জালনোটের কারখানা ॥ বমাল গ্রেফতার ৭
রাজধানী থেকে আবারও অর্ধকোটি টাকার জালনোট ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সিল করে দেয়া হয়েছে জালটাকা তৈরির কারখানা। কারখানায় প্রতিদিন ৫ লাখ টাকার জালনোট তৈরি হতো।
গ্রেফতারকৃতদের তৈরি এক কোটি টাকার জালনোট গত কয়েক দিনে বাজারে চলে গেছে। জালটাকার কারবারিরা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান ও সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দনের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতভর রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে কদমতলী থানাধীন রাজাবাড়ি পোস্তগোলা এলাকা থেকে বাবু শেখ (৩৮), নিয়াজ শেখ (৩৫), ইমদাদুল ইসলাম ওরফে ইমন (২২), জিতু (২৫), জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির (২৫), শিরিন আক্তার ওরফে তমা (২২) ও শাহানাজ বেগমকে (২৫) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ৩টি প্রিন্টার মেশিন, জালটাকা তৈরির রং, কার্টিজ, স্কেল, কাটার, জলছাপ দেয়ার ডাইসবোর্ড, কাঁচের গ্লাস, বিক্রির জন্য তৈরিকৃত এক হাজার, ৫শ’ ও এক শ’ টাকা মূল্যমানের সর্বমোট ৫০ লাখ টাকার বাংলাদেশী জালনোট উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে কদমতলী থানার এসআই গোলাম রসুল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেককে ৫ দিনের করে রিমান্ডের আবেদন করে ঢাকার সিএমএম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রবিবার আসামিদের জালটাকা ও জালটাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিটি বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমানসহ উর্ধতন পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোখলেছুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জালটাকা তৈরি করে তা বাজারজাত করছিল। তারা জালটাকা তৈরির সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামি বাবু শেখ ও নিয়াজ শেখ জাল টাকা তৈরি করে সহযোগীদের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত বাবু শেখ সাংবাদিকদের জানায়, সে ৩ থেকে ৪ বছর ধরে জাল টাকা কারবারের সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন ১ থেকে দেড় লাখ টাকার সমপরিমাণ জালনোট তৈরি করে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে আগত এজেন্টদের দিত। ঈদ মৌসুমে কারখানায় প্রতিদিন ৫ লাখ টাকার জালনোট তৈরি হচ্ছিল। দৈনিক উৎপাদিত টাকা সে নিজস্ব লোকজনদের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিত। ইতোমধ্যেই সে এক কোটি টাকার ওপরে জালনোট তৈরি করে বাজাওে ছেড়ে দিয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম থেকে ৫০ লাখ টাকার জালনোট তৈরির অর্ডার আসে। অর্ডার মোতাবেক টাকা তৈরি হয়ে যায়। রবিবার টাকা সাপ্লাই দেয়ার কথা ছিল। টাকা তৈরির পর প্যাকিংসহ আনুষঙ্গিক কাজ করার সময় ডিবি সংঘবদ্ধ চক্রটিকে গ্রেফতার করে। শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে জালটাকার অর্ডার আসে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২০টি জালটাকা তৈরির কারখানা আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই রয়েছে ১৫টি। ইতোমধ্যেই অন্তত ১০টি কারখানা শনাক্ত করে সেসব কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে জালনোটের অন্তত ৩০ জন কারবারি। তারপরও থেমে নেই জালটাকার কারবার। কারণ জালটাকার কারখানার জন্য জায়গা কম লাগে। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় অনেক সময়ই জালটাকার কারবারি ও জালনোটের উৎপাদনকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান ও সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দনের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতভর রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে কদমতলী থানাধীন রাজাবাড়ি পোস্তগোলা এলাকা থেকে বাবু শেখ (৩৮), নিয়াজ শেখ (৩৫), ইমদাদুল ইসলাম ওরফে ইমন (২২), জিতু (২৫), জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির (২৫), শিরিন আক্তার ওরফে তমা (২২) ও শাহানাজ বেগমকে (২৫) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ৩টি প্রিন্টার মেশিন, জালটাকা তৈরির রং, কার্টিজ, স্কেল, কাটার, জলছাপ দেয়ার ডাইসবোর্ড, কাঁচের গ্লাস, বিক্রির জন্য তৈরিকৃত এক হাজার, ৫শ’ ও এক শ’ টাকা মূল্যমানের সর্বমোট ৫০ লাখ টাকার বাংলাদেশী জালনোট উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে কদমতলী থানার এসআই গোলাম রসুল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেককে ৫ দিনের করে রিমান্ডের আবেদন করে ঢাকার সিএমএম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রবিবার আসামিদের জালটাকা ও জালটাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিটি বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমানসহ উর্ধতন পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোখলেছুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জালটাকা তৈরি করে তা বাজারজাত করছিল। তারা জালটাকা তৈরির সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামি বাবু শেখ ও নিয়াজ শেখ জাল টাকা তৈরি করে সহযোগীদের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত বাবু শেখ সাংবাদিকদের জানায়, সে ৩ থেকে ৪ বছর ধরে জাল টাকা কারবারের সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন ১ থেকে দেড় লাখ টাকার সমপরিমাণ জালনোট তৈরি করে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে আগত এজেন্টদের দিত। ঈদ মৌসুমে কারখানায় প্রতিদিন ৫ লাখ টাকার জালনোট তৈরি হচ্ছিল। দৈনিক উৎপাদিত টাকা সে নিজস্ব লোকজনদের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিত। ইতোমধ্যেই সে এক কোটি টাকার ওপরে জালনোট তৈরি করে বাজাওে ছেড়ে দিয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম থেকে ৫০ লাখ টাকার জালনোট তৈরির অর্ডার আসে। অর্ডার মোতাবেক টাকা তৈরি হয়ে যায়। রবিবার টাকা সাপ্লাই দেয়ার কথা ছিল। টাকা তৈরির পর প্যাকিংসহ আনুষঙ্গিক কাজ করার সময় ডিবি সংঘবদ্ধ চক্রটিকে গ্রেফতার করে। শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে জালটাকার অর্ডার আসে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২০টি জালটাকা তৈরির কারখানা আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই রয়েছে ১৫টি। ইতোমধ্যেই অন্তত ১০টি কারখানা শনাক্ত করে সেসব কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে জালনোটের অন্তত ৩০ জন কারবারি। তারপরও থেমে নেই জালটাকার কারবার। কারণ জালটাকার কারখানার জন্য জায়গা কম লাগে। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় অনেক সময়ই জালটাকার কারবারি ও জালনোটের উৎপাদনকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।
No comments