আমানত শাহ্ লুঙ্গি অলিম্পিক আপডেট-শেলির আলোয় উদ্ভাসিত এক দিন by মাসুদ পারভেজ
উসাইন বোল্ট, ইয়োহান ব্লেক কিংবা আসাফা পাওয়েল। তাঁদের কেউ একজন পারলেই আজ জ্যামাইকার স্বাধীনতা দিবসটা পুরোপুরি সোনায় মোড়ানো হয়। গত রাতে ঘুমানোর আগে টিভিতে ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট দেখে থাকলে ভিন্ন কথা।
না হলে আজ সকালে ঘুম ভাঙার পরই জেনে যাওয়ার কথা যে তাঁদেরই কেউ বিশ্বের দ্রুততম মানব হয়েছেন কি না। হয়ে গেলে জ্যামাইকার ৫০তম স্বাধীনতা দিবসটাও পরিপূর্ণ সোনারং নেয়। যার অর্ধেকটা এরই মধ্যে রাঙিয়েছেন ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় মেয়ে হিসেবে বিশ্বের দ্রুততম মানবীর খেতাব ধরে রাখা শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস।
তাঁর আগের দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের। ১৯৬৪ সালে টোকিওতে মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনাজয়ী ইয়োমিয়া টাইয়ুস শিরোপা ধরে রাখার প্রথম নজির স্থাপন করেন ১৯৬৮-র মেক্সিকো অলিম্পিকে। পরপর দুই অলিম্পিকে (১৯৯২-এর বার্সেলোনা এবং ১৯৯৬-এর আটলান্টা অলিম্পিক) মেয়েদের এ ইভেন্টে সোনা জয়ের সর্বশেষ উদাহরণ গেইল ডেভার্স। এবার লন্ডন অলিম্পিকও পেল শেলি অ্যান ফ্রেজার নামের সেই পুরনো রানিকেই। যিনি নিজেও স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে জ্যামাইকানদের এমন এক উপহার দিতে পারার আনন্দে ডুবে গেলেন, 'দারুণ ব্যাপার হলো, এই ইংল্যান্ডের কাছ থেকেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আর আমরা এখন আছিও সেই ইংল্যান্ডেই। যেখানে আমাদের প্রথম পদকটা পেলাম।'
স্ট্র্যাটফোর্ডের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফ্রেজারের শ্রেষ্ঠত্বের আলোয় উজ্জ্বল সন্ধ্যায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি আলোকিত ছিল গ্রেট ব্রিটেনই। শেলি ট্র্যাকে নেমে পড়ার আগেই রীতিমতো এক আলোকমালায় দেশকে সাজিয়েছেন তিন তিনজন অ্যাথলেট। এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে অ্যাথলেটিকসে তিন তিনটি সোনা এনে দেন তাঁরা। যার প্রতিটাই 'প্রথম' আনন্দে ভাসার মতো। যেমন ছেলেদের লংজাম্পে গ্রেগ রাদারফোর্ডের এনে দেওয়া সোনাটা গত ৪৮ বছরের মধ্যে ব্রিটেনের প্রথম। মো ফারাহর পায়ে চেপে ১০ হাজার মিটার দৌড়ের সোনাও এলো প্রথমবারের মতো। আর এ দুজনের কীর্তির মাঝখানে মেয়েদের হেপটাথলনে বিজয়ী জেসিকা এনিসও গড়েছেন ইতিহাস। নিজ দেশের মাঠে এ ইভেন্টে সোনাজয়ী প্রথম অ্যাথলেট যে তিনিই।
চাইলে এ 'পোস্টার গার্ল'কে দিয়েও আরেকটু রাঙানো যায় জ্যামাইকার স্বাধীনতা দিবস। একসময় পিৎজা হাটের ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করা এ ব্রিটিশ তরুণীর বাবাও যে একজন জ্যামাইকান। অবশ্য বেইজিং অলিম্পিক থেকে খাটি জ্যামাইকানরাই রাজত্ব করছেন ছেলে আর মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে। গতবার ১০.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জেতা শেলি এবার ফিনিশিং লাইন পেরিয়েছেন ১০.৭৫ সেকেন্ডে। যদিও গতির নেশা তাঁর মধ্যে এমনই প্রবল যে তাতেও ঠিক পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না, 'মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে আমার। আমি আরো ভালো দৌড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ১০০ পারসেন্ট পারলাম না।' শতভাগ দৌড়াতে না পেরেও সবার আগে তিনি। ১০.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কারমেলিটা জেটার। আর ব্রোঞ্জ জিতেছেন আরেক জ্যামাইকান ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল।
বেইজিংয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে সোনা জেতা শেলি ফ্রেজার অবশ্য এবার চূড়ান্ত সাফল্যের বিশ্বাস নিয়েই এসেছিলেন, 'এবারের স্প্রিন্টটা বেইজিংয়ের চেয়ে একেবারেই অন্য রকম। আগেরবার আমি ছিলাম অনভিজ্ঞ। বয়সও কম ছিল এবং এ বিশ্বাসও আমার কখনোই ছিল না যে জিততে পারব।'
এবার বিশ্বাসেও মিলেছে বস্তু। সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা দিবসের উপহারটাও দেওয়া হয়ে গেছে। যদিও জ্যামাইকায় জনপ্রিয়তায় উসাইন বোল্টের ধারেকাছেও তিনি নন, 'বরং উসাইনের সঙ্গে দেখা হয় কি না কিংবা ওর সঙ্গে ট্রেনিং করি কি না, লোকজন আমাকে পেলেই এ জাতীয় প্রশ্ন করে। অবশ্যই উসাইন বেশি জনপ্রিয়। আর ও যা করেছে, তাতে এ রকমই হওয়া উচিত। বেইজিং অলিম্পিকে জ্যামাইকাকে প্রথম পদকটা এনে দিয়েছিল উসাইন। তবে এবার প্রথম সোনা এনে দিল একজন মেয়ে।'
এবার ছেলেদের পালা। তাতে উসাইন, ব্লেক কিংবা পাওয়েলের কেউ একজন পারলেই জ্যামাইকার স্বাধীনতা দিবস পুরোপুরি সোনায় মোড়ানো হয়। হয়েছে কি না, এতক্ষণে বোধ হয় তা জেনেও গেছেন!
তাঁর আগের দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের। ১৯৬৪ সালে টোকিওতে মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনাজয়ী ইয়োমিয়া টাইয়ুস শিরোপা ধরে রাখার প্রথম নজির স্থাপন করেন ১৯৬৮-র মেক্সিকো অলিম্পিকে। পরপর দুই অলিম্পিকে (১৯৯২-এর বার্সেলোনা এবং ১৯৯৬-এর আটলান্টা অলিম্পিক) মেয়েদের এ ইভেন্টে সোনা জয়ের সর্বশেষ উদাহরণ গেইল ডেভার্স। এবার লন্ডন অলিম্পিকও পেল শেলি অ্যান ফ্রেজার নামের সেই পুরনো রানিকেই। যিনি নিজেও স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে জ্যামাইকানদের এমন এক উপহার দিতে পারার আনন্দে ডুবে গেলেন, 'দারুণ ব্যাপার হলো, এই ইংল্যান্ডের কাছ থেকেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আর আমরা এখন আছিও সেই ইংল্যান্ডেই। যেখানে আমাদের প্রথম পদকটা পেলাম।'
স্ট্র্যাটফোর্ডের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফ্রেজারের শ্রেষ্ঠত্বের আলোয় উজ্জ্বল সন্ধ্যায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি আলোকিত ছিল গ্রেট ব্রিটেনই। শেলি ট্র্যাকে নেমে পড়ার আগেই রীতিমতো এক আলোকমালায় দেশকে সাজিয়েছেন তিন তিনজন অ্যাথলেট। এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে অ্যাথলেটিকসে তিন তিনটি সোনা এনে দেন তাঁরা। যার প্রতিটাই 'প্রথম' আনন্দে ভাসার মতো। যেমন ছেলেদের লংজাম্পে গ্রেগ রাদারফোর্ডের এনে দেওয়া সোনাটা গত ৪৮ বছরের মধ্যে ব্রিটেনের প্রথম। মো ফারাহর পায়ে চেপে ১০ হাজার মিটার দৌড়ের সোনাও এলো প্রথমবারের মতো। আর এ দুজনের কীর্তির মাঝখানে মেয়েদের হেপটাথলনে বিজয়ী জেসিকা এনিসও গড়েছেন ইতিহাস। নিজ দেশের মাঠে এ ইভেন্টে সোনাজয়ী প্রথম অ্যাথলেট যে তিনিই।
চাইলে এ 'পোস্টার গার্ল'কে দিয়েও আরেকটু রাঙানো যায় জ্যামাইকার স্বাধীনতা দিবস। একসময় পিৎজা হাটের ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করা এ ব্রিটিশ তরুণীর বাবাও যে একজন জ্যামাইকান। অবশ্য বেইজিং অলিম্পিক থেকে খাটি জ্যামাইকানরাই রাজত্ব করছেন ছেলে আর মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে। গতবার ১০.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জেতা শেলি এবার ফিনিশিং লাইন পেরিয়েছেন ১০.৭৫ সেকেন্ডে। যদিও গতির নেশা তাঁর মধ্যে এমনই প্রবল যে তাতেও ঠিক পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না, 'মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে আমার। আমি আরো ভালো দৌড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ১০০ পারসেন্ট পারলাম না।' শতভাগ দৌড়াতে না পেরেও সবার আগে তিনি। ১০.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কারমেলিটা জেটার। আর ব্রোঞ্জ জিতেছেন আরেক জ্যামাইকান ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল।
বেইজিংয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে সোনা জেতা শেলি ফ্রেজার অবশ্য এবার চূড়ান্ত সাফল্যের বিশ্বাস নিয়েই এসেছিলেন, 'এবারের স্প্রিন্টটা বেইজিংয়ের চেয়ে একেবারেই অন্য রকম। আগেরবার আমি ছিলাম অনভিজ্ঞ। বয়সও কম ছিল এবং এ বিশ্বাসও আমার কখনোই ছিল না যে জিততে পারব।'
এবার বিশ্বাসেও মিলেছে বস্তু। সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা দিবসের উপহারটাও দেওয়া হয়ে গেছে। যদিও জ্যামাইকায় জনপ্রিয়তায় উসাইন বোল্টের ধারেকাছেও তিনি নন, 'বরং উসাইনের সঙ্গে দেখা হয় কি না কিংবা ওর সঙ্গে ট্রেনিং করি কি না, লোকজন আমাকে পেলেই এ জাতীয় প্রশ্ন করে। অবশ্যই উসাইন বেশি জনপ্রিয়। আর ও যা করেছে, তাতে এ রকমই হওয়া উচিত। বেইজিং অলিম্পিকে জ্যামাইকাকে প্রথম পদকটা এনে দিয়েছিল উসাইন। তবে এবার প্রথম সোনা এনে দিল একজন মেয়ে।'
এবার ছেলেদের পালা। তাতে উসাইন, ব্লেক কিংবা পাওয়েলের কেউ একজন পারলেই জ্যামাইকার স্বাধীনতা দিবস পুরোপুরি সোনায় মোড়ানো হয়। হয়েছে কি না, এতক্ষণে বোধ হয় তা জেনেও গেছেন!
No comments