আলোকের এই ঝরনাধারায় (পর্ব-৮৬)-মুক্তিযুদ্ধে শহীদ কিশোর রুস্তম by আলী যাকের
আগেই যেমন বলেছি, বাংলাদেশের বিভিন্ন রণক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সরকারেরই নির্দেশে বিভিন্নভাবে মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করছিল। এই সহায়তা বিভিন্ন স্তরে বিস্তৃত ছিল। প্রথমত, সদ্য মুক্তিযুদ্ধে আগত তরুণদের গেরিলাযুদ্ধে প্রশিক্ষণ দেওয়া ছিল মূল কাজ। এতে বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীর অফিসাররাও সাহায্য করতেন।
মাঝেমধ্যে ক্ষুদ্রাস্ত্র ও গোলাগুলি সরবরাহও করত ভারতীয় বাহিনী। আর তা ছাড়া প্রতিটি রণক্ষেত্রে ভারী গোলাবর্ষণের জন্য মুক্তিবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর ওপরই নির্ভর করত। এবার ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে শুরু করে। ডিসেম্বরের ৬ তারিখ আমাদের জাতীয় জীবনে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ওই দিন ভারত বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেদিন একটি অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতার মাধ্যমে ভারতের তৎকালীন সংসদকে জানান ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা। এর আগে ৩ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে দিলি্ল আগমনের পর তিনি ভারতীয় বেতারে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে ভারতের অভ্যন্তরে পাকিস্তানিদের আক্রমণ সম্বন্ধে দেশবাসীকে জানান দিয়ে এই কথা বলেন যে বাংলাদেশের যুদ্ধ এখন ভারতের যুদ্ধ হিসেবে মূল্যায়নের সময় এসেছে। এই সময় কোনো একটি ভাষণে তিনি এ কথাও বলেন যে বাংলাদেশের গণহত্যায় ভারত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না। অতএব, পাকিস্তানি আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। এখন থেকে পাকিস্তানের প্রতিটি নগ্ন হামলার মোকাবিলা করা হবে সমান শক্তি নিয়ে। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে এ-ও বলেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে একসঙ্গে বাংলাদেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে। এ সময় আমাদের মধ্যে প্রচণ্ড চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রত্যেক কর্মী দ্বিগুণ উৎসাহে নিজ নিজ কাজে মনোনিবেশ করেন। ওই সময় আমরা নিশ্চিত হই যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেবল সময়ের ব্যাপার। সে যে কী অনুভূতি, তার বর্ণনা দেওয়া আজ, এই এত বছর পর কোনোমতেই সম্ভব নয়।
৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে আমি কবির ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ৯ নম্বর সেক্টরে আমাদের যুদ্ধের অগ্রগতি দেখার জন্য সেখানে যাই। তত দিনে মুক্তিবাহিনী অনেক দূরে ঢুকে গেছে। আমি সাতক্ষীরা সাব-সেক্টর দিয়ে পূর্ব দিকে এগোচ্ছিলাম। তখন তালার কাছে প্রচণ্ড যুদ্ধ হচ্ছে। ওই সাব-সেক্টরটিতে আমি এর আগেও গিয়েছি। ফলে তাঁদের সঙ্গে আমার বেশ ভালো সখ্য হয়ে গিয়েছিল। মুক্তিবাহিনীর ওই ক্যাম্পে হাতিয়ার হাতে যোদ্ধারা ছাড়াও এক কিশোরের সঙ্গে আমার বেশ বন্ধুত্ব হয়। ছেলেটির নাম ছিল রুস্তম। সে যশোরের ঝিকরগাছার অধিবাসী। তাদের গ্রামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ করার পর তার মা-বাবা ও এক বোন কোথায় ছিটকে পড়ে, তার কোনো সন্ধানও পায়নি। তারপর নানা মানুষের সহযোগিতায় সে যশোর ছেড়ে সাতক্ষীরায় প্রবেশ করে এবং এই সাব-সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। রুস্তম নানা রকম ফুটফরমাশ খাটত। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডাল-ভাত রান্না করে দেওয়া, মাঝেমধ্যে ভারী জিনিসপত্র বহন করা, ক্যাম্প পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা- এগুলোই ছিল তার মূল কাজ। ভারি মিষ্টি চেহারা ছিল রুস্তমের। আমাকে দেখলেই মিষ্টি হেসে আমার হাতের টেপ রেকর্ডারটিতে তার কণ্ঠ ধারণ করার অনুরোধ করত। আমি কোনো আগ্রহ দেখাতাম না বলে সে অভিমান করত আর বলত, স্বাধীনতার পর সে ইংরেজি শিখে এসে আমাকে সাক্ষাৎকার দেবে। আমি হেসে মাথা হেলিয়ে বলতাম, 'অবশ্যই। কিন্তু তোমাকে প্রথমে ইংরেজি শিখতে হবে।' সে আমার নাম রেখেছিল 'বেতার সাহেব'। ওই ক্যাম্পে গেলে বেতার সাহেবের প্রতি তার একটু বিশেষ নজর থাকত। ফলে আমি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করলাম কি না, তাঁবুর নিচে আমার বিছানাটা ঠিকমতো পাতা হয়েছে কি না- এসব ব্যাপারে সে ভীষণ যত্নশীল ছিল। রুস্তম একদিন ওই সাবসেক্টরের এক দুর্ধর্ষ যোদ্ধা আলী আহমেদকে ধরে বসল যে তাকে যুদ্ধে নিয়ে যেতে হবে এবং তার হাতে একটি হাতিয়ার দিতে হবে। নিদেনপক্ষে একটি গ্রেনেড? আলী আহমেদ তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললেন, যুদ্ধ করা অত সহজ নয়। অনেক কঠিন পরিশ্রম আর অনুশীলনের মাধ্যমেই কেবল মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়। রুস্তম নাছোড়বান্দা। সে যুদ্ধে যাবেই। যেমন করে হোক। আলী আহমেদ, 'দেখা যাবে' বলে তাকে নিবৃত্ত করেন।
আমি যখন এই সাব-সেক্টরে পৌঁছলাম, তখন সেখানে এক প্লাটুন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য বেশ শক্তপোক্ত বাংকার নির্মাণ করে তাদের ডিফেন্স রচনা করেছে। এর অদূরেই মুক্তিবাহিনী অনেক বেশি শক্তি নিয়েও পাকিস্তানিদের বাংকারছাড়া করতে পারছে না। আসলে কোনো সেনাবাহিনী যদি একবার তার ডিফেন্সের দুর্ভেদ্য অবস্থান তৈরি করতে পারে, সেখান থেকে তাকে উচ্ছেদ করা প্রায় অসম্ভব কাজ। এক রাত, এক দিনের কাছাকাছি ক্রমাগতভাবে মুক্তিবাহিনী তিন দিক থেকে ঘিরে পাকিস্তানি ডিফেন্সের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কিছুতেই তাদের নড়ানো যাচ্ছে না। যুদ্ধরত সব মুক্তিযোদ্ধা রীতিমতো পর্যুদস্ত হয়ে গেছেন। সবারই মনে দুশ্চিন্তা, কিভাবে পাকিস্তানিদের উচ্ছেদ করা যায়। দেড় দিনের মাথায় গিয়ে গোলাগুলির তীব্রতা একটু কমে এসেছে। কেননা উভয় ক্যাম্পেই গোলাবারুদের রসদ সীমাবদ্ধ। হঠাৎ মুক্তিবাহিনীর বাংকার থেকে আমরা দেখতে পেলাম যে আমাদের ডান দিকে বেশ দূরত্বে এক বালক মাটিতে শুয়ে ক্রল করে করে পাকিস্তানি বাংকারের দিকে চলেছে। কিছুক্ষণ লক্ষ করার পর বুঝতে পারলাম যে এই সেই কিশোর রুস্তম। আমরা সবাই আতঙ্কে ঠাণ্ডা হয়ে গেলাম। কেননা সে পাকিস্তানিদের এত কাছাকাছি চলে গেছে যে এখনই শত্রুপক্ষের ঝাঁক ঝাঁক গুলি তার দিকে ছুটে আসবে এবং তার মৃত্যু অনিবার্য। অথচ আমাদের কিছুই করার উপায় নেই হাত-পা কামড়ানো ছাড়া। হঠাৎ দেখি, রুস্তম শোয়া থেকে উঠে বসল। তারপর দাঁত দিয়ে কামড়ে গ্রেনেডের নিরাপত্তা লকটি খুলে গ্রেনেডটিকে তাজা বানাল। ভাবলাম, কখন শিখল সে এসব? নিশ্চয়ই সে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ করছে? তারপর হাতে তাজা গ্রেনেডটি নিয়ে বিকট চিৎকারে 'জয় বাংলা' বলে দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল পাকিস্তানি বাংকারে। রুস্তমের কণ্ঠের সেই স্লোগানই ছিল তার উচ্চারিত শেষ বাক্য। ওই বাংকারের ১৭ জন পাকিস্তানি সেনা খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে উড়ে গেল। সেই সঙ্গে উড়ে গেল রুস্তমের ক্ষুদ্র দেহটি। একেক সময় ভাবি, এ রকম নিঃস্বার্থ আত্মাহুতি দিতে বাঙালি প্রস্তুত ছিল বলেই আমাদের জয় এত সহজ হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে।
(চলবে...)
৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে আমি কবির ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ৯ নম্বর সেক্টরে আমাদের যুদ্ধের অগ্রগতি দেখার জন্য সেখানে যাই। তত দিনে মুক্তিবাহিনী অনেক দূরে ঢুকে গেছে। আমি সাতক্ষীরা সাব-সেক্টর দিয়ে পূর্ব দিকে এগোচ্ছিলাম। তখন তালার কাছে প্রচণ্ড যুদ্ধ হচ্ছে। ওই সাব-সেক্টরটিতে আমি এর আগেও গিয়েছি। ফলে তাঁদের সঙ্গে আমার বেশ ভালো সখ্য হয়ে গিয়েছিল। মুক্তিবাহিনীর ওই ক্যাম্পে হাতিয়ার হাতে যোদ্ধারা ছাড়াও এক কিশোরের সঙ্গে আমার বেশ বন্ধুত্ব হয়। ছেলেটির নাম ছিল রুস্তম। সে যশোরের ঝিকরগাছার অধিবাসী। তাদের গ্রামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ করার পর তার মা-বাবা ও এক বোন কোথায় ছিটকে পড়ে, তার কোনো সন্ধানও পায়নি। তারপর নানা মানুষের সহযোগিতায় সে যশোর ছেড়ে সাতক্ষীরায় প্রবেশ করে এবং এই সাব-সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। রুস্তম নানা রকম ফুটফরমাশ খাটত। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডাল-ভাত রান্না করে দেওয়া, মাঝেমধ্যে ভারী জিনিসপত্র বহন করা, ক্যাম্প পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা- এগুলোই ছিল তার মূল কাজ। ভারি মিষ্টি চেহারা ছিল রুস্তমের। আমাকে দেখলেই মিষ্টি হেসে আমার হাতের টেপ রেকর্ডারটিতে তার কণ্ঠ ধারণ করার অনুরোধ করত। আমি কোনো আগ্রহ দেখাতাম না বলে সে অভিমান করত আর বলত, স্বাধীনতার পর সে ইংরেজি শিখে এসে আমাকে সাক্ষাৎকার দেবে। আমি হেসে মাথা হেলিয়ে বলতাম, 'অবশ্যই। কিন্তু তোমাকে প্রথমে ইংরেজি শিখতে হবে।' সে আমার নাম রেখেছিল 'বেতার সাহেব'। ওই ক্যাম্পে গেলে বেতার সাহেবের প্রতি তার একটু বিশেষ নজর থাকত। ফলে আমি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করলাম কি না, তাঁবুর নিচে আমার বিছানাটা ঠিকমতো পাতা হয়েছে কি না- এসব ব্যাপারে সে ভীষণ যত্নশীল ছিল। রুস্তম একদিন ওই সাবসেক্টরের এক দুর্ধর্ষ যোদ্ধা আলী আহমেদকে ধরে বসল যে তাকে যুদ্ধে নিয়ে যেতে হবে এবং তার হাতে একটি হাতিয়ার দিতে হবে। নিদেনপক্ষে একটি গ্রেনেড? আলী আহমেদ তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললেন, যুদ্ধ করা অত সহজ নয়। অনেক কঠিন পরিশ্রম আর অনুশীলনের মাধ্যমেই কেবল মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়। রুস্তম নাছোড়বান্দা। সে যুদ্ধে যাবেই। যেমন করে হোক। আলী আহমেদ, 'দেখা যাবে' বলে তাকে নিবৃত্ত করেন।
আমি যখন এই সাব-সেক্টরে পৌঁছলাম, তখন সেখানে এক প্লাটুন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য বেশ শক্তপোক্ত বাংকার নির্মাণ করে তাদের ডিফেন্স রচনা করেছে। এর অদূরেই মুক্তিবাহিনী অনেক বেশি শক্তি নিয়েও পাকিস্তানিদের বাংকারছাড়া করতে পারছে না। আসলে কোনো সেনাবাহিনী যদি একবার তার ডিফেন্সের দুর্ভেদ্য অবস্থান তৈরি করতে পারে, সেখান থেকে তাকে উচ্ছেদ করা প্রায় অসম্ভব কাজ। এক রাত, এক দিনের কাছাকাছি ক্রমাগতভাবে মুক্তিবাহিনী তিন দিক থেকে ঘিরে পাকিস্তানি ডিফেন্সের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কিছুতেই তাদের নড়ানো যাচ্ছে না। যুদ্ধরত সব মুক্তিযোদ্ধা রীতিমতো পর্যুদস্ত হয়ে গেছেন। সবারই মনে দুশ্চিন্তা, কিভাবে পাকিস্তানিদের উচ্ছেদ করা যায়। দেড় দিনের মাথায় গিয়ে গোলাগুলির তীব্রতা একটু কমে এসেছে। কেননা উভয় ক্যাম্পেই গোলাবারুদের রসদ সীমাবদ্ধ। হঠাৎ মুক্তিবাহিনীর বাংকার থেকে আমরা দেখতে পেলাম যে আমাদের ডান দিকে বেশ দূরত্বে এক বালক মাটিতে শুয়ে ক্রল করে করে পাকিস্তানি বাংকারের দিকে চলেছে। কিছুক্ষণ লক্ষ করার পর বুঝতে পারলাম যে এই সেই কিশোর রুস্তম। আমরা সবাই আতঙ্কে ঠাণ্ডা হয়ে গেলাম। কেননা সে পাকিস্তানিদের এত কাছাকাছি চলে গেছে যে এখনই শত্রুপক্ষের ঝাঁক ঝাঁক গুলি তার দিকে ছুটে আসবে এবং তার মৃত্যু অনিবার্য। অথচ আমাদের কিছুই করার উপায় নেই হাত-পা কামড়ানো ছাড়া। হঠাৎ দেখি, রুস্তম শোয়া থেকে উঠে বসল। তারপর দাঁত দিয়ে কামড়ে গ্রেনেডের নিরাপত্তা লকটি খুলে গ্রেনেডটিকে তাজা বানাল। ভাবলাম, কখন শিখল সে এসব? নিশ্চয়ই সে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ করছে? তারপর হাতে তাজা গ্রেনেডটি নিয়ে বিকট চিৎকারে 'জয় বাংলা' বলে দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল পাকিস্তানি বাংকারে। রুস্তমের কণ্ঠের সেই স্লোগানই ছিল তার উচ্চারিত শেষ বাক্য। ওই বাংকারের ১৭ জন পাকিস্তানি সেনা খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে উড়ে গেল। সেই সঙ্গে উড়ে গেল রুস্তমের ক্ষুদ্র দেহটি। একেক সময় ভাবি, এ রকম নিঃস্বার্থ আত্মাহুতি দিতে বাঙালি প্রস্তুত ছিল বলেই আমাদের জয় এত সহজ হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে।
(চলবে...)
No comments