আল-কায়েদাকে দায়ী করেছে সরকার-ইয়েমেনে আত্মঘাতী হামলায় ৪২ জন নিহত
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ আবিয়ানের জার শহরে গত শনিবার আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছে। দেশটির সরকার এ হামলার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদাকে দায়ী করেছে। একই দিনে, দেশটির পূর্বাঞ্চলে মার্কিন চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) থেকে ফেলা বোমায় সন্দেহভাজন পাঁচ আল-কায়েদা সদস্য নিহত হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে আল-কায়েদার সমর্থকেরা জার শহরটি নিয়ন্ত্রণ করছিল। গত জুনে সরকারি বাহিনী আল-কায়েদা যোদ্ধাদের হটিয়ে এ শহরের দখল নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিশোধ হিসেবে আল-কায়েদা এ হামলা চালায়।
আবিয়ানের প্রাদেশিক গভর্নর জামাল আল-আকাল এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী ও কাপুরুষোচিত’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠী ‘পপুলার রেসিসট্যান্স কমিটি’ এর একজন সদস্যের দাফন অনুষ্ঠানে এক আল-কায়েদা যোদ্ধা তাঁর শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আল-কায়েদার কাছ থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মাসব্যাপী চালানো সরকারি বাহিনীর অভিযানে ওই মিলিশিয়া গোষ্ঠী অংশ নিয়েছিল।
জারের রাজি হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃতদেহ পেয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় এডেন শহরের তিনটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও ১২ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া শহরটির স্থানীয় কর্মকর্তা মোহসেন বিন জামিলা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলায় অপর ছয় নিহত ব্যক্তির মরদেহ বিস্ফোরণস্থল থেকে তাঁদের স্বজনেরা সরাসরি নিয়ে যান। হামলায় আহত ৩৭ জনকে জার ও এডেনের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, বিস্ফোরণটি এত শক্তিশালী ছিল যে তাতে হতাহতদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
জারের মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের উপপ্রধান এ ঘটনার জন্য সরকারকেও আংশিকভাবে দায়ী করেন। তিনি বলেন, শহরটি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে আসার পর সেখানে পুলিশ মোতায়েনে সরকার শৈথিল্য দেখায়। নাসের আবদুল্লাহ মানসারি নামের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আল-কায়েদা যোদ্ধারা গা-ঢাকা দেওয়ার পর আবিয়ানের জার কিংবা অন্য কোনো শহরে কোনো পুলিশ সদস্যের দেখা মেলেনি।’
এ হামলার আগে বুধবার জারের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে আল-কায়েদা আরেক দফা হামলা চালিয়ে চার সেনাসদস্য ও এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। স্থানীয় বাসিন্দারা শহরটি আবারও আল-কায়েদা দখলে নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় হাদরামাত প্রদেশের আল-কোটন গ্রামের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এ এলাকায়ও আল-কায়েদার সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ড্রোন থেকে জঙ্গিদের একটি যান লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে এর পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়। এরা সবাই আল-কায়েদার সদস্য।’
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা ও সেনাফাঁড়ি লক্ষ্য করে আল-কায়েদার হামলার ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পর গত জুলাইয়ে ইয়েমেন কর্তৃপক্ষ দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখার ঘোষণা দেয়। আর এই অবস্থার মধ্যেই ওই ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা সংঘটিত হলো। এএফপি ও বিবিসি।
আবিয়ানের প্রাদেশিক গভর্নর জামাল আল-আকাল এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী ও কাপুরুষোচিত’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠী ‘পপুলার রেসিসট্যান্স কমিটি’ এর একজন সদস্যের দাফন অনুষ্ঠানে এক আল-কায়েদা যোদ্ধা তাঁর শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আল-কায়েদার কাছ থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মাসব্যাপী চালানো সরকারি বাহিনীর অভিযানে ওই মিলিশিয়া গোষ্ঠী অংশ নিয়েছিল।
জারের রাজি হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃতদেহ পেয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় এডেন শহরের তিনটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও ১২ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া শহরটির স্থানীয় কর্মকর্তা মোহসেন বিন জামিলা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলায় অপর ছয় নিহত ব্যক্তির মরদেহ বিস্ফোরণস্থল থেকে তাঁদের স্বজনেরা সরাসরি নিয়ে যান। হামলায় আহত ৩৭ জনকে জার ও এডেনের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, বিস্ফোরণটি এত শক্তিশালী ছিল যে তাতে হতাহতদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
জারের মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের উপপ্রধান এ ঘটনার জন্য সরকারকেও আংশিকভাবে দায়ী করেন। তিনি বলেন, শহরটি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে আসার পর সেখানে পুলিশ মোতায়েনে সরকার শৈথিল্য দেখায়। নাসের আবদুল্লাহ মানসারি নামের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আল-কায়েদা যোদ্ধারা গা-ঢাকা দেওয়ার পর আবিয়ানের জার কিংবা অন্য কোনো শহরে কোনো পুলিশ সদস্যের দেখা মেলেনি।’
এ হামলার আগে বুধবার জারের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে আল-কায়েদা আরেক দফা হামলা চালিয়ে চার সেনাসদস্য ও এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। স্থানীয় বাসিন্দারা শহরটি আবারও আল-কায়েদা দখলে নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় হাদরামাত প্রদেশের আল-কোটন গ্রামের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এ এলাকায়ও আল-কায়েদার সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ড্রোন থেকে জঙ্গিদের একটি যান লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে এর পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়। এরা সবাই আল-কায়েদার সদস্য।’
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা ও সেনাফাঁড়ি লক্ষ্য করে আল-কায়েদার হামলার ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পর গত জুলাইয়ে ইয়েমেন কর্তৃপক্ষ দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখার ঘোষণা দেয়। আর এই অবস্থার মধ্যেই ওই ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা সংঘটিত হলো। এএফপি ও বিবিসি।
No comments