পাঠকের মন্তব্য: অনলাইন থেকে- উচিত ছিল এক সেকেন্ড পালস করা
প্রথম আলোর অনলাইনে (prothom-alo.com) প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলা, প্রযুক্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে পাঠকের মতামত প্রকাশিত হয়। তাঁদের এসব মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় বিএনপি থাকতে পারবে
বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গ এনেছেন। গত মঙ্গলবার এ খবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়। এ সম্পর্কে জাভেদ লিখেছেন: ‘সবাই মিলে একটি ছোট মন্ত্রিসভা’—খুব ভালো প্রস্তাব। আপনি প্রধানমন্ত্রী, আপনার দল থেকে আরও চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও সাম্যবাদী দল থেকে একজন করে মন্ত্রী। বিএনপিকে ধর্ম কিংবা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলেই চলবে।
মোহাম্মদ এস রহমান: বিএনপিকে মন্ত্রিসভায় রাখার ইঙ্গিত দেওয়াটাই তো অনেক বড় ছাড় বলে মনে হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব যে বিরোধীদলীয় নেত্রী গ্রহণ করবেন, তার নিশ্চয়তা খুব কম। কারণ, তাহলে তো আর বিরোধী দলের নেত্রী হতে পারবেন না।
আবুল: এ প্রস্তাবে অভিনবত্ব আছে সন্দেহ নেই। প্রস্তাবটি যদি লোকদেখানো না হয়, তবে কতগুলো বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন; যেমন—প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভার ক্ষমতার ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা হবে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো দপ্তর কার হাতে থাকবে? মন্ত্রিসভা গঠনের আগেই সরকার যদি ইচ্ছামতো নিজের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে, তাহলে এ জাতীয় মন্ত্রিসভা কোনো কাজে আসবে না। তবে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের উচিত প্রস্তাবটি প্রথাগতভাবে উড়িয়ে না দিয়ে সতর্কভাবে বিবেচনায় নেওয়া। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ চায় আধুনিক, প্রগতিশীল রাজনীতির ধারার সূচনা হোক। দুটি দলের সব বিষয়ে চরম বিরোধী অবস্থান দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে ভয়ানকভাবে। গত ২২ বছরের রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তনই যুক্ত করতে পরেননি আমাদের রাজনীতিবিদেরা। বরং মানুষের মনে এমন ধারণা এখন প্রকট যে নয় বছরের এরশাদবিরোধী রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ক্ষমতার পরিবর্তন ছাড়া কিছুই নয়।
এস নাহার বীথি: নিজের খুশিমতো ভোট দিতে জনগণের দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এবং তা এখনই।
আমজাদ খান: বিএনপিকে একটু বোকা বানানোর পাঁয়তারা চলছে। বিএনপি মনে হয় এই ফাঁদে পা দেবে না। জনগণের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না
ড্যাবের সমাবেশে খালেদা জিয়া এ কথা বলেছেন। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ সম্পর্কে মারুফ খান লিখেছেন: বেগম জিয়া ঠিকই বলেছেন, নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। গণতান্ত্রিক পথেই জনমত সঙ্গে নিয়ে সফল-দুর্বার আন্দোলন করবে বিএনপি—এই প্রত্যাশা থাকল।
মো. শরিফুল ইসলাম: বর্তমান সরকার বিগত সাড়ে তিন বছরে জনগণের যে সেবা করেছে, তাতে পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করতে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করা ছাড়া তাদের বিকল্প কোনো উপায় আছে বলে মনে হয় না।
রাজিব আহমেদ: তত্ত্বাবধায়ক হলে কী হবে? আপনারা আবার ক্ষমতায় যাবেন? বিরোধী দল হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব কি আপনারা পালন করেছেন? সরকারের সঙ্গে ‘আপসহীন’ অসহযোগিতাই কি বিরোধী দলের বছরের পর বছর করার কথা?
আত্মঘাতী ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরুন
আবদুল মান্নান তাঁর কলামে সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে আলি আসগার লিখেছেন: ছাত্ররাজনীতির এই দুরবস্থা শিক্ষকদের তৈরি। কিছু শিক্ষক এদের ওপর ভর করে ওপরে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ও শিক্ষক—উভয় রাজনীতি বন্ধ করে শুধু শিক্ষাসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড চলার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তান আমলের ছাত্ররাজনীতির দরকার নেই।
গাজী দীন মোহাম্মদ: এখন আর লাগাম টেনে ধরেও কাজ হবে না। কারণ, তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান লিখেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রদলকে সামলান’। এবার যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করল, ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণের কারণে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগকে সামলান’। আর আমরা দেখলাম, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার কেউ নেই এই দেশে।
রাস্তাঘাট দেখে মন্ত্রী হিসেবে লজ্জা পাচ্ছি: ওবায়দুল
যোগাযোগমন্ত্রীর এই কথায় পাঠক খুব বেশি খুশি হতে পারেননি। হাবিব সুমন লিখেছেন: মন্ত্রী মহোদয়, বেশি দূরে যেতে হবে না। দয়া করে গুলিস্তান থেকে শনির আখড়া পর্যন্ত যান, লজ্জা নয়, রীতিমতো কান্না পাবে। এবার আশা করি, রাস্তাঘাটের কিছুটা উন্নতি হবে।
মো. আবদুল হাকিম: দয়া করে খুলনা-বেনাপোল চলাচলকারী একমাত্র কমিউটার ট্রেনটির একটু খোঁজ নিয়ে যদি ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে আমরা একটু স্বস্তি পেতাম। ট্রেনটি এখন কালোবাজারিদের দখলে। এমনকি টিকিটচেকাররা দায়সারা গোছের চেক করেন।
আক্রোশ থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের ষড়যন্ত্র: ফখরুল
গ্রামীণ ব্যাংকের আইন পরিবর্তনের ব্যাপারে সরকারের সর্বশেষ উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া ছিল এ রকম। এ ব্যাপারে মো. আবদুল হাকিম লিখেছেন: ‘জনাব, আপনারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা বিশ্বাস করেন না, তা-ই আপনারা বিশ্বাসযোগ্য করে প্রচার করেন। এমনকি এ-ও বলেন, এই আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিতে পারেন। এরপর সিংহাসনের হাতলে হাত রাখলেই সব প্রতিশ্রুতি ভুলে
পূর্ববর্তী সরকারের চেয়ে আরও বেশি দুর্নীতি করেন এবং স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেন।
শওকত হাসান: যে সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, সেই সরকারের পক্ষে দেশের উন্নতি করা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের কাছে আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক, তাই ড. ইউনূস তাদের কাছে দেশদ্রোহী হবেন, এটাই স্বাভাবিক!
তাঁকে শান্তিতে ঘুমাতে দিই
নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে একটি লেখা লিখেছেন শাকুর মজিদ। এ বিষয়ে ইয়াসিন আহমেদ লিখেছেন: হুমায়ূন আহমেদের মতো লেখকের জীবনের দাম যদি ২০ কোটি টাকায় আপনি পরিমাপ করে তাঁকে সস্তা হাসপাতালে সরিয়ে ফেলে টাকা বাঁচানোর চিন্তাই করেন, তবে কেন এত শব্দের মায়াকান্না? মানুষ পরস্পর থেকে বেশি দূরে বাস করতে চাইলেও এখন আর তা পারে না। বিভিন্ন ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সবই প্রকাশ পায়। তবে মানুষের যুক্তিতে যা সত্য বলে গ্রহণযোগ্য মনে হয়, সেটাই তারা গ্রহণ করে। সত্যকে আবেগসঞ্জাত লেখায় লুকিয়ে রাখা যায় না। সত্য একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়।
সর্দার ইউনুস: এ দেশে গুজবের বিস্তার ও গতি আলোর চেয়েও বেশি। মানুষকে যা সামনে দেওয়া যায়, তা-ই গিলে হজম করে ফেলে কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়া। সাত দিন পরে ভাবে, ঘটনাটা আসলে কী?
সৈয়দ কামরুল হক: তুমি শান্তিতেই ঘুমাও, হুমায়ূন। তোমাকে তো আমরা বিতর্কিত করিনি। আমরা তোমাকে রেখেছিলাম মাথায় করে। তুমি ছিলে আমাদের নয়নমণি। তোমাকে নিয়ে আমরা যা বলছি, তা হলো অব্যক্ত কান্নার প্রতিরূপ। এ আমাদের এক ধরনের শ্রদ্ধার প্রকাশ হুমায়ূনের জন্য।
মুঠোফোনে ১০ সেকেন্ড পালস বাধ্যতামূলক
বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পাঠকেরা। সৈয়দ ইশতিয়াক হাসান লিখেছেন: বিটিআরসির এ ধরনের সময়োচিত সিদ্ধান্তের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এ সিদ্ধান্ত যেন মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো মেনে চলে, সে ব্যাপারে সরকার ও জনগণের একাত্মতা ঘোষণা করা উচিত।
প্রফুল্ল কুমার নাথ: ১০ সেকেন্ড পালসের ব্যবস্থা করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে—যার মধ্য দিয়ে সরকার অনেক রাজস্ব পাবে এবং অপারেটররা রাজস্ব ফাঁকি দিতে পারবে না—তা হলো, প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্ট রিফিলের সময় সরকারি কর (বর্তমানে ১৫% ভ্যাট) সঙ্গে সঙ্গে রিফিলের টাকা থেকেই কেটে নেওয়া। বিটিআরসির হিসাবমতে, যদি বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা নয় কোটি হয়, আর এই নয় কোটি গ্রাহক যদি প্রতিদিন অন্তত একবার মাত্র ৩০ সেকেন্ড ফোন করে, তাহলে মোবাইল ফোন অপারেটররা ৩০ সেকেন্ড সময়ের জন্য ৭.৫ পয়সা ট্যাক্স না কেটে আট পয়সা ট্যাক্স কেটে নেয় (মানে .৫ পয়সা বেশি কাটে)। এই হিসাবে, নয় কোটি গ্রাহক যদি নয় কোটিবার মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য কথা বলে, তাহলে অপারেটররা .৫ পয়সা করে বেশি আদায় করে, এক দিনে যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ টাকা আমার মনে হয়, সরকার পায় না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য আমি প্রথম আলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. রেজাউল করিম: বিটিআরসিকে অনেক ধন্যবাদ। সাধারণ মানুষের কথা তারা বুঝতে পেরেছে—দেরিতে হলেও। তবে উচিত ছিল এক সেকেন্ড পালস করা। তাহলে জনগণ আরও একটু উপকৃত হতো।
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গ এনেছেন। গত মঙ্গলবার এ খবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়। এ সম্পর্কে জাভেদ লিখেছেন: ‘সবাই মিলে একটি ছোট মন্ত্রিসভা’—খুব ভালো প্রস্তাব। আপনি প্রধানমন্ত্রী, আপনার দল থেকে আরও চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও সাম্যবাদী দল থেকে একজন করে মন্ত্রী। বিএনপিকে ধর্ম কিংবা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলেই চলবে।
মোহাম্মদ এস রহমান: বিএনপিকে মন্ত্রিসভায় রাখার ইঙ্গিত দেওয়াটাই তো অনেক বড় ছাড় বলে মনে হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব যে বিরোধীদলীয় নেত্রী গ্রহণ করবেন, তার নিশ্চয়তা খুব কম। কারণ, তাহলে তো আর বিরোধী দলের নেত্রী হতে পারবেন না।
আবুল: এ প্রস্তাবে অভিনবত্ব আছে সন্দেহ নেই। প্রস্তাবটি যদি লোকদেখানো না হয়, তবে কতগুলো বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন; যেমন—প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভার ক্ষমতার ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা হবে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো দপ্তর কার হাতে থাকবে? মন্ত্রিসভা গঠনের আগেই সরকার যদি ইচ্ছামতো নিজের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে, তাহলে এ জাতীয় মন্ত্রিসভা কোনো কাজে আসবে না। তবে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের উচিত প্রস্তাবটি প্রথাগতভাবে উড়িয়ে না দিয়ে সতর্কভাবে বিবেচনায় নেওয়া। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ চায় আধুনিক, প্রগতিশীল রাজনীতির ধারার সূচনা হোক। দুটি দলের সব বিষয়ে চরম বিরোধী অবস্থান দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে ভয়ানকভাবে। গত ২২ বছরের রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তনই যুক্ত করতে পরেননি আমাদের রাজনীতিবিদেরা। বরং মানুষের মনে এমন ধারণা এখন প্রকট যে নয় বছরের এরশাদবিরোধী রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ক্ষমতার পরিবর্তন ছাড়া কিছুই নয়।
এস নাহার বীথি: নিজের খুশিমতো ভোট দিতে জনগণের দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এবং তা এখনই।
আমজাদ খান: বিএনপিকে একটু বোকা বানানোর পাঁয়তারা চলছে। বিএনপি মনে হয় এই ফাঁদে পা দেবে না। জনগণের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না
ড্যাবের সমাবেশে খালেদা জিয়া এ কথা বলেছেন। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ সম্পর্কে মারুফ খান লিখেছেন: বেগম জিয়া ঠিকই বলেছেন, নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। গণতান্ত্রিক পথেই জনমত সঙ্গে নিয়ে সফল-দুর্বার আন্দোলন করবে বিএনপি—এই প্রত্যাশা থাকল।
মো. শরিফুল ইসলাম: বর্তমান সরকার বিগত সাড়ে তিন বছরে জনগণের যে সেবা করেছে, তাতে পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করতে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করা ছাড়া তাদের বিকল্প কোনো উপায় আছে বলে মনে হয় না।
রাজিব আহমেদ: তত্ত্বাবধায়ক হলে কী হবে? আপনারা আবার ক্ষমতায় যাবেন? বিরোধী দল হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব কি আপনারা পালন করেছেন? সরকারের সঙ্গে ‘আপসহীন’ অসহযোগিতাই কি বিরোধী দলের বছরের পর বছর করার কথা?
আত্মঘাতী ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরুন
আবদুল মান্নান তাঁর কলামে সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে আলি আসগার লিখেছেন: ছাত্ররাজনীতির এই দুরবস্থা শিক্ষকদের তৈরি। কিছু শিক্ষক এদের ওপর ভর করে ওপরে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ও শিক্ষক—উভয় রাজনীতি বন্ধ করে শুধু শিক্ষাসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড চলার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তান আমলের ছাত্ররাজনীতির দরকার নেই।
গাজী দীন মোহাম্মদ: এখন আর লাগাম টেনে ধরেও কাজ হবে না। কারণ, তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান লিখেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রদলকে সামলান’। এবার যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করল, ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণের কারণে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগকে সামলান’। আর আমরা দেখলাম, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার কেউ নেই এই দেশে।
রাস্তাঘাট দেখে মন্ত্রী হিসেবে লজ্জা পাচ্ছি: ওবায়দুল
যোগাযোগমন্ত্রীর এই কথায় পাঠক খুব বেশি খুশি হতে পারেননি। হাবিব সুমন লিখেছেন: মন্ত্রী মহোদয়, বেশি দূরে যেতে হবে না। দয়া করে গুলিস্তান থেকে শনির আখড়া পর্যন্ত যান, লজ্জা নয়, রীতিমতো কান্না পাবে। এবার আশা করি, রাস্তাঘাটের কিছুটা উন্নতি হবে।
মো. আবদুল হাকিম: দয়া করে খুলনা-বেনাপোল চলাচলকারী একমাত্র কমিউটার ট্রেনটির একটু খোঁজ নিয়ে যদি ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে আমরা একটু স্বস্তি পেতাম। ট্রেনটি এখন কালোবাজারিদের দখলে। এমনকি টিকিটচেকাররা দায়সারা গোছের চেক করেন।
আক্রোশ থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের ষড়যন্ত্র: ফখরুল
গ্রামীণ ব্যাংকের আইন পরিবর্তনের ব্যাপারে সরকারের সর্বশেষ উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া ছিল এ রকম। এ ব্যাপারে মো. আবদুল হাকিম লিখেছেন: ‘জনাব, আপনারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা বিশ্বাস করেন না, তা-ই আপনারা বিশ্বাসযোগ্য করে প্রচার করেন। এমনকি এ-ও বলেন, এই আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিতে পারেন। এরপর সিংহাসনের হাতলে হাত রাখলেই সব প্রতিশ্রুতি ভুলে
পূর্ববর্তী সরকারের চেয়ে আরও বেশি দুর্নীতি করেন এবং স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেন।
শওকত হাসান: যে সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, সেই সরকারের পক্ষে দেশের উন্নতি করা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের কাছে আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক, তাই ড. ইউনূস তাদের কাছে দেশদ্রোহী হবেন, এটাই স্বাভাবিক!
তাঁকে শান্তিতে ঘুমাতে দিই
নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে একটি লেখা লিখেছেন শাকুর মজিদ। এ বিষয়ে ইয়াসিন আহমেদ লিখেছেন: হুমায়ূন আহমেদের মতো লেখকের জীবনের দাম যদি ২০ কোটি টাকায় আপনি পরিমাপ করে তাঁকে সস্তা হাসপাতালে সরিয়ে ফেলে টাকা বাঁচানোর চিন্তাই করেন, তবে কেন এত শব্দের মায়াকান্না? মানুষ পরস্পর থেকে বেশি দূরে বাস করতে চাইলেও এখন আর তা পারে না। বিভিন্ন ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সবই প্রকাশ পায়। তবে মানুষের যুক্তিতে যা সত্য বলে গ্রহণযোগ্য মনে হয়, সেটাই তারা গ্রহণ করে। সত্যকে আবেগসঞ্জাত লেখায় লুকিয়ে রাখা যায় না। সত্য একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়।
সর্দার ইউনুস: এ দেশে গুজবের বিস্তার ও গতি আলোর চেয়েও বেশি। মানুষকে যা সামনে দেওয়া যায়, তা-ই গিলে হজম করে ফেলে কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়া। সাত দিন পরে ভাবে, ঘটনাটা আসলে কী?
সৈয়দ কামরুল হক: তুমি শান্তিতেই ঘুমাও, হুমায়ূন। তোমাকে তো আমরা বিতর্কিত করিনি। আমরা তোমাকে রেখেছিলাম মাথায় করে। তুমি ছিলে আমাদের নয়নমণি। তোমাকে নিয়ে আমরা যা বলছি, তা হলো অব্যক্ত কান্নার প্রতিরূপ। এ আমাদের এক ধরনের শ্রদ্ধার প্রকাশ হুমায়ূনের জন্য।
মুঠোফোনে ১০ সেকেন্ড পালস বাধ্যতামূলক
বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পাঠকেরা। সৈয়দ ইশতিয়াক হাসান লিখেছেন: বিটিআরসির এ ধরনের সময়োচিত সিদ্ধান্তের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এ সিদ্ধান্ত যেন মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো মেনে চলে, সে ব্যাপারে সরকার ও জনগণের একাত্মতা ঘোষণা করা উচিত।
প্রফুল্ল কুমার নাথ: ১০ সেকেন্ড পালসের ব্যবস্থা করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে—যার মধ্য দিয়ে সরকার অনেক রাজস্ব পাবে এবং অপারেটররা রাজস্ব ফাঁকি দিতে পারবে না—তা হলো, প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্ট রিফিলের সময় সরকারি কর (বর্তমানে ১৫% ভ্যাট) সঙ্গে সঙ্গে রিফিলের টাকা থেকেই কেটে নেওয়া। বিটিআরসির হিসাবমতে, যদি বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা নয় কোটি হয়, আর এই নয় কোটি গ্রাহক যদি প্রতিদিন অন্তত একবার মাত্র ৩০ সেকেন্ড ফোন করে, তাহলে মোবাইল ফোন অপারেটররা ৩০ সেকেন্ড সময়ের জন্য ৭.৫ পয়সা ট্যাক্স না কেটে আট পয়সা ট্যাক্স কেটে নেয় (মানে .৫ পয়সা বেশি কাটে)। এই হিসাবে, নয় কোটি গ্রাহক যদি নয় কোটিবার মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য কথা বলে, তাহলে অপারেটররা .৫ পয়সা করে বেশি আদায় করে, এক দিনে যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ টাকা আমার মনে হয়, সরকার পায় না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য আমি প্রথম আলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. রেজাউল করিম: বিটিআরসিকে অনেক ধন্যবাদ। সাধারণ মানুষের কথা তারা বুঝতে পেরেছে—দেরিতে হলেও। তবে উচিত ছিল এক সেকেন্ড পালস করা। তাহলে জনগণ আরও একটু উপকৃত হতো।
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
No comments