রাজউক চেয়ারম্যান- পদত্যাগের নেপথ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প by শরিফুল হাসান
রাজধানীর উত্তরায় সরকারি আবাসন প্রকল্পের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার কাজ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান মো. নূরুল হুদা। তবে গতকাল সোমবার প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে এসেছেন।
মন্ত্রণালয় ও রাজউক সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের কাজ পেতে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাণ-প্রতিষ্ঠান ডোঙ্গা এএইচ, দুবাইয়ের এসকর্ন এবং বাংলাদেশের শিকদার রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ‘ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার’ নামে যৌথভাবে দরপত্র জমা দিয়েছে। পেছন থেকে এই যৌথ প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন দিচ্ছেন সরকারদলীয় সাংসদ ও রিহ্যাবের সভাপতি নসরুল হামিদ।
সূত্রগুলোর মতে, ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদারের জমা দেওয়া কাগজপত্র দেখে দরপত্র মূল্যায়ন ও কারিগরি কমিটি যেসব ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে, তাতে ওই প্রতিষ্ঠানটি কাজ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এ ছাড়া উত্তরার ওই প্রকল্পে ‘এ’ শ্রেণীতে সরকারি দলের সাংসদ এনামুল হকের প্রতিষ্ঠান এনা প্রপার্টিজের সঙ্গে ৪০টি ভবন তৈরির কাজ ইতিমধ্যে পেয়ে গেছে ডোঙ্গা। কিন্তু এক বছরেও এই কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে রাজউক চাইছে, যোগ্য কেউ কাজ পাক। তবে সাংসদ নসরুল হামিদ চাইছেন, ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদারই কাজ পাক। এ নিয়েই রাজউক চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরার প্রকল্প নিয়ে রোববার দুপুরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সাংসদ নসরুল হামিদ, শিকদার গ্রুপের প্রতিনিধি রন হক শিকদার, রিক শিকদার, রাজউকের চেয়ারম্যান নূরুল হুদাসহ কয়েকজন কর্মকর্তা বৈঠকে বসেন। ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার গ্রুপকে কাজ দিতে রাজউক চেয়ারম্যানকে চাপ দেন সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু চেয়ারম্যান এই গ্রুপকে কাজ দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। কারণ, কারিগরি কমিটির দৃষ্টিতে এটি অযোগ্য। বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, প্রয়োজনে আরেকটি কারিগরি কমিটি করা হোক। তবু ওই গ্রুপকেই কাজ দিতে হবে।
রাজউক চেয়ারম্যান এর প্রতিবাদ করলে একপর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলেন। রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুব আলমের বিদেশ সফর নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন। এরপর বিকেলে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে দিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন রাজউকের চেয়ারম্যান। পদত্যাগপত্রে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে গতকাল মন্ত্রণালয়ে রাজউকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নূরুল হুদার কাছ থেকে পদত্যাগের কোনো চিঠি পাইনি।’
রাজউকের চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি বিশ্রাম নিতে চেয়েছি। তাই নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগপত্র দিয়েছিলাম।’ তিনি ওই বৈঠক নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, পদত্যাগের কারণ শারীরিক অসুস্থতা নয়। কারণ, চাকরি ছাড়ার মতো অসুস্থ হলে তো তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতেন। তা ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি কীভাবে সুস্থ হয়ে গেলেন এবং বললেন, চাকরির মেয়াদ (মার্চ পর্যন্ত) পূর্ণ করবেন।
রাজউক কার্যালয়ে গিয়ে এবং দুদিন ধরে অসংখ্যবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মাহবুব আলমকে পাওয়া যায়নি।
রোববারের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে শিকদার গ্রুপের অন্যতম মালিক এবং শিকদার রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের অন্য একটি বিষয় নিয়ে বৈঠক ছিল। সে কারণেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।’ নসরুল হামিদ কেন বৈঠকে গিয়েছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের পারিবারিক বন্ধু।’ উত্তরার কাজ পেতে তিনি চাপ সৃষ্টি করছেন? জবাবে রন বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।
নসরুল হামিদও ওই গ্রুপকে কাজ পাইয়ে দিতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সেখানে তো আমি দরপত্রই জমা দিইনি, চাপ দেব কেন।’
১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প: রাজউকের সম্প্রসারিত উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে তিন শ্রেণীতে মোট ২০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য খরচ হবে নয় হাজার ৩০ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ‘এ’ শ্রেণীতে ৭৯টি ভবন (সাড়ে ছয় হাজার ফ্ল্যাট) তৈরির জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬১টিরই কাজ পেয়েছে এনা-ডোঙ্গা-ডিডিজে। বাকি ১৮টি ভবনের মধ্যে ১৬টি তৈরির কাজ পেয়েছেন নসরুল হামিদ। কিন্তু গত এক বছরেও কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।
এরই মধ্যে ‘বি’ শ্রেণীতে মোট ৭২টি এবং ‘সি’ শ্রেণীতে আরও ৭২টি ভবন তৈরির জন্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১৪৪টি ভবন তৈরির ওই কাজ পেতে মোট ৪৫টি দরপত্র বিক্রি হলেও ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার যৌথ কোম্পানিই শুধু দরপত্র জমা দিয়েছে। অন্য কোনো কোম্পানি কেন দরপত্র জমা দেয়নি তার জবাব মেলেনি।
দরপত্র ত্রুটিপূর্ণ: মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি ও সার্বিক দরপত্র মূল্যায়নবিষয়ক দুটি কমিটি ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদারের জমা দেওয়া দরপত্র মূল্যায়ন করেছে।
কারিগরি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণীর কাজ পাওয়ার জন্য যে নকশা চাওয়া হয়েছিল, তার মাত্র ৩০ ভাগ জমা দিতে পেরেছে যৌথ ওই প্রতিষ্ঠান। ফলে তারা কাজ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দরপত্রের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সদস্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের মূল্যায়ন শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। যা বলার আমরা প্রতিবেদনেই বলেছি।’ এই কমিটির প্রধান ছিলেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও উত্তরা প্রকল্পের পরিচালক এম এমদাদুল ইসলাম।
দরপত্রের সার্বিক মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই কাজ পেতে দরপত্রে যে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল, তাতে উল্লেখ ছিল, বার্ষিক ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন থাকতে হবে। শিকদার গ্রুপের ওই লেনদেন থাকলেও শিকদার রিয়েল এস্টেটের তা নেই।
কমিটির সদস্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুব আলম। আমরা তাঁর মাধ্যমে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
সূত্রগুলোর মতে, ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদারের জমা দেওয়া কাগজপত্র দেখে দরপত্র মূল্যায়ন ও কারিগরি কমিটি যেসব ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে, তাতে ওই প্রতিষ্ঠানটি কাজ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এ ছাড়া উত্তরার ওই প্রকল্পে ‘এ’ শ্রেণীতে সরকারি দলের সাংসদ এনামুল হকের প্রতিষ্ঠান এনা প্রপার্টিজের সঙ্গে ৪০টি ভবন তৈরির কাজ ইতিমধ্যে পেয়ে গেছে ডোঙ্গা। কিন্তু এক বছরেও এই কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে রাজউক চাইছে, যোগ্য কেউ কাজ পাক। তবে সাংসদ নসরুল হামিদ চাইছেন, ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদারই কাজ পাক। এ নিয়েই রাজউক চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরার প্রকল্প নিয়ে রোববার দুপুরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সাংসদ নসরুল হামিদ, শিকদার গ্রুপের প্রতিনিধি রন হক শিকদার, রিক শিকদার, রাজউকের চেয়ারম্যান নূরুল হুদাসহ কয়েকজন কর্মকর্তা বৈঠকে বসেন। ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার গ্রুপকে কাজ দিতে রাজউক চেয়ারম্যানকে চাপ দেন সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু চেয়ারম্যান এই গ্রুপকে কাজ দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। কারণ, কারিগরি কমিটির দৃষ্টিতে এটি অযোগ্য। বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, প্রয়োজনে আরেকটি কারিগরি কমিটি করা হোক। তবু ওই গ্রুপকেই কাজ দিতে হবে।
রাজউক চেয়ারম্যান এর প্রতিবাদ করলে একপর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলেন। রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুব আলমের বিদেশ সফর নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন। এরপর বিকেলে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে দিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন রাজউকের চেয়ারম্যান। পদত্যাগপত্রে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে গতকাল মন্ত্রণালয়ে রাজউকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নূরুল হুদার কাছ থেকে পদত্যাগের কোনো চিঠি পাইনি।’
রাজউকের চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি বিশ্রাম নিতে চেয়েছি। তাই নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগপত্র দিয়েছিলাম।’ তিনি ওই বৈঠক নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, পদত্যাগের কারণ শারীরিক অসুস্থতা নয়। কারণ, চাকরি ছাড়ার মতো অসুস্থ হলে তো তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতেন। তা ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি কীভাবে সুস্থ হয়ে গেলেন এবং বললেন, চাকরির মেয়াদ (মার্চ পর্যন্ত) পূর্ণ করবেন।
রাজউক কার্যালয়ে গিয়ে এবং দুদিন ধরে অসংখ্যবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মাহবুব আলমকে পাওয়া যায়নি।
রোববারের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে শিকদার গ্রুপের অন্যতম মালিক এবং শিকদার রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের অন্য একটি বিষয় নিয়ে বৈঠক ছিল। সে কারণেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।’ নসরুল হামিদ কেন বৈঠকে গিয়েছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাদের পারিবারিক বন্ধু।’ উত্তরার কাজ পেতে তিনি চাপ সৃষ্টি করছেন? জবাবে রন বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।
নসরুল হামিদও ওই গ্রুপকে কাজ পাইয়ে দিতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সেখানে তো আমি দরপত্রই জমা দিইনি, চাপ দেব কেন।’
১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প: রাজউকের সম্প্রসারিত উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে তিন শ্রেণীতে মোট ২০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য খরচ হবে নয় হাজার ৩০ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ‘এ’ শ্রেণীতে ৭৯টি ভবন (সাড়ে ছয় হাজার ফ্ল্যাট) তৈরির জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬১টিরই কাজ পেয়েছে এনা-ডোঙ্গা-ডিডিজে। বাকি ১৮টি ভবনের মধ্যে ১৬টি তৈরির কাজ পেয়েছেন নসরুল হামিদ। কিন্তু গত এক বছরেও কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।
এরই মধ্যে ‘বি’ শ্রেণীতে মোট ৭২টি এবং ‘সি’ শ্রেণীতে আরও ৭২টি ভবন তৈরির জন্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১৪৪টি ভবন তৈরির ওই কাজ পেতে মোট ৪৫টি দরপত্র বিক্রি হলেও ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার যৌথ কোম্পানিই শুধু দরপত্র জমা দিয়েছে। অন্য কোনো কোম্পানি কেন দরপত্র জমা দেয়নি তার জবাব মেলেনি।
দরপত্র ত্রুটিপূর্ণ: মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি ও সার্বিক দরপত্র মূল্যায়নবিষয়ক দুটি কমিটি ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদারের জমা দেওয়া দরপত্র মূল্যায়ন করেছে।
কারিগরি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণীর কাজ পাওয়ার জন্য যে নকশা চাওয়া হয়েছিল, তার মাত্র ৩০ ভাগ জমা দিতে পেরেছে যৌথ ওই প্রতিষ্ঠান। ফলে তারা কাজ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দরপত্রের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সদস্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের মূল্যায়ন শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। যা বলার আমরা প্রতিবেদনেই বলেছি।’ এই কমিটির প্রধান ছিলেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও উত্তরা প্রকল্পের পরিচালক এম এমদাদুল ইসলাম।
দরপত্রের সার্বিক মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই কাজ পেতে দরপত্রে যে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল, তাতে উল্লেখ ছিল, বার্ষিক ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন থাকতে হবে। শিকদার গ্রুপের ওই লেনদেন থাকলেও শিকদার রিয়েল এস্টেটের তা নেই।
কমিটির সদস্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুব আলম। আমরা তাঁর মাধ্যমে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
No comments