আবদুল হামিদ হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি খালাস
রাজশাহীতে বিএনপির নেতা আবদুল হামিদ ওরফে মরু হামিদ হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের বেঞ্চ আসামিদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও আপিলের শুনানি শেষে এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতের দৃষ্টিতে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় সঠিক নয় বলে প্রতীয়মান হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর বাইরে আরও দুজন আসামি পলাতক আছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে এই রায়ের সুফল প্রযোজ্য হবে না। তবে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় আসামিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলা হলেও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে এ বিষয়ে অসংগতি দেখা যায়। এ ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
বাঘমারা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদ ওরফে মরু হামিদ ২০০৩ সালের ৯ নভেম্বর পাশের বোয়ালিয়া থানায় খুন হন। নিহতের আত্মীয় আবদুল ওয়াসেক বাদী হয়ে ওই দিনই মামলা করেন। ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এফ এম আমিনুল ইসলাম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে মো. আলী খাজা এম এ মজিদ, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. শুকুর আলী পরামানিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া মো. নওশাদ ওরফে নওশের, মো. জইদুল ইসলাম (পলাতক), আসাদুল (পলাতক), আ. রাজ্জাক সরকার ওরফে আট বাবু ওরফে শ্যামলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনসহ নওশের ও রাজ্জাক সরকার আপিল করেন। অন্য দুই আসামি পলাতক।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতের দৃষ্টিতে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় সঠিক নয় বলে প্রতীয়মান হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর বাইরে আরও দুজন আসামি পলাতক আছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে এই রায়ের সুফল প্রযোজ্য হবে না। তবে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সময় আসামিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলা হলেও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে এ বিষয়ে অসংগতি দেখা যায়। এ ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
বাঘমারা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদ ওরফে মরু হামিদ ২০০৩ সালের ৯ নভেম্বর পাশের বোয়ালিয়া থানায় খুন হন। নিহতের আত্মীয় আবদুল ওয়াসেক বাদী হয়ে ওই দিনই মামলা করেন। ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এফ এম আমিনুল ইসলাম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে মো. আলী খাজা এম এ মজিদ, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. শুকুর আলী পরামানিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া মো. নওশাদ ওরফে নওশের, মো. জইদুল ইসলাম (পলাতক), আসাদুল (পলাতক), আ. রাজ্জাক সরকার ওরফে আট বাবু ওরফে শ্যামলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনসহ নওশের ও রাজ্জাক সরকার আপিল করেন। অন্য দুই আসামি পলাতক।
No comments