শেখ হাসিনাকে মস্কোয় লালগালিচা সংবর্ধনা- রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রসহ কয়েকটি চুক্তি হবে ॥ রাশিয়া আমাদের প্রকৃত বন্ধু : প্রধানমন্ত্রী
তিন দিনের সরকারী সফরে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়ান ফেডারেশনের আমন্ত্রণে স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় মস্কোর শেরেমেতিয়েভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
রাশিয়ার সশস্ত্রবাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁকে সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। এই সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এদিকে রাশিয়া সফরের আগে রাশিয়ার সরকারী সংবাদ সংস্থা ইতার-তাসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়াকে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন। শেরেমেতিয়েভা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ভøাদিমিরোভিচ। রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম সাইফুল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তায় মোটর শোভাযাত্রা সহকারে মস্কোর প্রেসিডেন্ট হোটেলে যান প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে এই হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি।
সোমবার সকাল সোয়া ৯টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে রাশিয়ার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। কেবিনেট সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, ঢাকায় রুশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ও সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনার এই সফরে বহুল আলোচিত রূপপুরে এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনসহ চারটি চুক্তি ও ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার চুক্তিও এতে রয়েছে।
সফরের দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ক্রেমলিন কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দুই নেতার উপস্থিতিতে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার এবং সন্ত্রাস প্রতিরোধ বিষয়ে কিছু সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। পরমাণু চুক্তির অধীনে রূপপুর বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক কাজের অর্থায়নের জন্য ৫০ লাখ ডলারের স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট চুক্তি এবং ঢাকায় পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য দুটি ভিন্ন চুক্তি সই হবে। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রকৃত কাজের অর্থায়নের প্রধান পরিমাপকগুলো নিয়ে রাশিয়ার সমঝোতার বিষয়ে ৫০ লাখ ডলারের একটি স্মারকও সই হবে। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বুধবার সকালে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং বাংলাদেশ-রাশিয়া সহযোগিতার প্রেক্ষাপট নিয়ে বক্তৃতা দেবেন। দুপুরে রাশিয়ার আণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েনকোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ভøাদিমির পুতিনের দেয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। রুশ ফেডারেশনের ফেডারেল কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন ভ্যালেস্তিনা ইভানোভানো ম্যাতভিয়েনকো এবং রুশ ফেডারেশনের যোগাযোগ ও গণমাধ্যমমন্ত্রী নিকোলে নিকিফোরভ শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। এছাড়া রাশিয়ার পরমাণু সহযোগিতা সংস্থা আরওএসএটিওএমের জেনারেল ডিরেক্টর সার্গেই কিরিয়েঙ্কোও সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী মস্কোর নাম না জানা সৈন্যদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিখ্যাত ক্রেমলিন জাদুঘর ও বলশয় থিয়েটার পরিদর্শন করবেন। শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি গ্যাজপ্রম কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
বুধবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রীর দেশের পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম ওয়াহিদুজ্জামান এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ায় শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর এটি। এর আগে ২০১০ সালের নবেম্বরে বাঘ সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবুর্গে গিয়েছিলেন তিনি। ইতার-তাসের সঙ্গে সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার ব্যাপক সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা সোভিয়েত নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা সবসময় রাশিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন তাঁর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। তিনি বলেন, ‘এই সফরে আমাদের বন্ধুত্ব ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবশ্যই ভুলে গেলে চলবে না যে বিদেশে আমাদের বড় বড় বন্ধু আছে। আমরা যখন রাশিয়ার কথা বলি তখন মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দরে মাইন অপসারণ যখন খুবই জরুরী হয়ে পড়েছিল সেই সময় রাশিয়ার ব্যাপক সহযোগিতার কথা আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা আমাদের প্রয়োজনের মুহূর্তে পাশে এসে দাঁড়ায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।
সোমবার সকাল সোয়া ৯টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে রাশিয়ার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। কেবিনেট সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, ঢাকায় রুশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ও সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনার এই সফরে বহুল আলোচিত রূপপুরে এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনসহ চারটি চুক্তি ও ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার চুক্তিও এতে রয়েছে।
সফরের দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ক্রেমলিন কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দুই নেতার উপস্থিতিতে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার এবং সন্ত্রাস প্রতিরোধ বিষয়ে কিছু সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। পরমাণু চুক্তির অধীনে রূপপুর বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক কাজের অর্থায়নের জন্য ৫০ লাখ ডলারের স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট চুক্তি এবং ঢাকায় পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য দুটি ভিন্ন চুক্তি সই হবে। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রকৃত কাজের অর্থায়নের প্রধান পরিমাপকগুলো নিয়ে রাশিয়ার সমঝোতার বিষয়ে ৫০ লাখ ডলারের একটি স্মারকও সই হবে। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বুধবার সকালে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং বাংলাদেশ-রাশিয়া সহযোগিতার প্রেক্ষাপট নিয়ে বক্তৃতা দেবেন। দুপুরে রাশিয়ার আণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েনকোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ভøাদিমির পুতিনের দেয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। রুশ ফেডারেশনের ফেডারেল কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন ভ্যালেস্তিনা ইভানোভানো ম্যাতভিয়েনকো এবং রুশ ফেডারেশনের যোগাযোগ ও গণমাধ্যমমন্ত্রী নিকোলে নিকিফোরভ শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। এছাড়া রাশিয়ার পরমাণু সহযোগিতা সংস্থা আরওএসএটিওএমের জেনারেল ডিরেক্টর সার্গেই কিরিয়েঙ্কোও সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী মস্কোর নাম না জানা সৈন্যদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিখ্যাত ক্রেমলিন জাদুঘর ও বলশয় থিয়েটার পরিদর্শন করবেন। শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি গ্যাজপ্রম কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
বুধবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রীর দেশের পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম ওয়াহিদুজ্জামান এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ায় শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর এটি। এর আগে ২০১০ সালের নবেম্বরে বাঘ সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবুর্গে গিয়েছিলেন তিনি। ইতার-তাসের সঙ্গে সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার ব্যাপক সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা সোভিয়েত নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা সবসময় রাশিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন তাঁর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। তিনি বলেন, ‘এই সফরে আমাদের বন্ধুত্ব ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবশ্যই ভুলে গেলে চলবে না যে বিদেশে আমাদের বড় বড় বন্ধু আছে। আমরা যখন রাশিয়ার কথা বলি তখন মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দরে মাইন অপসারণ যখন খুবই জরুরী হয়ে পড়েছিল সেই সময় রাশিয়ার ব্যাপক সহযোগিতার কথা আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা আমাদের প্রয়োজনের মুহূর্তে পাশে এসে দাঁড়ায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।
No comments