স্টুডেন্ট ভিসা স্থগিত করেছে ব্রিটেন, বিপাকে শিক্ষাথীরা
বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ব্রিটেন। এর ফলে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষাথীদের ব্রিটেন যাওয়া আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে।
দেশটির বডর্ার এজেন্সি জানিয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকই সঠিক নয়। তবে ফেব্রম্নয়ারির শেষভাগে এ সিদ্ধানত্ম পুনর্বিবেচনা হতে পারে বলে এজেন্সির কর্মকতর্ারা জানিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, উত্তর ভারত ও নেপালের ব্যাপারেও একই সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে।ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বডর্ার এজেন্সির ঘোষণার পর সোমবার থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট ভিসা আবেদন কেন্দ্রে সাময়িকভাবে পয়েন্টভিত্তিক টিয়ার-৪ প্রক্রিয়ার আওতায় স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে জানানো হয়, এই স্থগিতাদেশ সাময়িক এবং বডর্ার এজেন্সি শীঘ্রই টিআর-৪ এর আওতায় ভিসা আবেদন গ্রহণ শুরম্ন করবে। আশাতিরিক্ত স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের প্রেেিত এই সিদ্ধানত্ম নেয়া হবে। সাময়িক স্থগিতাদেশ ভিসা আবেদন আরও সঠিক ও দভাবে বিচার করার সুযোগ দেবে। এই ঘোষণা অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ভিসা আবেদনকারীদের েেত্র প্রযোজ্য হবে না। বডর্ার এজেন্সির আঞ্চলিক পরিচালক ক্রিস ডিক্স বলেছেন, ইউকে বডর্ার এজেন্সি সকল গ্রাহককে দ ভিসা প্রক্রিয়ায় সাহায্য দিতে বদ্ধপরিকর। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু যথার্থ এবং সঠিকভাবে করতে চাই। আমরা ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া দভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পদপে নেব। এ যাবত যত আবেদন হয়েছে সেগুলোর কাজ করার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া কাজ করে যাবে এবং এক মাস পর আমরা সাময়িক স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনা করব। ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের ইউকেবিএ'র অপারেশন ম্যানেজার স্টুয়ার্ট পারসিভাল বলেন, আমি প্রকৃত বাংলাদেশী ছাত্রদের ব্রিটেনে শিা অর্জন দেখতে আগ্রহী। এই সাময়িক পদেেপর মূল উদ্দেশ্য আসলে ছাত্রদের, পেশাদার লোকজন এবং ভাল শিাদাতাদের স্বার্থরা করা। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করব এবং আশা করছি ব্রিটেনে গমনেচ্ছু প্রকৃত ছাত্রদের জন্য স্বাভাবিক ভিসা প্রক্রিয়া শুরম্ন হবে।
বিবিসি জানায়, গত বছরের শেষ তিন মাসে স্টুডেন্ট ভিসায় ব্রিটেনে যেতে আগ্রহী শুধু উত্তর ভারতের শিাথর্ীর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫শ' জন। মূলত স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতেই এ পদপে নেয়া হয়েছে। বডর্ার এজেন্সির কর্মকতর্া জেরেমি ওপেনহেইম বিবিসিকে বলেন, আমরা প্রত্যেক শিাথর্ীর আবেদনপত্র খুঁটিয়ে দেখব। যারা অবৈধ সুযোগ নেবে তাদের বিরম্নদ্ধেুকঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নয়াদিলস্নীতে ব্রিটেনের হাইকমিশনার বলেছেন, সুযোগের অপব্যবহার ঘটতে দেয়া উচিত নয়। লন্ডনে ভিসা সংক্রানত্ম এক পরামর্শক হরজাপ সিং ভাঙ্গাল বলেন, এটা এক ধরনের আতঙ্ক ছড়াবে। হয়ত এক মাস পরই এ সিদ্ধানত্ম প্রত্যাহার হতে পারে। আবার কয়েক মাস ধরেই চলতে পারে। তিনি বলেন, ভুয়া শিাথর্ীরা প্রকৃত শিার্থীদের ভোগানত্মি বাড়ায়।
অর্থনৈতিক মন্দার পর থেকে ব্রিটেনে চাকরির বাজার কিছুটা মন্দা। গত সাত আট মাসে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে ১০ থেকে ১১ হাজার শিার্থী স্টুডেন্ট ভিসায় গেছে বলে জানা গেছে। তারা প্রায় সবাই পূর্ব লন্ডনে অবস্থান করেন। চাকরিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ত্রে সঙ্কুচিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে আসা শিাথর্ীদের ব্রিটেনে দুভের্াগে পড়তে হয়েছে। যে সকল শিার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, কাজ হারিয়ে তাঁদের অনেকে বেকার হয়ে পড়েন। আর্থিক সঙ্কটের কারণে অনেক শিাথর্ী শেষ পর্যনত্ম শিা কার্যক্রম বন্ধ রেখে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। বিদেশী শিার্থীদের ভিসা শিাগ্রহণ ও ভিসা সংক্রানত্ম কাজে নিয়োজিত কয়েকটি কলেজও সম্প্রতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
No comments