আগে যাচাই হবে সোহেল তাজের সই, পরে বেতন
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের সই যাচাই-বাছাই করার পর তাঁর ব্যক্তিগত কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দপ্তরে সংরক্ষিত সইয়ের সঙ্গে প্রত্যয়নপত্রে সোহেল তাজের দেওয়া সই মিলিয়ে দেখা হবে।
প্রয়োজনে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দিয়েও স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাই করা হবে।
সোহেল তাজ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর তা গ্রহণ না করে তাঁকে ২২ মাস দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী করে রাখে সরকার। ওই সময় প্রতিমন্ত্রীর পারিতোষিক ও বিভিন্ন ভাতার টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে সরাসরি সোহেল তাজের ব্যাংক হিসাবে চলে গেলেও তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাননি। পরে ওই ২২ মাসের বেতন-ভাতা দাবি করে আবেদন করেন সোহেল তাজের ব্যক্তিগত কর্মীরা।
আবেদনের সঙ্গে দপ্তরবিহীন সময়েও তাঁরা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- এ মর্মে সোহেল তাজের সই করা প্রত্যয়নপত্র জমা দেন। এ প্রত্যয়নপত্র জাল বলে দাবি করেন সোহেল তাজ, যা গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠে 'বেতনের জন্য সোহেল তাজের স্বাক্ষর জাল' শীর্ষক সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। এ সংবাদ প্রকাশের পর সোহেল তাজের সই যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাঁর স্বাক্ষর জালের যে অভিযোগ করেছেন তা আমরা আমলে নিয়েছি। স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই শেষে সবকিছু নিশ্চিত হয়েই বেতন-ভাতা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
সংবাদ প্রকাশের আগে সোহেল তাজের সঙ্গে কথা বলার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। কিন্তু গতকাল সংবাদ প্রকাশের পর তিনি নিজেই সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে ফোন করেন। সোহেল তাজ বলেন, 'কালের কণ্ঠ থেকে যখন যোগাযোগ করা হয়েছিল তখন আমি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। গত শুক্রবার দেশে ফিরেছি। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, আমি সরকারের টাকা ফেরত দিতে চাই। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে ফেরত দিতে হবে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমি সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি। কিন্তু সরকার থেকে কোনো সাড়া পাইনি। আমি এখনো উত্তরের প্রতীক্ষা করছি।'
টাকা ফেরত দেওয়ার পদ্ধতি জানতে চেয়ে সোহেল তাজ কোনো চিঠি পাঠিয়েছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি তারা পায়নি। পেলে অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরো জানিয়েছে, যেকোনো ব্যক্তি সরকারকে টাকা দিতে পারে। ট্রেজারি চালানে করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী ইচ্ছা করলে বেতন-ভাতা বাবদ কত টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে তার হিসাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জানতে চাইতে পারেন। অথবা তাঁর নিজের ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকেও তা পাবেন। ফেরত দেওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে তিনি অবগত করতে পারেন।
এদিকে সোহেল তাজের সহকারী একান্ত সচিব আবু কাওছার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি সোহেল তাজের কোনো প্রত্যয়নপত্র জমা দেইনি। কে বা কারা এ ধরনের প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন তা আমি জানি না। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর অন্য ব্যক্তিগত কর্মচারীরা এটা করে থাকতে পারেন।'
সোহেল তাজ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর তা গ্রহণ না করে তাঁকে ২২ মাস দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী করে রাখে সরকার। ওই সময় প্রতিমন্ত্রীর পারিতোষিক ও বিভিন্ন ভাতার টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে সরাসরি সোহেল তাজের ব্যাংক হিসাবে চলে গেলেও তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাননি। পরে ওই ২২ মাসের বেতন-ভাতা দাবি করে আবেদন করেন সোহেল তাজের ব্যক্তিগত কর্মীরা।
আবেদনের সঙ্গে দপ্তরবিহীন সময়েও তাঁরা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- এ মর্মে সোহেল তাজের সই করা প্রত্যয়নপত্র জমা দেন। এ প্রত্যয়নপত্র জাল বলে দাবি করেন সোহেল তাজ, যা গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠে 'বেতনের জন্য সোহেল তাজের স্বাক্ষর জাল' শীর্ষক সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। এ সংবাদ প্রকাশের পর সোহেল তাজের সই যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাঁর স্বাক্ষর জালের যে অভিযোগ করেছেন তা আমরা আমলে নিয়েছি। স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই শেষে সবকিছু নিশ্চিত হয়েই বেতন-ভাতা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
সংবাদ প্রকাশের আগে সোহেল তাজের সঙ্গে কথা বলার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। কিন্তু গতকাল সংবাদ প্রকাশের পর তিনি নিজেই সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে ফোন করেন। সোহেল তাজ বলেন, 'কালের কণ্ঠ থেকে যখন যোগাযোগ করা হয়েছিল তখন আমি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। গত শুক্রবার দেশে ফিরেছি। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, আমি সরকারের টাকা ফেরত দিতে চাই। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে ফেরত দিতে হবে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমি সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি। কিন্তু সরকার থেকে কোনো সাড়া পাইনি। আমি এখনো উত্তরের প্রতীক্ষা করছি।'
টাকা ফেরত দেওয়ার পদ্ধতি জানতে চেয়ে সোহেল তাজ কোনো চিঠি পাঠিয়েছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি তারা পায়নি। পেলে অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরো জানিয়েছে, যেকোনো ব্যক্তি সরকারকে টাকা দিতে পারে। ট্রেজারি চালানে করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী ইচ্ছা করলে বেতন-ভাতা বাবদ কত টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে তার হিসাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জানতে চাইতে পারেন। অথবা তাঁর নিজের ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকেও তা পাবেন। ফেরত দেওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে তিনি অবগত করতে পারেন।
এদিকে সোহেল তাজের সহকারী একান্ত সচিব আবু কাওছার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি সোহেল তাজের কোনো প্রত্যয়নপত্র জমা দেইনি। কে বা কারা এ ধরনের প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছেন তা আমি জানি না। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর অন্য ব্যক্তিগত কর্মচারীরা এটা করে থাকতে পারেন।'
No comments