'গুপ্তধন' হয়ে থাকা উদ্বোধনের অপেক্ষা by মাসুদ পারভেজ
এটা নিয়ে কোনো সংশয়ই নেই যে আজ স্বর্গবাসী ফ্র্যাংক বয়েলের দিনটা অন্য রকমই কাটবে। তাকিয়ে থাকবেন স্ট্র্যাটফোর্ডের অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দিকে; যেখানে তাঁর ছেলে অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ড্যানি বয়েলের পরিচালনায় লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ছন্দে নেচে উঠবে গোটা বিশ্ব।
তবে চার বছর আগে বেইজিংয়ে আরেক চলচ্চিত্র নির্মাতা যতটা নাচাতে পেরেছিলেন, সেটাই এখন পর্যন্ত শেষ কথা হয়ে আছে। গত দুই বছরে কত শ্রম নিংড়ে দেওয়া কাজের বাঁকে বাঁকে তাই বেইজিং চ্যালেঞ্জ ছিলই। তাতে কতটা কী করে উঠতে পারলেন, আজ এর রায় ঘোষণার দিন। তাতে সাফল্যের সঙ্গে উতরে যাওয়াকেই বাবার জন্য জন্মদিনের সেরা উপহার ধরছেন ড্যানি। এ উপহারটা দেওয়ার জন্য কত দিন ধরেই না অপেক্ষায় আছেন। সেই তখন থেকে, যখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক হয়। বেঁচে থাকলে যে আজ ফ্র্যাংকের ৯১তম জন্মদিন পালিত হওয়ার কথা।
স্বর্গ থেকে তাই জগতের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের উদ্বোধনে চোখ রাখবেন তিনি; আর মর্ত্যে থেকে আমি, আমরা এবং আমরা সবাই। এখন শুধু ঘণ্টা বাজার অপেক্ষা। আক্ষরিক অর্থে ঘণ্টা বেজেই শুরু হবে লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আর শেষও হবে ঘণ্টা বাজিয়েই। সে জন্য আনা হয়েছে ২৭ টন ওজনের বিশালাকার এক ঘণ্টাও। শুরু আর শেষের ঘণ্টার মাঝখানের তিন ঘণ্টা পৃথিবীর এক বিলিয়ন দর্শককে মাতিয়ে রাখার যে ছক এঁকেছেন পরিচালক, সেটাকে 'লাইভ ফিল্ম'ই বলছেন তিনি। সরাসরি সিনেমা দেখানোর আনন্দ দিতে হাজির হয়ে যাচ্ছেন স্ট্র্যাটফোর্ডের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামকে ঘিরেই আশপাশে গড়ে উঠেছে কত্ত সব অলিম্পিক স্থাপনা। অথচ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন এ এলাকাটা ছিল পরিত্যক্ত এক শিল্পাঞ্চল। লন্ডন অলিম্পিককে ঘিরে এ এলাকাটা এখন বিবর্তনের এক সার্থক ছবি।
স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা) শুরু হতে যাওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও থাকছে ব্রিটিশ বিবর্তনের ছবি। অতীত, বর্তমান হয়ে গ্রেট ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ফুটিয়ে তোলা হবে। উপস্থাপিত হবেন ব্রিটিশ সাহিত্য ও সিনেমার বিখ্যাত সব চরিত্রও। থাকছেন বিখ্যাত বিটলসের কালজয়ী গায়ক ও সুরস্রষ্টা পল ম্যাককার্টনিও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে যদিও বিস্তারিত জানার উপায় নেই। এ অনুষ্ঠানের পুরো রেখাচিত্র এখনো বৈশ্বিক মিডিয়ার কাছে 'গুপ্তধন' হয়েই আছে। সেটা দিয়ে শুরুতেই লন্ডনের বাজিমাত করে দেওয়ার আশাটা কাল আরো বাড়িয়ে গেলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এমপিসিতে (মেইন প্রেস সেন্টার) কাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলে গেলেন, 'এটুকু বলতে পারি যে একটা কি দুটো মুহূর্ত সবার শিরদাঁড়া সোজা করে দেবে।'
তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই তো আর অলিম্পিকের শেষ নয়। শুরু মাত্র। শুরুর আগে নিরাপত্তা নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যে নতুন এক বিতর্কও উঁকি দিয়েছিল। ফুটবলে উত্তর কোরিয়ার খেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা উড়িয়ে ফেলাকে 'নির্দোষ ভুল' আখ্যা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়ে রাখলেন যে 'আমি মনে করি, আগামী কয়েক সপ্তাহে বিশ্বকে স্বাগত জানানোর জন্য ব্রিটেন তৈরি।' এই কয়েক সপ্তাহে কত হাসি-কান্না আর আনন্দ-বেদনার স্রোত বইবে; যেখানে বিশ্বের প্রায় সব খেলার তারকারা আছেন। কেউ মুকুট ধরে রাখতে আসবেন। আবার কেউ আসবেন তা ছিনিয়ে নিতে। উসাইন বোল্ট নামের গতিমানব ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনা যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে চাইবেন। আর তাঁরই স্বদেশি ইয়োহান ব্লেকও সেটা নিজের করে নেওয়ার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টায় ক্ষান্ত হবেন না। দেখা হয়ে গেলে কয়দিন আগেই উইম্বলডন ফাইনালে রজার ফেদেরারের কাছে হারের শোধ তুলতে চাইবেন অ্যান্ডি মারে।
এমন সব লড়াইয়ের আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান; যেটা ড্যানি বয়েলের কাছে বাবার জন্য জন্মদিনের উপহার আর বিশ্ববাসীর জন্য লন্ডনের। এর পরই বেজে উঠবে লড়াইয়ের দামামা। সে জন্যই তো শহরের এখানে-সেখানে গত কয়েক দিনে এমন আহ্বানই চোখে পড়েছে কেবল, 'গেট রেডি ফর দ্য বিগেস্ট সামার'।
স্বর্গ থেকে তাই জগতের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের উদ্বোধনে চোখ রাখবেন তিনি; আর মর্ত্যে থেকে আমি, আমরা এবং আমরা সবাই। এখন শুধু ঘণ্টা বাজার অপেক্ষা। আক্ষরিক অর্থে ঘণ্টা বেজেই শুরু হবে লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আর শেষও হবে ঘণ্টা বাজিয়েই। সে জন্য আনা হয়েছে ২৭ টন ওজনের বিশালাকার এক ঘণ্টাও। শুরু আর শেষের ঘণ্টার মাঝখানের তিন ঘণ্টা পৃথিবীর এক বিলিয়ন দর্শককে মাতিয়ে রাখার যে ছক এঁকেছেন পরিচালক, সেটাকে 'লাইভ ফিল্ম'ই বলছেন তিনি। সরাসরি সিনেমা দেখানোর আনন্দ দিতে হাজির হয়ে যাচ্ছেন স্ট্র্যাটফোর্ডের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামকে ঘিরেই আশপাশে গড়ে উঠেছে কত্ত সব অলিম্পিক স্থাপনা। অথচ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন এ এলাকাটা ছিল পরিত্যক্ত এক শিল্পাঞ্চল। লন্ডন অলিম্পিককে ঘিরে এ এলাকাটা এখন বিবর্তনের এক সার্থক ছবি।
স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা) শুরু হতে যাওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও থাকছে ব্রিটিশ বিবর্তনের ছবি। অতীত, বর্তমান হয়ে গ্রেট ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ফুটিয়ে তোলা হবে। উপস্থাপিত হবেন ব্রিটিশ সাহিত্য ও সিনেমার বিখ্যাত সব চরিত্রও। থাকছেন বিখ্যাত বিটলসের কালজয়ী গায়ক ও সুরস্রষ্টা পল ম্যাককার্টনিও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে যদিও বিস্তারিত জানার উপায় নেই। এ অনুষ্ঠানের পুরো রেখাচিত্র এখনো বৈশ্বিক মিডিয়ার কাছে 'গুপ্তধন' হয়েই আছে। সেটা দিয়ে শুরুতেই লন্ডনের বাজিমাত করে দেওয়ার আশাটা কাল আরো বাড়িয়ে গেলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এমপিসিতে (মেইন প্রেস সেন্টার) কাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলে গেলেন, 'এটুকু বলতে পারি যে একটা কি দুটো মুহূর্ত সবার শিরদাঁড়া সোজা করে দেবে।'
তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই তো আর অলিম্পিকের শেষ নয়। শুরু মাত্র। শুরুর আগে নিরাপত্তা নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যে নতুন এক বিতর্কও উঁকি দিয়েছিল। ফুটবলে উত্তর কোরিয়ার খেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা উড়িয়ে ফেলাকে 'নির্দোষ ভুল' আখ্যা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়ে রাখলেন যে 'আমি মনে করি, আগামী কয়েক সপ্তাহে বিশ্বকে স্বাগত জানানোর জন্য ব্রিটেন তৈরি।' এই কয়েক সপ্তাহে কত হাসি-কান্না আর আনন্দ-বেদনার স্রোত বইবে; যেখানে বিশ্বের প্রায় সব খেলার তারকারা আছেন। কেউ মুকুট ধরে রাখতে আসবেন। আবার কেউ আসবেন তা ছিনিয়ে নিতে। উসাইন বোল্ট নামের গতিমানব ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনা যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে চাইবেন। আর তাঁরই স্বদেশি ইয়োহান ব্লেকও সেটা নিজের করে নেওয়ার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টায় ক্ষান্ত হবেন না। দেখা হয়ে গেলে কয়দিন আগেই উইম্বলডন ফাইনালে রজার ফেদেরারের কাছে হারের শোধ তুলতে চাইবেন অ্যান্ডি মারে।
এমন সব লড়াইয়ের আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান; যেটা ড্যানি বয়েলের কাছে বাবার জন্য জন্মদিনের উপহার আর বিশ্ববাসীর জন্য লন্ডনের। এর পরই বেজে উঠবে লড়াইয়ের দামামা। সে জন্যই তো শহরের এখানে-সেখানে গত কয়েক দিনে এমন আহ্বানই চোখে পড়েছে কেবল, 'গেট রেডি ফর দ্য বিগেস্ট সামার'।
No comments