জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি-জনজীবনে এর প্রভাব নিয়েও ভাবতে হবে
অজুহাত ভর্তুকি কমানো, আর নেপথ্যে দাতা সংস্থার চাপ। সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই নির্বাহী আদেশে আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল সরকার। জ্বালানি তেলের এ মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব যে জনজীবনে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
বাড়তি দামের যে ব্যয়ভার দেশের সাধারণ মানুষকে বহন করতে হবে, সেটা কোত্থেকে আসবে, তা নিয়ে সরকারের কোনো ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।
এ নিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চমবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো। কোনো গণশুনানি হয়নি। কিছুদিন আগে শোনা গেছে, বিদ্যুতের দাম আবার বাড়বে। বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর আগে একটি গণশুনানি করতে হয়। সরকার বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে একটি গণশুনানি করাও হয়। কিন্তু শুনানির আগেই যখন সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, তখন সেই শুনানি কেবলই লোকদেখানো বা নিয়ম রক্ষার একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে গত কয়েকটি গণশুনানিতে গণরায় গেছে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার বিপক্ষে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ বা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে গণশুনানিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতি পাওয়া যায়নি। এমন ক্ষেত্রে গণরায় উপেক্ষার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাহী আদেশ। সরকার পক্ষ নিয়ম রক্ষার জন্য গণশুনানি করার পরও গণরায় উপেক্ষা করছে। এক অর্থে বলা যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠের রায় উপেক্ষা করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিদ্ধান্ত। অথচ এ জাতীয় সিদ্ধান্তের চাপ সইতে হবে দেশের মানুষকে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে শুরুতেই গণপরিবহনে খরচ ও ভাড়া বাড়বে। তাতে নতুন করে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে- এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অন্যদিকে এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি দেখা দেওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। তেমনটি ঘটলে, এর দায় সরকারের ওপর বর্তালেও ভার বহন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে যে ভর্তুকির কথা বলে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অকটেন ও পেট্রলে কোনো ভর্তুকি লাগে না। কিন্তু এর পরও এ দুটি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত হতে হবে গণমুখী ও কল্যাণমুখী। একটি জনকল্যাণকর সরকারের সব সিদ্ধান্ত জনসাধারণের পক্ষে যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যাচ্ছে সাধারণ মানুষের বিপক্ষে। সরকারের সিদ্ধান্তে বেড়ে যাচ্ছে জীবনযাত্রার ব্যয়, বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এই ব্যয় নির্বাহ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব কি না, সেটা সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। জ্বালানি তেল শুধু নয়, যেকোনো পণ্যের দামই বাড়তে পারে বা বাড়ানো যেতে পারে। তবে সেই ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত তৈরি না করাই ভালো। তাতে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠে না। জনজীবনে এই মূল্যবৃদ্ধির কী বিরূপ প্রভাব পড়ছে, সেটাও সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। কারণ যেকোনো সরকারই শেষ পর্যন্ত জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
এ নিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চমবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো। কোনো গণশুনানি হয়নি। কিছুদিন আগে শোনা গেছে, বিদ্যুতের দাম আবার বাড়বে। বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর আগে একটি গণশুনানি করতে হয়। সরকার বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে একটি গণশুনানি করাও হয়। কিন্তু শুনানির আগেই যখন সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, তখন সেই শুনানি কেবলই লোকদেখানো বা নিয়ম রক্ষার একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে গত কয়েকটি গণশুনানিতে গণরায় গেছে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার বিপক্ষে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ বা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে গণশুনানিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতি পাওয়া যায়নি। এমন ক্ষেত্রে গণরায় উপেক্ষার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাহী আদেশ। সরকার পক্ষ নিয়ম রক্ষার জন্য গণশুনানি করার পরও গণরায় উপেক্ষা করছে। এক অর্থে বলা যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠের রায় উপেক্ষা করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিদ্ধান্ত। অথচ এ জাতীয় সিদ্ধান্তের চাপ সইতে হবে দেশের মানুষকে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে শুরুতেই গণপরিবহনে খরচ ও ভাড়া বাড়বে। তাতে নতুন করে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে- এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অন্যদিকে এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি দেখা দেওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। তেমনটি ঘটলে, এর দায় সরকারের ওপর বর্তালেও ভার বহন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে যে ভর্তুকির কথা বলে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অকটেন ও পেট্রলে কোনো ভর্তুকি লাগে না। কিন্তু এর পরও এ দুটি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত হতে হবে গণমুখী ও কল্যাণমুখী। একটি জনকল্যাণকর সরকারের সব সিদ্ধান্ত জনসাধারণের পক্ষে যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যাচ্ছে সাধারণ মানুষের বিপক্ষে। সরকারের সিদ্ধান্তে বেড়ে যাচ্ছে জীবনযাত্রার ব্যয়, বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এই ব্যয় নির্বাহ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব কি না, সেটা সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। জ্বালানি তেল শুধু নয়, যেকোনো পণ্যের দামই বাড়তে পারে বা বাড়ানো যেতে পারে। তবে সেই ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত তৈরি না করাই ভালো। তাতে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠে না। জনজীবনে এই মূল্যবৃদ্ধির কী বিরূপ প্রভাব পড়ছে, সেটাও সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। কারণ যেকোনো সরকারই শেষ পর্যন্ত জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
No comments