এবার ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে চীনা কোম্পানির প্রস্তাব- বেসরকারী প্রস্তাব বলে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না সরকার by হামিদ-উজ-জামান মামুন
প্রায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়েছে চীনের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি চায়না ন্যাশনাল এ্যারো টেকনোলজি বেজিং কোম্পানি নামের প্রতিষ্ঠানটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে একটি প্রস্তাবও পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব ইকবাল মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতুসহ যে কোন প্রকল্পে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব সরকার সাধারণত গ্রহণ করেনি। এমন প্রস্তাব বিভিন্ন সময় আসে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি কম। সরকারীভাবে প্রস্তাব এলে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিদ্যুত খাতের সম্ভাবনা থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রস্তাব সবচেয়ে বেশি। তবে বায়ুভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাবও আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় চায়না ন্যাশনাল এ্যারো টেকনোলজি চট্টগ্রামে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে চীনের প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ বিপুল পরিমাণ চাহিদা মেটাতে বিদ্যুত উৎপাদনের প্রয়োজন। ২০১৪ সালের মধ্যে শিল্পসহ অন্যান্য খাতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। এজন্য বিদ্যুত উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। তবে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ সম্ভব নয়। কারণ গ্যাসের সঙ্কট রয়েছে। আবার জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্যের কারণে তেলভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণও সম্ভব নয়। তাই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ প্রস্তাবে ঋণের সুদ ধরা হয়েছে লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সঙ্গে আরও সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ধরা হয়েছে তিন বছর। বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তির ১২ বছরের মধ্যে সব ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সদস্য জানান, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয় না। তবে সরকারের মাধ্যমে আলোচনা হলে তখন বিবেচনা করা হয়। দেশে বিদ্যুত উন্নয়নে কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করতে চাইলে দরপত্রে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হতে হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একাধিক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া ঋণের চুক্তির বিষয়ে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। কারণ এগুলোর বড় অংশ মানিলন্ডারিং হয়ে থাকে, যা দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর হতে পারে।
সূত্র জনায়, চীনের আরও একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়ায় ২৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়েছে। চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানটি ঘোড়াশাল এবং আশুগঞ্জে বড় আকারের বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে।
এর সুদ ধরা হয়েছে লাইবরের সঙ্গে সাড়ে তিন শতাংশ। গ্রেস পিরিয়ড ধরা হয়েছে তিন বছর। আর ঋণ পরিশোধের সময় ধরা হয়েছে ১২ বছর।
চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো এমন সময় প্রস্তাব দিল যখন বাগেরহাটের রামপালে এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশবাদী ও স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিদ্যুত খাতের সম্ভাবনা থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রস্তাব সবচেয়ে বেশি। তবে বায়ুভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাবও আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় চায়না ন্যাশনাল এ্যারো টেকনোলজি চট্টগ্রামে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে চীনের প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ বিপুল পরিমাণ চাহিদা মেটাতে বিদ্যুত উৎপাদনের প্রয়োজন। ২০১৪ সালের মধ্যে শিল্পসহ অন্যান্য খাতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। এজন্য বিদ্যুত উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। তবে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ সম্ভব নয়। কারণ গ্যাসের সঙ্কট রয়েছে। আবার জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্যের কারণে তেলভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণও সম্ভব নয়। তাই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ প্রস্তাবে ঋণের সুদ ধরা হয়েছে লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সঙ্গে আরও সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ধরা হয়েছে তিন বছর। বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তির ১২ বছরের মধ্যে সব ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সদস্য জানান, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয় না। তবে সরকারের মাধ্যমে আলোচনা হলে তখন বিবেচনা করা হয়। দেশে বিদ্যুত উন্নয়নে কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করতে চাইলে দরপত্রে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হতে হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একাধিক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া ঋণের চুক্তির বিষয়ে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। কারণ এগুলোর বড় অংশ মানিলন্ডারিং হয়ে থাকে, যা দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর হতে পারে।
সূত্র জনায়, চীনের আরও একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়ায় ২৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়েছে। চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানটি ঘোড়াশাল এবং আশুগঞ্জে বড় আকারের বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে।
এর সুদ ধরা হয়েছে লাইবরের সঙ্গে সাড়ে তিন শতাংশ। গ্রেস পিরিয়ড ধরা হয়েছে তিন বছর। আর ঋণ পরিশোধের সময় ধরা হয়েছে ১২ বছর।
চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো এমন সময় প্রস্তাব দিল যখন বাগেরহাটের রামপালে এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশবাদী ও স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।
No comments