ইসলামী ১২ দলের জোটে ভাঙনের সুর by মোশতাক আহমদ
নেতৃত্ব ও আনুগত্যের অভাবে ইসলামী দলগুলো এখন নামসর্বস্ব। একই অবস্থা দলগুলোর জোটেও। বিভিন্ন দাবিতে ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের যেখানে ঈদের পর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার কথা, সেখানে বর্তমানে এ জোটে ভাঙনের সুর লক্ষ করা যাচ্ছে।
গত এপ্রিলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওলামা মাশায়েখদের জাতীয় কনভেনশনের পর এ পর্যন্ত ১২ দল আর একসঙ্গে বসতে পারেনি। এমনকি চলতি রমজান মাসেও তাদের কোনো ইফতার অনুষ্ঠান নেই।
জানা গেছে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফির নেতৃত্বে ১২ দল সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখা, নারীনীতি ও শিক্ষানীতি নিয়ে হরতাল করেছিল। সেই ইউসুফিও এখন জোটের খবর রাখেন না। একই সঙ্গে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, মুসলিম লীগ ও জাতীয় ওলামা পরিষদও একই পথ ধরেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রব ইউসুফি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিভিন্ন কারণে আমি ও আমার দল এখন ১২ দলের কার্যক্রম থেকে বিরত আছি।' আবারও যোগ হবেন কি না সে বিষয়ে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ১২ দলের এই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
দেখা গেছে, ৩৩ বছর ধরে বাংলাদেশে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে একাধিকবার ঐক্য হলেও তা ধরে রাখা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মোহা. সাখাওয়াত কালের কণ্ঠকে বলেন, ইসলামের স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার কথা থাকলেও নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। এসব কারণে ১২ দলের ইসলামী মোর্চায় বারবার ভাঙন ধরছে। সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে কেউ কেউ লোক দেখানো আন্দোলন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জানা গেছে, দাবি আদায়ে সরকারের প্রথম দুই বছর ইসলামী ও সমমনা দলের ব্যানারে ১২ দলের জোট আন্দোলনের ডাক দেয়। পরবর্তী সময়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তারা বিক্ষোভ-হরতালের মতো কর্মসূচিও পালন করে। একপর্যায়ে দলগুলোতে নেতৃত্বের বিরোধ দেখা দিলে মোর্চা থেকে প্রথমেই বের হয়ে আসে মুফতি আমিনীর ইসলামী ঐক্যজোট। পরে তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি নামে একটি পাল্টা ইসলামী মোর্চা। বর্তমানে এই ব্যানারেই মুফতি আমিনী সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে কিছুদিন যেতে না যেতেই নেতৃত্ব নিয়ে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে তারাও এই মোর্চা থেকে বের হয়ে যায়। পরে তারা পৃথক হরতালের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করে। একই ইস্যু নিয়ে এখনো পর্যন্ত চরমোনাই পীর নিজের সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। সম্প্রতি এই বৃহত্তর মোর্চা থেকে নীরবে বেরিয়ে যায় প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মাওলানা আবদুর রবের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এখন আর ১২ ইসলামী ও সমমনা দলের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইসলামী দলগুলোকে যেখানে আরো ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার, সেখানে ব্যক্তিগত কোন্দল ও নেতৃত্বের কারণে কেবল ভাঙছে। তিনি আরো বলেন, 'আমরা শুরুতে যে দলে ছিলাম এখনো সে দলেই আছি। অন্যরা যারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এসেছিল, তারা কেটে পড়েছে।'
জানা গেছে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফির নেতৃত্বে ১২ দল সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখা, নারীনীতি ও শিক্ষানীতি নিয়ে হরতাল করেছিল। সেই ইউসুফিও এখন জোটের খবর রাখেন না। একই সঙ্গে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, মুসলিম লীগ ও জাতীয় ওলামা পরিষদও একই পথ ধরেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রব ইউসুফি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিভিন্ন কারণে আমি ও আমার দল এখন ১২ দলের কার্যক্রম থেকে বিরত আছি।' আবারও যোগ হবেন কি না সে বিষয়ে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ১২ দলের এই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
দেখা গেছে, ৩৩ বছর ধরে বাংলাদেশে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে একাধিকবার ঐক্য হলেও তা ধরে রাখা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মোহা. সাখাওয়াত কালের কণ্ঠকে বলেন, ইসলামের স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার কথা থাকলেও নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। এসব কারণে ১২ দলের ইসলামী মোর্চায় বারবার ভাঙন ধরছে। সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে কেউ কেউ লোক দেখানো আন্দোলন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জানা গেছে, দাবি আদায়ে সরকারের প্রথম দুই বছর ইসলামী ও সমমনা দলের ব্যানারে ১২ দলের জোট আন্দোলনের ডাক দেয়। পরবর্তী সময়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তারা বিক্ষোভ-হরতালের মতো কর্মসূচিও পালন করে। একপর্যায়ে দলগুলোতে নেতৃত্বের বিরোধ দেখা দিলে মোর্চা থেকে প্রথমেই বের হয়ে আসে মুফতি আমিনীর ইসলামী ঐক্যজোট। পরে তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি নামে একটি পাল্টা ইসলামী মোর্চা। বর্তমানে এই ব্যানারেই মুফতি আমিনী সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে কিছুদিন যেতে না যেতেই নেতৃত্ব নিয়ে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে তারাও এই মোর্চা থেকে বের হয়ে যায়। পরে তারা পৃথক হরতালের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করে। একই ইস্যু নিয়ে এখনো পর্যন্ত চরমোনাই পীর নিজের সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। সম্প্রতি এই বৃহত্তর মোর্চা থেকে নীরবে বেরিয়ে যায় প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মাওলানা আবদুর রবের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এখন আর ১২ ইসলামী ও সমমনা দলের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইসলামী দলগুলোকে যেখানে আরো ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার, সেখানে ব্যক্তিগত কোন্দল ও নেতৃত্বের কারণে কেবল ভাঙছে। তিনি আরো বলেন, 'আমরা শুরুতে যে দলে ছিলাম এখনো সে দলেই আছি। অন্যরা যারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এসেছিল, তারা কেটে পড়েছে।'
No comments