টেলিটকের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি টেলিটকের নেটওয়ার্কের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণে টেলিটকের ১১ লাখ গ্রাহক মারাত্মক অসুবিধার মধ্যে পড়েছে। শনিবার রাত থেকেই টেলিটকের নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দেয়।
রবিবার সারাদিন নেটওয়ার্ক ছিল না। কর্তৃপৰ বলছে যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা দিয়েছে। রবিবার রাতের মধ্যে ত্রম্নটি দূর করা সম্ভব হবে। বিকাল থেকে কোন কোন এলাকায় নেটওয়ার্ক প্রতিস্থাপন হয়েছে বলে এর কর্তৃপৰ দাবি করেছে। রাত ৮টা পর্যনত্ম বাসত্মবে এ দাবির কোন সত্যতা মেলেনি। সূত্র জানিয়েছে, টেলিটকের সফটওয়্যার মারাত্মকভাবে ৰতিগ্রসত্ম হওয়ায় নেটওয়ার্ক একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এই সফটওয়্যার নতুন করে প্রতিস্থাপন না করা পর্যনত্ম নেটওয়ার্ক চালু করা সম্ভব নয়। বলা হচ্ছে রবিবার রাতের মধ্যে টেলিটকের নেটওয়ার্ক চালু হবে। অনিয়ম-দুনর্ীতির কারণে টেলিটকের নেটওয়ার্ক এত দিন উন্নয়ন করা হয়নি। অনেক আগে থেকেই টেলিটকের নেটওয়ার্কের সমস্যা হচ্ছিল। বাংলাদেশের একমাত্র সরকারী মোবাইল কোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রেেহর সৃষ্টি করেছিল। কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার লোভ-লালসার কারণে জনগণের আশা পূরণ করতে পারেনি টেলিটক। জোটের ভূত টেলিটকের ভেতর থেকে এখনও সরেনি। তারাই এখনও টেলিটক নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের ইচ্ছেমতো চলছে টেলিটক। বর্তমান সরকার ৰমতায় আসার পর টেলিটকের নেটওয়ার্কের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নেয়া হলেও জোটের কর্মকর্তারা কোন কাজ এগিয়ে নিচ্ছে না। টেলিটকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করতে আগ্রহী নন। নেটওয়ার্ক উন্নত হলে তাদের দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। যাতে দুর্নীতি বহাল থাকে সেই চেষ্টাই করছেন কতিপয় কর্মকর্তা।দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে অনেক গ্রাহক টেলিটক মোবাইল নিয়েও ছেড়ে দিয়েছে। সারাদেশে টেলিটকের বেজ ট্রান্সমিশন স্টেশনগুলোর (বিটিএস) অবস্থা খুবই শোচনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এসব স্টেশনে বিদু্যত চলে গেলে ১০ মিনিটের জন্য ব্যাকআপ দেয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। শুরম্নতে যেসব ব্যাটারি বা আইপিএস বসানো হয়েছে তার বেশিরভাগই ড্যামেজ হয়ে গেছে। এ গুলোর পুনর্স্থাপন না করে শুধু মার্কেটিংয়ের পিছনে টাকা খরচ করে চলেছে। সার্ভিস ভাল না থাকলে মার্কেটিং করে কি উন্নয়ন হবে? তা কখনও হয় না। কিন্তু টেলিটকের বেলায় তাই করা হচ্ছে। মোটকথা টেলিটক এখন হরিলুটের উর্বর ৰেত্রে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে রৰা করতে হলে সরকারকে দ্রম্নত ব্যবস্থা নিতে হবে। রবিবার এত বড় একটি ঘটনা ঘটার পরও টেলিটক কর্তৃপৰ জরম্নরী ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে পারেনি।
No comments