স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ান, দুর্নীতি কমান- চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাচারিতা
সরকারের স্বাস্থ্য খাতে যে বেলাগাম অনিয়ম ও নৈরাজ্য চলছে, তার একটি খণ্ডচিত্র পাওয়া গেছে গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ঢাকায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিকিৎসক থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পদ খালি আছে।
সারা দেশে মোট সরকারি চিকিৎসকের পদ ২৪ হাজার ৬০০, এর মধ্যে আট হাজারের কিছু বেশি পদ খালি আছে। ঢাকায়ও সমানুপাতে চিকিৎসকের পদ খালি থাকার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি এর বিপরীত। কিছুদিন আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) খানা জরিপ প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বেশি বলে তথ্য প্রকাশ করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা প্রতিবাদ করেছিলেন। এবার তাঁরা কী বলবেন?
গ্রামাঞ্চলে সরকারি চিকিৎসকেরা থাকতে চান না—এই গৎবাঁধা কথা আমরা শুনতে চাই না। কেন তাঁরা গ্রামে থাকেন না, চাকরিবিধি মানেন না, সেই প্রশ্নের সদুত্তর খুঁজে বের করতে হবে। তাঁদের এই স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডে কারা ইন্ধন জোগাচ্ছেন, তা কারও অজানা নয়। চিকিৎসকদের গ্রামাঞ্চলে রাখতে হলে তথাকথিত প্রভাবশালীদের তদবির-দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। যাঁরা তদবির করে ঢাকায় পদায়ন নিয়েছেন, তাঁদের পাশাপাশি তদবিরবাজদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। আগের আওয়ামী লীগ আমলে কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তদবিরবাজদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হোক। যখন প্রভাবশালীদের তদবিরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অগ্রাহ্য করে চিকিৎসকেরা ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তাঁরা মান্য করবেন কেন? আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং বিএনপির আমলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যদি মন্ত্রণালয়ের ওপর ছড়ি ঘোরায়, তাহলে কখনোই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলা আসবে না।
গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকের একটি পদও খালি রাখা চলবে না। কেউ অনুমোদন ছাড়া কর্মস্থলে না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীর জন্য বছরে রাষ্ট্রের ব্যয় হয় এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৩ টাকা। যেকোনো কোর্সের নামে সরকারি চিকিৎসকেরা সেই অর্থ যথেচ্ছ ব্যয় করতে পারেন না। তাঁদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। কোথাও নিয়োগ পেয়েই প্রেষণে বা অন্য কোনো কারণ দেখিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করা নৈতিক নয়।
এখানে আরেকটি বিষয়ের প্রতি সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকদের গ্রামে থাকার ক্ষেত্রে কিছু বাস্তব সমস্যা আছে। যেসব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সদের থাকার উপযুক্ত বাসস্থান নেই, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করতে হবে। দিতে হবে নিরাপত্তাও।
কর্মস্থলে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একমাত্র ব্যাধি নয়। অপ্রতুল অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধের অভাব প্রকট। এগুলো নিরসন না করে জনস্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন আকাশকুসুম কল্পনা ছাড়া কিছু নয়।
গ্রামাঞ্চলে সরকারি চিকিৎসকেরা থাকতে চান না—এই গৎবাঁধা কথা আমরা শুনতে চাই না। কেন তাঁরা গ্রামে থাকেন না, চাকরিবিধি মানেন না, সেই প্রশ্নের সদুত্তর খুঁজে বের করতে হবে। তাঁদের এই স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডে কারা ইন্ধন জোগাচ্ছেন, তা কারও অজানা নয়। চিকিৎসকদের গ্রামাঞ্চলে রাখতে হলে তথাকথিত প্রভাবশালীদের তদবির-দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। যাঁরা তদবির করে ঢাকায় পদায়ন নিয়েছেন, তাঁদের পাশাপাশি তদবিরবাজদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। আগের আওয়ামী লীগ আমলে কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তদবিরবাজদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হোক। যখন প্রভাবশালীদের তদবিরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অগ্রাহ্য করে চিকিৎসকেরা ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তাঁরা মান্য করবেন কেন? আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং বিএনপির আমলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যদি মন্ত্রণালয়ের ওপর ছড়ি ঘোরায়, তাহলে কখনোই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলা আসবে না।
গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকের একটি পদও খালি রাখা চলবে না। কেউ অনুমোদন ছাড়া কর্মস্থলে না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীর জন্য বছরে রাষ্ট্রের ব্যয় হয় এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৩ টাকা। যেকোনো কোর্সের নামে সরকারি চিকিৎসকেরা সেই অর্থ যথেচ্ছ ব্যয় করতে পারেন না। তাঁদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। কোথাও নিয়োগ পেয়েই প্রেষণে বা অন্য কোনো কারণ দেখিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করা নৈতিক নয়।
এখানে আরেকটি বিষয়ের প্রতি সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকদের গ্রামে থাকার ক্ষেত্রে কিছু বাস্তব সমস্যা আছে। যেসব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সদের থাকার উপযুক্ত বাসস্থান নেই, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করতে হবে। দিতে হবে নিরাপত্তাও।
কর্মস্থলে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একমাত্র ব্যাধি নয়। অপ্রতুল অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধের অভাব প্রকট। এগুলো নিরসন না করে জনস্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন আকাশকুসুম কল্পনা ছাড়া কিছু নয়।
No comments