নারায়ণগঞ্জের তিন সড়ক বেহাল, জনদুর্ভোগ by আসিফ হোসেন
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এতে লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
ফতুল্লা পোস্ট অফিস-শিবু মার্কেট সড়ক: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের ফতুল্লা পোস্ট অফিস থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সংযোগকারী এ সড়কে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, রপ্তানিমুখী অসংখ্য ছোট-বড় শিল্পকারখানা ও আবাসিক এলাকা রয়েছে।
ফতুল্লা পোস্ট অফিস-শিবু মার্কেট সড়ক: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের ফতুল্লা পোস্ট অফিস থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সংযোগকারী এ সড়কে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, রপ্তানিমুখী অসংখ্য ছোট-বড় শিল্পকারখানা ও আবাসিক এলাকা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীরা। এ সড়ক দিয়ে ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন শিল্পকারখানার পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পণ্যবাহী কনটেইনার, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক চলাচল করায় রাস্তাটির অবস্থা একেবারে নাজুক। বৃষ্টি হলে যান চলাচলই শুধু নয়, হাঁটাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। এলাকাবাসী গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।
কাশীপুর কলেজ রোড: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কের সংযোগকারী কাশীপুর কলেজ রোডের বেহাল দশা। কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, প্রায় তিন মাইল দীর্ঘ এ সড়কে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ ও কবরস্থান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বেশির ভাগ স্থানেই বিটুমিন উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, হাজারো মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা ব্যবহার করে। মুন্সিগঞ্জ শহর থেকে যারা সড়কপথে নারায়ণগঞ্জ শহরে যাওয়া-আসা করে তারা এ রাস্তাটি ব্যবহার করে।
চাঁদমারী-সস্তাপুর-উপজেলা পরিষদ সড়ক: সরকারি রাবেয়া বেগম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান এ সড়কে। সড়কের দুরবস্থার কারণে গাড়ি তো নয়ই, রিকশাও স্কুলের প্রধান ফটক পর্যন্ত যেতে পারে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেক পথ হেঁটে স্কুলে যেতে হয়।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়ার চাঁদমারী এলাকা দিয়ে রাস্তাটি সস্তাপুর হয়ে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স পর্যন্ত গিয়েছে। এ সড়কে পরিবেশ অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা মৎস্য অফিস, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত ডে-কেয়ার সেন্টার ছাড়াও অর্ধশতাধিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। ফরিদা ক্লিনিকের সামনের রাস্তার অবস্থা এখন হেঁটে চলারও অনুপযুক্ত।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রাস্তা তিনটি আমি পরিদর্শন করে দেখেছি, মানুষ খুব কষ্ট করে এসব রাস্তায় চলাচল করে।’ তিনি বলেন, এলজিইডির অধীনে এসব রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল নেই। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় শিল্পমালিকেরা প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এলজিইডির নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, ইউপির অন্তর্গত হওয়ায় এসব রাস্তা গ্রামীণ অবকাঠামো হিসেবে (রিকশা ও হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী) বানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন এসব রাস্তায় চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহূত ভারী যানবাহনও চলে। ভারী যানবাহনের চাপে ও এলাকার পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বিটুমিন উঠে এসব রাস্তা সংস্কারের কিছু দিন পরই ভেঙে যায়। তিনি বলেন, আরসিসি ঢালাই দিয়ে রাস্তা সংস্কারের প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
কাশীপুর কলেজ রোড: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কের সংযোগকারী কাশীপুর কলেজ রোডের বেহাল দশা। কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, প্রায় তিন মাইল দীর্ঘ এ সড়কে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ ও কবরস্থান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বেশির ভাগ স্থানেই বিটুমিন উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, হাজারো মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা ব্যবহার করে। মুন্সিগঞ্জ শহর থেকে যারা সড়কপথে নারায়ণগঞ্জ শহরে যাওয়া-আসা করে তারা এ রাস্তাটি ব্যবহার করে।
চাঁদমারী-সস্তাপুর-উপজেলা পরিষদ সড়ক: সরকারি রাবেয়া বেগম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান এ সড়কে। সড়কের দুরবস্থার কারণে গাড়ি তো নয়ই, রিকশাও স্কুলের প্রধান ফটক পর্যন্ত যেতে পারে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেক পথ হেঁটে স্কুলে যেতে হয়।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়ার চাঁদমারী এলাকা দিয়ে রাস্তাটি সস্তাপুর হয়ে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স পর্যন্ত গিয়েছে। এ সড়কে পরিবেশ অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা মৎস্য অফিস, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত ডে-কেয়ার সেন্টার ছাড়াও অর্ধশতাধিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। ফরিদা ক্লিনিকের সামনের রাস্তার অবস্থা এখন হেঁটে চলারও অনুপযুক্ত।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রাস্তা তিনটি আমি পরিদর্শন করে দেখেছি, মানুষ খুব কষ্ট করে এসব রাস্তায় চলাচল করে।’ তিনি বলেন, এলজিইডির অধীনে এসব রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল নেই। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় শিল্পমালিকেরা প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এলজিইডির নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, ইউপির অন্তর্গত হওয়ায় এসব রাস্তা গ্রামীণ অবকাঠামো হিসেবে (রিকশা ও হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী) বানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন এসব রাস্তায় চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহূত ভারী যানবাহনও চলে। ভারী যানবাহনের চাপে ও এলাকার পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বিটুমিন উঠে এসব রাস্তা সংস্কারের কিছু দিন পরই ভেঙে যায়। তিনি বলেন, আরসিসি ঢালাই দিয়ে রাস্তা সংস্কারের প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
No comments