ইসি বলল পঞ্চদশ সংশোধনী জাতি মেনে নিয়েছে-সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে না
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী দেশ ও জাতি মেনে নিয়েছে। কারণ এই সংশোধনী নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়নি। এই সংবিধান ও বিদ্যমান নির্বাচনী আইন (আরপিও) অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো বাধা নেই। আর আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে না।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গতকাল রবিবার আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, মো. শাহ নেওয়াজ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি চেয়ে সম্প্রতি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেন।
তাঁর যুক্তি, সংসদ বিলুপ্ত না হলে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা নিজেদের পদে বহাল থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন, যা নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।
আইনজ্ঞ অনেকের ধারণা, নির্বাচনী আইন অনুসারে এ ধরনের লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করা যায় না। আর সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীদের লাভজনক পদের বাইরে রাখা হলেও সংসদ সদস্যদের রাখা হয়নি। এসব বিষয় সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে ইসি মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেন, 'কমিশনের কাজ হচ্ছে সংবিধান ও আইন অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। আমরা সেটাই করব। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা বিষয়ে যা বলা হয়েছে, তা অনুসরণ করা হবে।'
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সংবিধান ও নির্বাচনী আইনে কোনো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বলে কমিশন বিবেচনা করছে কি না- এ প্রশ্নে মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেন, 'সংবিধানের সংশোধনী দেশ ও জাতি মেনে নিয়েছে। এ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে কেউ আদালতে মামলা করেনি। এ অবস্থায় সংবিধানে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবেই নির্বাচন হবে। এতে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।'
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করে জানান, এ পর্যন্ত ২০০টি উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ চলছে ১০৫টি উপজেলায়। ৭০ লাখ নতুন ভোটার নিবন্ধনের পরিকল্পনার মধ্যে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে ৩০ লাখ ছয় হাজার ভোটার।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এটা আমাদের সময়মতো সম্পন্ন করতে হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে পাওয়া তথ্য হিসাব-নিকাশ করা হয়েছে। রোজার পর এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারব।' আগে সংসদ না উপজেলা নির্বাচন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'দুই ধরনের প্রস্তুতিই আমরা নিয়ে রাখছি। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, 'আগে থেকে এই সিদ্ধান্ত রয়েছে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটা ব্যবহারের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হবে। আমরা সেটাই করব।' তিনি বলেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা সিটি নির্বাচন সম্পর্কে সিইসি বলেন, 'আদালত নির্বাচনের তিন মাস আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বলেছেন। আমরা অক্টোবরে ঢাকার ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। তা ছাড়া আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে আমরা আপিল করেছি।'
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, মো. শাহ নেওয়াজ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি চেয়ে সম্প্রতি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেন।
তাঁর যুক্তি, সংসদ বিলুপ্ত না হলে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা নিজেদের পদে বহাল থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন, যা নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।
আইনজ্ঞ অনেকের ধারণা, নির্বাচনী আইন অনুসারে এ ধরনের লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করা যায় না। আর সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীদের লাভজনক পদের বাইরে রাখা হলেও সংসদ সদস্যদের রাখা হয়নি। এসব বিষয় সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে ইসি মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেন, 'কমিশনের কাজ হচ্ছে সংবিধান ও আইন অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। আমরা সেটাই করব। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা বিষয়ে যা বলা হয়েছে, তা অনুসরণ করা হবে।'
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সংবিধান ও নির্বাচনী আইনে কোনো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বলে কমিশন বিবেচনা করছে কি না- এ প্রশ্নে মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেন, 'সংবিধানের সংশোধনী দেশ ও জাতি মেনে নিয়েছে। এ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে কেউ আদালতে মামলা করেনি। এ অবস্থায় সংবিধানে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবেই নির্বাচন হবে। এতে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।'
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করে জানান, এ পর্যন্ত ২০০টি উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ চলছে ১০৫টি উপজেলায়। ৭০ লাখ নতুন ভোটার নিবন্ধনের পরিকল্পনার মধ্যে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে ৩০ লাখ ছয় হাজার ভোটার।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এটা আমাদের সময়মতো সম্পন্ন করতে হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে পাওয়া তথ্য হিসাব-নিকাশ করা হয়েছে। রোজার পর এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারব।' আগে সংসদ না উপজেলা নির্বাচন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'দুই ধরনের প্রস্তুতিই আমরা নিয়ে রাখছি। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, 'আগে থেকে এই সিদ্ধান্ত রয়েছে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটা ব্যবহারের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হবে। আমরা সেটাই করব।' তিনি বলেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা সিটি নির্বাচন সম্পর্কে সিইসি বলেন, 'আদালত নির্বাচনের তিন মাস আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বলেছেন। আমরা অক্টোবরে ঢাকার ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। তা ছাড়া আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে আমরা আপিল করেছি।'
No comments