চাই কঠোর শাস্তি ও সম্মিলিত প্রতিরোধ- শিশু ধর্ষণের ঘটনা
প্রথমবার চেষ্টা ছিল ধর্ষণের; আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার তিনি ধর্ষণের পর হত্যাই করে ফেলেছেন শিশুটিকে! করেছেন সেই বয়সের এক শিশুকে; যে হত্যা বা ধর্ষণ কাকে বলে, তা জানে না।
জানার বয়স হয়নি, তবু মানব প্রকৃতির এই দুই নিকৃষ্ট রিপুর শিকার হয়েছে সে! কোথায় এর শুরু না জানলেও শেষটা জানা প্রয়োজন।
রাজবাড়ীতে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে গতকাল সোমবারের প্রথম আলোয়। কয়েক মাস আগে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুজাতা চাকমাও একইভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক মো. ইবরাহিম একই এলাকার অন্য এক পাহাড়ি শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আট মাস জেলে থেকে উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে ফিরে এসেছিলেন। দুটি ঘটনাতেই ধর্ষণের এবং ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে বেরিয়ে এসে আরও বড় অপরাধ ঘটান। অর্থাৎ আইনের ফোকর গলে জামিনের সুযোগকে প্রতিহিংসা চরিতার্থতায় কাজে লাগানো হচ্ছে। বিষয়টি আদালতের ও আইনপ্রণেতাদের গোচরে আসা প্রয়োজন।
এ ধরনের নৃশংস ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গত বছর ধর্ষণের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে তারা জানাচ্ছে, গত বছরে ধর্ষণ ঘটেছে ৫০৮টি, গণধর্ষণ ১৫৭টি এবং ধর্ষণের পর হত্যা হয়েছে ১০৬টি। কাণ্ডজ্ঞান থেকেই বলা যায়, এগুলো বরফপাহাড়ের ভাসমান চূড়া, অপ্রকাশিত ঘটনা আরও অনেক বেশি।
দিল্লিতে দলবদ্ধ ধর্ষণে মর্মান্তিক মৃত্যু ও তার বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদের পর বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও ধর্ষণের সংবাদে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় নজরদারি, ধর্ষক ও যৌন নির্যাতকদের ব্যাপারে কোনো ছাড় না দেওয়া, দ্রুততম সময়ে তাদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। যে মনোবৃত্তি পুরুষদের একটি অংশকে ধর্ষকে পরিণত করে, যে সংস্কৃতি ধর্ষণের শিকারকে সামাজিকভাবে লাঞ্ছনা করে এবং যে অপরাধ দমনব্যবস্থার ফাঁকফোকর গলে নির্যাতকেরা বেরিয়ে যেতে পারে, সেসবেরই সংস্কার প্রয়োজন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন বেগবান হোক, সরকার সর্বশক্তি দিয়ে এই ব্যাধির প্রতিকার করুক। এ ক্ষেত্রে আপস বা শিথিলতার সুযোগ নেই।
রাজবাড়ীতে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে গতকাল সোমবারের প্রথম আলোয়। কয়েক মাস আগে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুজাতা চাকমাও একইভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক মো. ইবরাহিম একই এলাকার অন্য এক পাহাড়ি শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আট মাস জেলে থেকে উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে ফিরে এসেছিলেন। দুটি ঘটনাতেই ধর্ষণের এবং ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে বেরিয়ে এসে আরও বড় অপরাধ ঘটান। অর্থাৎ আইনের ফোকর গলে জামিনের সুযোগকে প্রতিহিংসা চরিতার্থতায় কাজে লাগানো হচ্ছে। বিষয়টি আদালতের ও আইনপ্রণেতাদের গোচরে আসা প্রয়োজন।
এ ধরনের নৃশংস ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গত বছর ধর্ষণের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে তারা জানাচ্ছে, গত বছরে ধর্ষণ ঘটেছে ৫০৮টি, গণধর্ষণ ১৫৭টি এবং ধর্ষণের পর হত্যা হয়েছে ১০৬টি। কাণ্ডজ্ঞান থেকেই বলা যায়, এগুলো বরফপাহাড়ের ভাসমান চূড়া, অপ্রকাশিত ঘটনা আরও অনেক বেশি।
দিল্লিতে দলবদ্ধ ধর্ষণে মর্মান্তিক মৃত্যু ও তার বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদের পর বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও ধর্ষণের সংবাদে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় নজরদারি, ধর্ষক ও যৌন নির্যাতকদের ব্যাপারে কোনো ছাড় না দেওয়া, দ্রুততম সময়ে তাদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। যে মনোবৃত্তি পুরুষদের একটি অংশকে ধর্ষকে পরিণত করে, যে সংস্কৃতি ধর্ষণের শিকারকে সামাজিকভাবে লাঞ্ছনা করে এবং যে অপরাধ দমনব্যবস্থার ফাঁকফোকর গলে নির্যাতকেরা বেরিয়ে যেতে পারে, সেসবেরই সংস্কার প্রয়োজন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন বেগবান হোক, সরকার সর্বশক্তি দিয়ে এই ব্যাধির প্রতিকার করুক। এ ক্ষেত্রে আপস বা শিথিলতার সুযোগ নেই।
No comments