যাত্রীছাউনিকে কসাইখানা বানালেন আ.লীগ নেতা by মাসুদ রানা
বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নে সোনাহাটা-বাগবাড়ী সড়কের বেড়েরবাড়ী বাজারে নির্মিত যাত্রীছাউনিকে মাংস বিক্রেতাদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা। মাংস বিক্রেতারা সেখানে গরু-ছাগল জবাই করে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাংস বিক্রি করছেন।
নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সূত্রে জানা গেছে, ওই যাত্রীছাউনি নির্মাণের জন্য ২০১১-১২ অর্থবছরে টিআর প্রকল্পের দুই টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই ইউপির সদস্য ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাব আলী বরাদ্দের ওই টাকা দিয়ে চলতি বছরের মে মাসে এক চালার ওই যাত্রীছাউনিটি নির্মাণ করেন।
তারপর থেকেই যাত্রীরা সেখানে আশ্রয় নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করত। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা নবাব আলী এক মাস আগে স্থানীয় মাংস বিক্রেতা শাহিন, শহিদসহ তিন ব্যক্তির কাছে ওই যাত্রীছাউনিটি ভাড়া দেন। তারপর থেকেই ওই যাত্রীছাউনিটি কসাইখানায় পরিণত হয়েছে।
মাংস বিক্রেতা শাহিন বলেন, বাজারের খালি জায়গায় বৃষ্টির মধ্যে বসে মাংস বিক্রি করতে সমস্যা হয়। এ কারণে তিনিসহ তিনজন স্থানীয় মাংস বিক্রেতা বাজার কমিটি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে যাত্রীছাউনিটি ভাড়া নেন। কত টাকায় ভাড়া নিয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের ব্যাপারে নবাব আলী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে বেড়েরবাড়ী গ্রামের কাছে তিন মাথায় নতুন একটি হাট বসিয়েছি। বৃষ্টির কারণে খালি জায়গায় বসে মাংস বিক্রি করতে সমস্যা হয়। তাই হাট কমিটির অনুরোধে মাংস বিক্রেতাদের যাত্রীছাউনির নিচে মাংস বিক্রির অনুমতি দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি।’
ইউপির চেয়ারম্যান সুজাউদ্দোলা রিপন বলেন, তিনি বাজার কমিটির লোকজন ও মাংস বিক্রেতাদের যাত্রীছাউনির নিচে বসে মাংস বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। নির্দেশ অমান্য করে মাংস বিক্রি চলতে থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল্লাহেল কাফি বলেন, চলতি টিআর প্রকল্পের দুই মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ দিয়ে ওই যাত্রীছাউনিটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই নির্মাণকাজের দায়িত্বে ছিলেন ইউপি সদস্য নবাব আলী। যাত্রীছাউনিটি ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তারপর থেকেই যাত্রীরা সেখানে আশ্রয় নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করত। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা নবাব আলী এক মাস আগে স্থানীয় মাংস বিক্রেতা শাহিন, শহিদসহ তিন ব্যক্তির কাছে ওই যাত্রীছাউনিটি ভাড়া দেন। তারপর থেকেই ওই যাত্রীছাউনিটি কসাইখানায় পরিণত হয়েছে।
মাংস বিক্রেতা শাহিন বলেন, বাজারের খালি জায়গায় বৃষ্টির মধ্যে বসে মাংস বিক্রি করতে সমস্যা হয়। এ কারণে তিনিসহ তিনজন স্থানীয় মাংস বিক্রেতা বাজার কমিটি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে যাত্রীছাউনিটি ভাড়া নেন। কত টাকায় ভাড়া নিয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের ব্যাপারে নবাব আলী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে বেড়েরবাড়ী গ্রামের কাছে তিন মাথায় নতুন একটি হাট বসিয়েছি। বৃষ্টির কারণে খালি জায়গায় বসে মাংস বিক্রি করতে সমস্যা হয়। তাই হাট কমিটির অনুরোধে মাংস বিক্রেতাদের যাত্রীছাউনির নিচে মাংস বিক্রির অনুমতি দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি।’
ইউপির চেয়ারম্যান সুজাউদ্দোলা রিপন বলেন, তিনি বাজার কমিটির লোকজন ও মাংস বিক্রেতাদের যাত্রীছাউনির নিচে বসে মাংস বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। নির্দেশ অমান্য করে মাংস বিক্রি চলতে থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল্লাহেল কাফি বলেন, চলতি টিআর প্রকল্পের দুই মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ দিয়ে ওই যাত্রীছাউনিটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই নির্মাণকাজের দায়িত্বে ছিলেন ইউপি সদস্য নবাব আলী। যাত্রীছাউনিটি ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments