যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী- কাঁচা বাঁশের খুঁটি দিয়ে ২৬০০ ফুট বিদ্যুৎ লাইন
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নে কাঁচা বাঁশের খুঁটি দিয়ে দুই হাজার ৬০০ ফুট বৈদ্যুতিক লাইন টেনে একটি গভীর নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
সেচবিধি লঙ্ঘন করে এবং উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে ৩৫টি বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে এই থ্রি-ফেজ বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের মন্মথপুর দাড়ামপাড়া গ্রামের জুয়েল ইসলাম ১০ জানুয়ারি একটি গভীর নলকূপের খননকাজ শেষ করেন। এরপর কাঁচা বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে ওই নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়। উপজেলা সেচ কমিটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ-আল-আজাদ জানান, ওই এলাকায় আগে থেকেই স্থানীয় গৌরাঙ্গ সরকারের একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। সেচবিধি অনুযায়ী, একটি গভীর নলকূপ থেকে অপর গভীর নলকূপের দূরত্ব কমপক্ষে দুই হাজার ৫০০ ফুট হতে হবে। এ বিধি লঙ্ঘন করে ওই নলকূপের মাত্র ২০০ ফুট দূরে জুয়েল গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন।
মন্মথপুর কৈবর্তপাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্রসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ না দেওয়ার জন্য তাঁরা আবাসিক প্রকৌশলীকে নিষেধ করেছিলেন। সম্প্রতি বাঁশের খুঁটি উপড়ে জমিতে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষক দুলাল চন্দ্র দাসের একটি গবাদিপশু মারা যায়। এ নিয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় অভিযোগও করা হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জুয়েল বলেন, তিন বছর আগে তিনি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র (অগভীর নলকূপ) স্থাপন করেন। নতুন করে সেটা সংস্কার করা হয়েছে মাত্র। আগে থেকেই ওই শ্যালো ইঞ্জিনের জন্য বিদ্যুৎ কার্যালয় থেকে তিনি অনুমোদন নেন।
স্থানীয় গৌরাঙ্গ সরকার অভিযোগ করেন, জুয়েল মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আবাসিক প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে গভীর নলকূপ স্থাপন ও মিটার ছাড়াই বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সেচ ও বিদ্যুতের সংযোগের বিধি মানা হয়নি। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে পিডিবির পার্বতীপুর কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী মাহাবুবুল আলম বলেন, এ ধরনের সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। বাঁশের খুঁটির ওপর বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করারও নিয়ম নেই। তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে পার্বতীপুরের ইউএনও রাহেনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের মন্মথপুর দাড়ামপাড়া গ্রামের জুয়েল ইসলাম ১০ জানুয়ারি একটি গভীর নলকূপের খননকাজ শেষ করেন। এরপর কাঁচা বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে ওই নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়। উপজেলা সেচ কমিটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ-আল-আজাদ জানান, ওই এলাকায় আগে থেকেই স্থানীয় গৌরাঙ্গ সরকারের একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। সেচবিধি অনুযায়ী, একটি গভীর নলকূপ থেকে অপর গভীর নলকূপের দূরত্ব কমপক্ষে দুই হাজার ৫০০ ফুট হতে হবে। এ বিধি লঙ্ঘন করে ওই নলকূপের মাত্র ২০০ ফুট দূরে জুয়েল গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন।
মন্মথপুর কৈবর্তপাড়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্রসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ না দেওয়ার জন্য তাঁরা আবাসিক প্রকৌশলীকে নিষেধ করেছিলেন। সম্প্রতি বাঁশের খুঁটি উপড়ে জমিতে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষক দুলাল চন্দ্র দাসের একটি গবাদিপশু মারা যায়। এ নিয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় অভিযোগও করা হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জুয়েল বলেন, তিন বছর আগে তিনি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র (অগভীর নলকূপ) স্থাপন করেন। নতুন করে সেটা সংস্কার করা হয়েছে মাত্র। আগে থেকেই ওই শ্যালো ইঞ্জিনের জন্য বিদ্যুৎ কার্যালয় থেকে তিনি অনুমোদন নেন।
স্থানীয় গৌরাঙ্গ সরকার অভিযোগ করেন, জুয়েল মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আবাসিক প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে গভীর নলকূপ স্থাপন ও মিটার ছাড়াই বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সেচ ও বিদ্যুতের সংযোগের বিধি মানা হয়নি। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে পিডিবির পার্বতীপুর কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী মাহাবুবুল আলম বলেন, এ ধরনের সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। বাঁশের খুঁটির ওপর বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করারও নিয়ম নেই। তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে পার্বতীপুরের ইউএনও রাহেনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
No comments