আইআরসির প্রতিবেদন-ধর্ষণ 'যুদ্ধাস্ত্র' হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সিরিয়ায়
যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে সিরিয়ার নারী ও শিশুদের ওপর ব্যাপক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে বা এর আতঙ্কে অনেক সিরীয় পার্শ্ববর্তী জর্দান ও লেবাননে পালিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) এক প্রতিবেদনে গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। আইআরসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরণার্থী সিরীয় নারীরা ব্যাপক হারে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার বর্ণনা দিয়েছে। সিরিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই মানবিক সংকট তৈরি করেছে বলেও জানায় আইআরসি।
আইআরসি গতকাল 'সিরিয়া : অ্যা রিজিওনাল ক্রাইসিস' নামের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন তৈরির অংশ হিসেবে জর্দান ও লেবাননে আশ্রয় নেওয়া ২৪০ সিরীয় নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মারাত্মক হারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মূলত সিরীয় পরিবারগুলোর দেশ ছেড়ে পালানোর প্রধান কারণ এটি।' সাক্ষাৎকারে নারীরা জানায়, সশস্ত্র ব্যক্তিরা পরিবারের সদস্যদের সামনেই নারীদের ধর্ষণ করছে। গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। নারীদের অপহরণের পর নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে।
আইআরসির ব্রিটেন শাখার পরিচালক সাজ শ্রীকণ্ঠ বলেন, 'সিরীয় নারীরা তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে আমাদের। তাদের অনেকেই সিরিয়ায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিন্তু শরণার্থী হিসেবে অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার পর শারীরিক ও মানসিক আঘাত সামলানোর মতো সহায়তা পায়নি তারা। খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাই পরিবারগুলোর প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।' সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে পরিবারগুলো ধর্ষণের ঘটনা চেপে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করে আইআরসি। ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে হামলাকারীদের বা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হওয়ার ভয় কাজ করে বলেও জানানো হয়।
আইআরসি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, সিরিয়ার পরিস্থিতিতে পুরো মধ্যপ্রাচ্য প্রচণ্ড মানবিক সংকটের মুখে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি সিরীয় আশপাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে জুন নাগাদ এ সংখ্যা ১১ লাখে পৌঁছাবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
আইআরসি গতকাল 'সিরিয়া : অ্যা রিজিওনাল ক্রাইসিস' নামের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন তৈরির অংশ হিসেবে জর্দান ও লেবাননে আশ্রয় নেওয়া ২৪০ সিরীয় নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মারাত্মক হারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মূলত সিরীয় পরিবারগুলোর দেশ ছেড়ে পালানোর প্রধান কারণ এটি।' সাক্ষাৎকারে নারীরা জানায়, সশস্ত্র ব্যক্তিরা পরিবারের সদস্যদের সামনেই নারীদের ধর্ষণ করছে। গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। নারীদের অপহরণের পর নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে।
আইআরসির ব্রিটেন শাখার পরিচালক সাজ শ্রীকণ্ঠ বলেন, 'সিরীয় নারীরা তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে আমাদের। তাদের অনেকেই সিরিয়ায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিন্তু শরণার্থী হিসেবে অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার পর শারীরিক ও মানসিক আঘাত সামলানোর মতো সহায়তা পায়নি তারা। খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাই পরিবারগুলোর প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।' সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে পরিবারগুলো ধর্ষণের ঘটনা চেপে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করে আইআরসি। ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে হামলাকারীদের বা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হওয়ার ভয় কাজ করে বলেও জানানো হয়।
আইআরসি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, সিরিয়ার পরিস্থিতিতে পুরো মধ্যপ্রাচ্য প্রচণ্ড মানবিক সংকটের মুখে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি সিরীয় আশপাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে জুন নাগাদ এ সংখ্যা ১১ লাখে পৌঁছাবে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments