সাভারের চামড়াশিল্প নগর- কারখানা নেই একটিও, তবু জুনে উদ্বোধনের আশা!
নাম শিল্পনগর, কিন্তু কারখানা নেই একটিও। প্রশাসনিক ও প্রকৌশল ভবন, ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয় এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও অভ্যন্তরীণ পাকা সড়ক ছাড়া অন্য কোনো অবকাঠামো নেই সেখানে। এ চিত্র রাজধানীর অদূরে সাভারের চামড়াশিল্প নগরের।
কিন্তু এ অবস্থার পরও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার আশা, আগামী জুন নাগাদ এর উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। তবে মন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে চামড়াশিল্পের মালিকেরা বলছেন, আগামী পাঁচ বছরের আগে এখানে কারখানা গড়ে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব নয়।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়ক হয়ে তিন কিলোমিটার এগোলেই সাভারের কান্দিবৈলারপুর ও চন্দ্রনারায়ণপুর মৌজাসহ কেরানীগঞ্জের চরনারায়ণপুর মৌজায় প্রায় ৬০০ বিঘা জমির ওপর চামড়াশিল্প নগরের অবস্থান। ২০০৩ সালে এই শিল্পনগরের যাত্রা শুরু হলেও গত নয় বছরে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। শিল্পমালিকদের নামে ২০৫টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও একটি কারখানাও গড়ে ওঠেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই শিল্পনগর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিক ও চামড়াশিল্পের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার না থাকায় এই শিল্পনগরে কারখানা স্থাপন হচ্ছিল না। বর্জ্য শোধনাগারের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়াশিল্পের কারণে হাজারীবাগের পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। রাজধানীকে দূষণমুক্ত করতে সাভারে শিল্পবান্ধব চামড়াশিল্প নগর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার ছাড়া এই শিল্পনগরের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মালিকেরা কারখানার কাজ দ্রুত শেষ করলে আগামী জুন মাস নাগাদ এর উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
কিন্তু বাস্তবে একটি প্রশাসনিক ও প্রকৌশলী ভবন, অভ্যন্তরীণ পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয় ছাড়া এখানে কোনো স্থাপনা নেই। বর্জ্য শোধনাগারের জন্য নির্ধারিত স্থানে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। চামড়াশিল্প মালিকদের নামে বরাদ্দ করা প্লট কাশবনে ঢাকা।
বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুহামঞ্চদ আবদুল হাই বলেন, চামড়াশিল্পের মালিকদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সাভারে কারখানা স্থাপন করতে হলে তাঁদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই তাঁদের পক্ষ থেকে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ২৫০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পেলে অধিকাংশ কারখানার মালিক কারখানা স্থানান্তর করতে পারবেন না। ফলে সরকারের এই ভালো উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে না। তিনি মনে করেন, ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হলেও কারখানা স্থানান্তর করে উৎপাদনে যেতে আরও অন্তত পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিল্পমালিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সমাধান করা হবে। আশা করি, এ নিয়ে কোনো জাটিলতা থাকবে না।’
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়ক হয়ে তিন কিলোমিটার এগোলেই সাভারের কান্দিবৈলারপুর ও চন্দ্রনারায়ণপুর মৌজাসহ কেরানীগঞ্জের চরনারায়ণপুর মৌজায় প্রায় ৬০০ বিঘা জমির ওপর চামড়াশিল্প নগরের অবস্থান। ২০০৩ সালে এই শিল্পনগরের যাত্রা শুরু হলেও গত নয় বছরে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। শিল্পমালিকদের নামে ২০৫টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও একটি কারখানাও গড়ে ওঠেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই শিল্পনগর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিক ও চামড়াশিল্পের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার না থাকায় এই শিল্পনগরে কারখানা স্থাপন হচ্ছিল না। বর্জ্য শোধনাগারের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়াশিল্পের কারণে হাজারীবাগের পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। রাজধানীকে দূষণমুক্ত করতে সাভারে শিল্পবান্ধব চামড়াশিল্প নগর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার ছাড়া এই শিল্পনগরের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মালিকেরা কারখানার কাজ দ্রুত শেষ করলে আগামী জুন মাস নাগাদ এর উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
কিন্তু বাস্তবে একটি প্রশাসনিক ও প্রকৌশলী ভবন, অভ্যন্তরীণ পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয় ছাড়া এখানে কোনো স্থাপনা নেই। বর্জ্য শোধনাগারের জন্য নির্ধারিত স্থানে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। চামড়াশিল্প মালিকদের নামে বরাদ্দ করা প্লট কাশবনে ঢাকা।
বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুহামঞ্চদ আবদুল হাই বলেন, চামড়াশিল্পের মালিকদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সাভারে কারখানা স্থাপন করতে হলে তাঁদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই তাঁদের পক্ষ থেকে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ২৫০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পেলে অধিকাংশ কারখানার মালিক কারখানা স্থানান্তর করতে পারবেন না। ফলে সরকারের এই ভালো উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে না। তিনি মনে করেন, ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হলেও কারখানা স্থানান্তর করে উৎপাদনে যেতে আরও অন্তত পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিল্পমালিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সমাধান করা হবে। আশা করি, এ নিয়ে কোনো জাটিলতা থাকবে না।’
No comments