী।
ভারতের ‘আক্রমণাত্মক’ জবাবের হুমকি: পতাকা বৈঠকের আগে গতকাল নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং বলেন, সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গুলি চালালে ‘আক্রমণাত্মক’ জবাব দিতে ভারতীয় কমান্ডারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই স্পষ্ট নির্দেশ: উসকানি পেলে আমাদের কমান্ডাররা পাল্টা গুলি চালাবেন। আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের কমান্ডাররাও আক্রমণাত্মক হবেন।’
ভারত দাবি করেছে, ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতের একজন সেনাকে হত্যা এবং আরেকজনকে শিরশ্ছেদ করেছে। তবে পাকিস্তান এই দাবি নাকোচ করে দিয়ে পাল্টা দাবি করেছে, ভারতের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে দুজন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে।
২০০৩ সাল থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি পালন করে আসছে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র দুটি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় সেই শান্তির প্রক্রিয়া বেশ খানিকটা ধাক্কা খেল।
বিক্রম সিং বলেন, ‘ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে হামলা চালানো হয়েছে, তা “ক্ষমার অযোগ্য”। আমরা চাই, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যত দ্রুত সম্ভব ভারতীয় সেনাসদস্যের শিরশ্চেদ করা মস্তক ফেরত দিক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিতে চাই এবং পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার সেরা উপায়ও খুঁজছি। তবে সবার আগে হামলা বন্ধ করতে হবে।’ এএফপি, ডন ও দ্য হিন্দু।
No comments