তিন দিনের সফরে রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী, লালগালিচা সংবর্ধনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার দুপুরে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় তিনি মস্কো পৌঁছলে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তিন দিনের সফরে গতকাল দুপুরে মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ভ্লাদিমিরোভিচ।
তিন দিনের সফরে গতকাল দুপুরে মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ভ্লাদিমিরোভিচ।
এরপর সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানায়। এ সময় বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রাসহকারে শেখ হাসিনা মস্কোর প্রেসিডেন্ট হোটেলে যান। মস্কোতে তিনি এ হোটেলে অবস্থান করবেন।
আজ মঙ্গলবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক শক্তি, সন্ত্রাসবাদ দমন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সহযোগিতার বিভিন্ন খাতে চারটি চুক্তি ও ছয়টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা রয়েছে। এসব চুক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ঋণে সমরাস্ত্র কেনাকাটার জন্য আট হাজার কোটি টাকার চুক্তি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাক-সমীক্ষার জন্য চার হাজার কোটি টাকার চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী আজ আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে পুতিনের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। তা ছাড়া এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন রাশিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার ভেলেনতিনা আই মাতভিয়েঙ্কো এবং যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী নিকোলাই নিকিফোরোব।
গত চার দশকে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষ নেতার এটিই হচ্ছে প্রথম মস্কো সফর। ১৯৭২ সালের এপ্রিলে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরে যান।
‘ভারতের সঙ্গে প্রায় কোনো সীমান্তবিরোধ নেই’: বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, তিন দিনের সফরে রাশিয়ায় যাওয়ার আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রতিবেশীদের সঙ্গে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে শান্তি বজায় রেখে চলতে বাধ্য বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে এখন বাংলাদেশের প্রায় কোনো সীমান্তবিরোধ নেই বললেই চলে।
শেখ হাসিনা বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উদ্ধৃত করে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইতার-তাসকে বলেন, ‘জাতির পিতা বলতেন, সবার সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা জরুরি, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য দুই প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও নেপালের সঙ্গেও দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে ঢাকা “আন্তরিক সম্পর্ক” শুরু করেছে। এই অঞ্চলজুড়ে ট্রানজিট যোগাযোগের জন্য আমরা সবাই মিলে ভারতের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমনকি মিয়ানমারের মতো একটি বিচ্ছিন্ন দেশের সঙ্গেও আমরা ইতিবাচক সংলাপ শুরু করেছি এবং সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেছি।’
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রাসহকারে শেখ হাসিনা মস্কোর প্রেসিডেন্ট হোটেলে যান। মস্কোতে তিনি এ হোটেলে অবস্থান করবেন।
আজ মঙ্গলবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক শক্তি, সন্ত্রাসবাদ দমন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সহযোগিতার বিভিন্ন খাতে চারটি চুক্তি ও ছয়টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা রয়েছে। এসব চুক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ঋণে সমরাস্ত্র কেনাকাটার জন্য আট হাজার কোটি টাকার চুক্তি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাক-সমীক্ষার জন্য চার হাজার কোটি টাকার চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী আজ আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে পুতিনের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। তা ছাড়া এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন রাশিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার ভেলেনতিনা আই মাতভিয়েঙ্কো এবং যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী নিকোলাই নিকিফোরোব।
গত চার দশকে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষ নেতার এটিই হচ্ছে প্রথম মস্কো সফর। ১৯৭২ সালের এপ্রিলে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরে যান।
‘ভারতের সঙ্গে প্রায় কোনো সীমান্তবিরোধ নেই’: বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, তিন দিনের সফরে রাশিয়ায় যাওয়ার আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রতিবেশীদের সঙ্গে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে শান্তি বজায় রেখে চলতে বাধ্য বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে এখন বাংলাদেশের প্রায় কোনো সীমান্তবিরোধ নেই বললেই চলে।
শেখ হাসিনা বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উদ্ধৃত করে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইতার-তাসকে বলেন, ‘জাতির পিতা বলতেন, সবার সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা জরুরি, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য দুই প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও নেপালের সঙ্গেও দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে ঢাকা “আন্তরিক সম্পর্ক” শুরু করেছে। এই অঞ্চলজুড়ে ট্রানজিট যোগাযোগের জন্য আমরা সবাই মিলে ভারতের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমনকি মিয়ানমারের মতো একটি বিচ্ছিন্ন দেশের সঙ্গেও আমরা ইতিবাচক সংলাপ শুরু করেছি এবং সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেছি।’
No comments