মালয়েশিয়া গমনে নিবন্ধন-একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা
খ্রিস্টীয় নতুন বছরে একটি সুখবর বয়ে এনেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০১২ সালের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ১০ হাজার কর্মীর জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাওয়ার পরই নিবন্ধনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে।
তিনি জানিয়েছেন, ১৩ জানুয়ারি থেকে তিন ধাপে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধন করা হবে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, কেবল ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে এ নিবন্ধন করা হবে। নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে বিভাগওয়ারি এ নিবন্ধন হবে সম্পূর্ণরূপে কম্পিউটারভিত্তিক। অর্থাৎ কম্পিউটারের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জন্য জনসংখ্যার অনুপাতে বরাদ্দকৃত কোটা অনুযায়ী তালিকা করা হবে। এ লটারিও হবে সর্বসমক্ষে। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় যেতে বেকার যুবকরা এত দিন লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছে, ক্ষেত্রবিশেষে প্রতারিত হয়েছে, সেখানে যেতে এখন সর্বসাকল্যে খরচ পড়বে ৪০ হাজার টাকা।
মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্তের জন্য সাধুবাদ জানাতে হয়। এটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার যে সরকার গ্রামাঞ্চলের বিশাল বেকার যুবসমাজকেই প্রাধান্য দিচ্ছে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর ক্ষেত্রে। গ্রামের বেশির ভাগ সহজ-সরল যুবক এত দিন দালালদের খপ্পরে পড়ে যেভাবে প্রতারিত হয়েছে, তা থেকে এবার হয়তো মুক্তি পাবে। তবে এই সব কিছুর পরও সরকারের বিশেষ কয়েকটি কর্তব্য রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন না করলে সব ইতিবাচক উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে, যেমন- গ্রামাঞ্চলে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে এ-সংক্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রায় নিরক্ষর জনতাকে কেউ যেন ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য বিশেষ কর্মিবাহিনী অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদারকির দায়িত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব কর্মী কম্পিউটার অপারেট করবেন বা করছেন তাঁদের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা সম্পর্কে একটি সুনিশ্চিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব শ্রমিককে কাগজপত্র তৈরি ও মালয়েশিয়ায় যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য দেখাবেন না- এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রথম পর্যায়ের ১০ হাজার লোক সুশৃঙ্খলভাবে পাঠানো গেলে বাংলাদেশ থেকে আরো ৪০ হাজার শ্রমিক এ বছরই মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব হতে পারে। আর এই বিপুলসংখ্যক শ্রমিক সফলভাবে মালয়েশিয়া গেলে অদূর-ভবিষ্যতে তারা দেশের অর্থনীতিতে একটি বিরাট অবদান রাখবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্তের জন্য সাধুবাদ জানাতে হয়। এটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার যে সরকার গ্রামাঞ্চলের বিশাল বেকার যুবসমাজকেই প্রাধান্য দিচ্ছে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর ক্ষেত্রে। গ্রামের বেশির ভাগ সহজ-সরল যুবক এত দিন দালালদের খপ্পরে পড়ে যেভাবে প্রতারিত হয়েছে, তা থেকে এবার হয়তো মুক্তি পাবে। তবে এই সব কিছুর পরও সরকারের বিশেষ কয়েকটি কর্তব্য রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন না করলে সব ইতিবাচক উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে, যেমন- গ্রামাঞ্চলে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে এ-সংক্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রায় নিরক্ষর জনতাকে কেউ যেন ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য বিশেষ কর্মিবাহিনী অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদারকির দায়িত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব কর্মী কম্পিউটার অপারেট করবেন বা করছেন তাঁদের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা সম্পর্কে একটি সুনিশ্চিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব শ্রমিককে কাগজপত্র তৈরি ও মালয়েশিয়ায় যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য দেখাবেন না- এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রথম পর্যায়ের ১০ হাজার লোক সুশৃঙ্খলভাবে পাঠানো গেলে বাংলাদেশ থেকে আরো ৪০ হাজার শ্রমিক এ বছরই মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব হতে পারে। আর এই বিপুলসংখ্যক শ্রমিক সফলভাবে মালয়েশিয়া গেলে অদূর-ভবিষ্যতে তারা দেশের অর্থনীতিতে একটি বিরাট অবদান রাখবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
No comments