সম্মেলনে জাতিসংঘ জলবায়ু প্রধান-সব দেশে জলবায়ু আইন জরুরি
জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক প্রধান ক্রিস্তিয়ানা ফিগেরেস বলেছেন, সব দেশে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন এবং গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণসংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সাফল্য পাওয়ার জন্যই এটা জরুরি।
এদিকে ৩৩টি দেশের ওপর লন্ডনভিত্তিক পরিবেশসংক্রান্ত আইন প্রণয়নকারী সংস্থা গ্লোবের চালানো জরিপে দেখা গেছে, ৩২টি দেশই জলবায়ুসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন তৈরি করেছে অথবা তৈরির পথে আছে।
লন্ডনে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ক্রিস্তিয়ানা কার্বন নির্গমন রোধে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির তাগিদ দেন। তিনি এও জানান, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি কমাতে সরকারগুলোর অবশ্যই অভ্যন্তরীণ জলবায়ু আইন থাকতে হবে। কার্বন নির্গমনের হার কমানো এবং জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প প্রবর্তনের লক্ষ্যে প্রণীত জাতীয় আইন ও নীতিমালার ওপর নির্ভর করবে কার্বন নির্গমনসংক্রান্ত নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তি। ক্রিস্তিয়ানা বলেন, 'দেশীয় আইন প্রণয়ন জটিল ব্যাপার। কারণ এটা আন্তর্জাতিক আইন এবং তার স্থানীয় প্রয়োগের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। জাতীয় পর্যায়ে এটা স্পষ্ট, কোনো দেশে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি নীতি থাকলে বিনিয়োগের প্রবাহ ঠিক থাকে। আন্তর্জাতিক দিক থেকেও বিষয়টি সমানভাবে পরিষ্কার। অভ্যন্তরীণ আইনই আন্তর্জাতিক চুক্তিতে পৌঁছতে রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়।'
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৯৭ সালের কিয়োটো প্রোটোকলের প্রথম পর্ব শেষ হয়ে গেছে। এটাই ছিল এযাবৎ কার্বন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একমাত্র আন্তর্জাতিক চুক্তি। কিছু দেশ ২০২০ সাল পর্যন্ত এ চুক্তিকে ছোট পরিসরে চালু রাখার ব্যাপারে একমত। তবে ২০১১ সালের শেষেই বেশির ভাগ দেশ নতুন চুক্তি করার কথা ঘোষণা করেছিল। যার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দ্রুত কার্বন নির্গমন কমাতে বাধ্য করা যাবে। কিন্তু গত ডিসেম্বরে দোহা সম্মেলনে এ বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি ঘটেনি।
এদিকে গ্লোবের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, কিছু উঠতি অর্থনীতির দেশসহ ১৮টি দেশ জলবায়ু সংক্রান্ত আইন তৈরিতে 'উল্লেখযোগ্য' অগ্রগতি ঘটাতে পেরেছে। তবে কার্বন নির্গমন এখনো ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে চলেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। গ্লোবের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের সাবেক পরিবেশমন্ত্রী জন গামার জানান, জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতি কিছু আশার আলো দেখিয়ে থাকবে। সূত্র : গার্ডিয়ান, বিবিসি।
লন্ডনে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ক্রিস্তিয়ানা কার্বন নির্গমন রোধে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির তাগিদ দেন। তিনি এও জানান, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি কমাতে সরকারগুলোর অবশ্যই অভ্যন্তরীণ জলবায়ু আইন থাকতে হবে। কার্বন নির্গমনের হার কমানো এবং জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প প্রবর্তনের লক্ষ্যে প্রণীত জাতীয় আইন ও নীতিমালার ওপর নির্ভর করবে কার্বন নির্গমনসংক্রান্ত নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তি। ক্রিস্তিয়ানা বলেন, 'দেশীয় আইন প্রণয়ন জটিল ব্যাপার। কারণ এটা আন্তর্জাতিক আইন এবং তার স্থানীয় প্রয়োগের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। জাতীয় পর্যায়ে এটা স্পষ্ট, কোনো দেশে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি নীতি থাকলে বিনিয়োগের প্রবাহ ঠিক থাকে। আন্তর্জাতিক দিক থেকেও বিষয়টি সমানভাবে পরিষ্কার। অভ্যন্তরীণ আইনই আন্তর্জাতিক চুক্তিতে পৌঁছতে রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়।'
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৯৭ সালের কিয়োটো প্রোটোকলের প্রথম পর্ব শেষ হয়ে গেছে। এটাই ছিল এযাবৎ কার্বন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একমাত্র আন্তর্জাতিক চুক্তি। কিছু দেশ ২০২০ সাল পর্যন্ত এ চুক্তিকে ছোট পরিসরে চালু রাখার ব্যাপারে একমত। তবে ২০১১ সালের শেষেই বেশির ভাগ দেশ নতুন চুক্তি করার কথা ঘোষণা করেছিল। যার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দ্রুত কার্বন নির্গমন কমাতে বাধ্য করা যাবে। কিন্তু গত ডিসেম্বরে দোহা সম্মেলনে এ বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি ঘটেনি।
এদিকে গ্লোবের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, কিছু উঠতি অর্থনীতির দেশসহ ১৮টি দেশ জলবায়ু সংক্রান্ত আইন তৈরিতে 'উল্লেখযোগ্য' অগ্রগতি ঘটাতে পেরেছে। তবে কার্বন নির্গমন এখনো ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে চলেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। গ্লোবের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের সাবেক পরিবেশমন্ত্রী জন গামার জানান, জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতি কিছু আশার আলো দেখিয়ে থাকবে। সূত্র : গার্ডিয়ান, বিবিসি।
No comments