ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই- ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করুন
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত বৃহস্পতিবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ ছিনতাইয়ের ঘটনা হলে এটিকে একটি নৈমিত্তিক অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা যেত। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। যারা ছিনতাই করেছে তারা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয় দিয়ে কাজটি করেছে এবং তারা যে ভাবভঙ্গিতে কাজটি করেছে, তাতে যে কেউ তাদের ডিবি পুলিশ
হিসেবেই বিবেচনা করতে পারেন। এ ধরনের অপরাধ ঘটলে তা প্রতিরোধ করা কঠিন এবং যিনি এর শিকার তাঁর পক্ষে বিষয়টি বুঝে ওঠাও কঠিন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে এ ধরনের অপকর্ম তাই খুব উদ্বেগের বিষয়।
চাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে একটি মাইক্রোবাস তাঁর পথ রোধ করে। মাইক্রোবাসে যারা ছিল তারা অস্ত্রধারী এবং তাদের হাতে ওয়াকিটকিও ছিল। এই অবস্থায় তারা যখন নিজেদের ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয় তখন অবিশ্বাস করাও কঠিন। তারা চাল ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে হাতকড়া পরায় এবং চোখ বেঁধে হুমকি ও নানা অভিযোগ এনে শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই মোহাম্মদপুর এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করার পর মোহাম্মদপুর থানার পুলিশের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। এই ছিনতাইয়ের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা যেহেতু নিজেদের ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে কাজটি করেছে, তাই পুলিশ নিজে উদ্যোগী হয়ে বিষয়টি তদন্ত করবে, সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেটা দেখা যায়নি।
আমরা মনে করি, পুলিশ বিভাগ তথা ডিবি পুলিশের নিজেদের স্বার্থেই এর তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। প্রথমত, ডিবি পুলিশকে দেখতে হবে যে তাদের কোনো দল এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল কি না। যদি সেটা না হয় তবে এ ধরনের কাজের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, এ ধরনের ঘটনা জনগণকে যেমন চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে, তেমনি পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তিও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে একটি মাইক্রোবাস তাঁর পথ রোধ করে। মাইক্রোবাসে যারা ছিল তারা অস্ত্রধারী এবং তাদের হাতে ওয়াকিটকিও ছিল। এই অবস্থায় তারা যখন নিজেদের ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয় তখন অবিশ্বাস করাও কঠিন। তারা চাল ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে হাতকড়া পরায় এবং চোখ বেঁধে হুমকি ও নানা অভিযোগ এনে শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই মোহাম্মদপুর এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করার পর মোহাম্মদপুর থানার পুলিশের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। এই ছিনতাইয়ের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা যেহেতু নিজেদের ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে কাজটি করেছে, তাই পুলিশ নিজে উদ্যোগী হয়ে বিষয়টি তদন্ত করবে, সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেটা দেখা যায়নি।
আমরা মনে করি, পুলিশ বিভাগ তথা ডিবি পুলিশের নিজেদের স্বার্থেই এর তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। প্রথমত, ডিবি পুলিশকে দেখতে হবে যে তাদের কোনো দল এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল কি না। যদি সেটা না হয় তবে এ ধরনের কাজের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, এ ধরনের ঘটনা জনগণকে যেমন চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে, তেমনি পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তিও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
No comments