গণধর্ষণের পর কিশোরীর কাছেই চাঁদা দাবি
এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর তার কাছেই চার হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে তিন বখাটে। চাঁদা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। গত রবিবার রাতে বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডে ওই ঘটনা ঘটে।
গতকাল সোমবার নির্যাতিত কিশোরী (১৪) তিন ধর্ষকের নামে থানায় মামলা করার পর পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাতিজা শাফায়েত ইসলাম রুবেল (২২) ও একই এলাকার মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে হাসিবুল হাসান মো. রুবেল (২১)। অন্য ধর্ষকের নাম শাহীন। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। নির্যাতিতা (১৪) জানায়, রবিবার সন্ধ্যার পর নিজ বাসা থেকে খালাতো ভাইয়ের (১২) সঙ্গে খালার বাসায় যাচ্ছিল সে। ওই ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রামের রাস্তার মাথায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাকে জোর করে কীর্তনখোলা নদীসংলগ্ন নির্মাণাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এলাকায় নিয়ে যায়। এ সময় খালাতো ভাইকে মারধর করে পাশে ফেলে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। ধর্ষক শাফায়েত, রুবেল ও শাহীনকে সে চিনতে পারে বলে জানায়।
মেয়েটি আরো বলে, 'ধর্ষণের পরে তারা আমার কাছে উল্টা চার হাজার টাকা দাবি করে। না দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।'
নির্যাতিত কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে একটি হোটেলে কাজ করে। সন্ধ্যায় মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে তাকে খুঁজতে বের হন তিনি। পরে অন্যদের কাছে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশে খবর দেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পলাশপুর কাজীর গোরস্তান এলাকা থেকে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। একই সঙ্গে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিশোরী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছে। আটক দুজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আরেক আসামি শাহিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের গতকাল আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, গতকাল সকালে মামলার পর শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার ভাতিজা শাফায়েত ইসলাম রুবেল (২২) ও একই এলাকার মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে হাসিবুল হাসান মো. রুবেল (২১)। অন্য ধর্ষকের নাম শাহীন। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। নির্যাতিতা (১৪) জানায়, রবিবার সন্ধ্যার পর নিজ বাসা থেকে খালাতো ভাইয়ের (১২) সঙ্গে খালার বাসায় যাচ্ছিল সে। ওই ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রামের রাস্তার মাথায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাকে জোর করে কীর্তনখোলা নদীসংলগ্ন নির্মাণাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এলাকায় নিয়ে যায়। এ সময় খালাতো ভাইকে মারধর করে পাশে ফেলে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। ধর্ষক শাফায়েত, রুবেল ও শাহীনকে সে চিনতে পারে বলে জানায়।
মেয়েটি আরো বলে, 'ধর্ষণের পরে তারা আমার কাছে উল্টা চার হাজার টাকা দাবি করে। না দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।'
নির্যাতিত কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে একটি হোটেলে কাজ করে। সন্ধ্যায় মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে তাকে খুঁজতে বের হন তিনি। পরে অন্যদের কাছে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশে খবর দেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পলাশপুর কাজীর গোরস্তান এলাকা থেকে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। একই সঙ্গে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিশোরী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছে। আটক দুজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আরেক আসামি শাহিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের গতকাল আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, গতকাল সকালে মামলার পর শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments