১৮ কোটি টাকার কাজে ‘প্যাকেজের মারপ্যাঁচ’
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাঠানটুলায় প্রায় ২০০ গজ এলাকা খানাখন্দে ভরা। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সিলেটের অধীন সড়কের ওই অংশে বর্ষার শুরুতেই জরুরি পুনর্বাসন খাতে সংস্কারকাজ শুরু হয়। কাজ চলাকালে প্রথম দফা বৃষ্টিতে সড়কের পাঠানটুলার অংশে আগের চেয়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে বর্তমান অবস্থা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।
সওজের ‘প্যাকেজ’ প্রকল্প সংস্কারকাজ শুরু হলেও অর্থবছর শেষে অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের শুধু পাঠানটুলার ওই অংশ নয়, সওজ সিলেটের অধীন গত অর্থবছরে শুরু করা সাতটি প্যাকেজ প্রকল্পের চারটির কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের আগেই প্যাকেজ প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধ করায় প্রায় ১৮ কোটি টাকার কাজ ‘প্যাকেজের মারপ্যাঁচ’ বলে অভিহিত হচ্ছে।
সওজ সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে জরুরি সংস্কারকাজ চালাতে সওজ বছরব্যাপী নানা ‘প্যাকেজ’ প্রকল্প হাতে নেয়। সিলেটে গত অর্থবছর সাতটি ‘প্যাকেজ’ প্রকল্পের মধ্যে চারটির কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই সমাপ্তি টানা হয়। চার প্রকল্পের মধ্যে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘প্যাকেজ-৪’-এর আওতায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ২০ কিলোমিটার অংশসহ নগরের শাহি ঈদগাহ, চৌহাট্টা ও নাইওরপুল সড়ক, সাত কোটি ৭৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে প্যাকেজ-৫-এর আওতায় সিলেট-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ক, ১৯ লাখ ১১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্যাকেজ-৬-এর সিলেট নগরের কিনব্রিজ এলাকা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চণ্ডীপুর সড়ক, চার কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্যাকেজ-৩-এর আওতায় তৃতীয় শাহজালাল সংযোগ সড়ক।
সূত্র জানায়, অর্থবছর সমাপ্তির মাস জুন শেষেই নতুন অর্থবছরের প্রকল্প ও বরাদ্দ প্রস্তাব সওজের প্রকৌশল বিভাগ গ্রহণ করে। গত অর্থবছর শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যে প্যাকেজ প্রকল্পে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধ করা হয়। এর মধ্যে প্যাকেজ-৪ ও ৩ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ জুন। ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের জন্য দরপত্রে নির্দেশনা থাকলেও এক বছরেও কোনোটিই শতভাগ হয়নি বলে সওজের প্রকৌশল বিভাগ নিশ্চিত করে।
প্যাকেজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সওজের একটি সূত্র জানায়, সাত প্যাকেজ প্রকল্পের মধ্যে প্যাকেজ-৩, ৪, ৫, ৬-এর কাজ অসম্পূর্ণ রেখে প্রকল্প গুটানো হয়েছে। তবে এসব কাজ সম্পূর্ণ করতে চলতি অর্থবছরে ফের বরাদ্দ চাওয়া হয়। চার প্যাকেজের মধ্যে কেবল প্যাকেজ-৫-এ ৬০ শতাংশ কাজ এবং বাকিগুলো ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয় বলে দাপ্তরিক নথিতে সংরক্ষিত আছে। বাস্তবের সঙ্গে নথিপত্রের কোনো মিল নেই। প্যাকেজ প্রকল্পকাজ বাস্তবায়ন করেছে ‘এজেসি-জেএনজেবি’, ‘আইএজেবি’ ও ‘এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ করলে অর্থবছর শেষ হওয়ায় পাওনা সওজের প্রকৌশলীরা দায়িত্ব নিয়েই পরিশোধ করেছেন বলে ঠিকাদারেরা জানান। প্রকল্প কাজ শেষ না করেই পাওনা পরিশোধ এবং নতুন অর্থবছরের জন্য ওই প্রকল্প গুটিয়ে নতুন প্রকল্পে ফের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবের মধ্যে সওজের ‘প্যাকেজের মারপ্যাঁচ’ প্রচলিত রয়েছে বলে ঠিকাদারেরাও স্বীকার করেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্যাকেজ-৩ ও ৫-এর ঠিকাদার এজেসি-জেএনজেবির স্বত্বাধিকারী লুৎফুর রহমান বলেন, প্রকৌশল বিভাগ ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানালেও বাস্তবে ৬০ শতাংশ কাজ হয়েছে। পাওনা পরিশোধ হওয়ায় শেষে কাজ আর হবে কি—এমন প্রশ্নে লুৎফুর বলেন, ‘আমরা তো পেশাদার ঠিকাদার। কাজ ঠিকই করে দেব।’ পাঠানটুলায় খানাখন্দের সংস্কারকাজ বৃষ্টির জন্য করতে পারছেন না জানিয়ে বলেন, বৃষ্টি কমলেই সংস্কারকাজ শেষ করা হবে। সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম ‘প্যাকেজের মারপ্যাঁচ’ বলতে কোনো কিছু নেই দাবি করে প্রথম আলোকে বলেন, প্যাকেজের কাজ বরাবরই তাড়াহুড়োর মধ্যে করতে হয়। প্যাকেজের সাত প্রকল্প যথাযথভাবেই হয়েছে। বরাদ্দস্বল্পতায় প্রকল্পে কিছু না কিছু অসম্পূর্ণতা থাকে, যা পরবর্তী বরাদ্দসাপেক্ষে সম্পূর্ণ করা হয়।
সওজ সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে জরুরি সংস্কারকাজ চালাতে সওজ বছরব্যাপী নানা ‘প্যাকেজ’ প্রকল্প হাতে নেয়। সিলেটে গত অর্থবছর সাতটি ‘প্যাকেজ’ প্রকল্পের মধ্যে চারটির কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই সমাপ্তি টানা হয়। চার প্রকল্পের মধ্যে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘প্যাকেজ-৪’-এর আওতায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ২০ কিলোমিটার অংশসহ নগরের শাহি ঈদগাহ, চৌহাট্টা ও নাইওরপুল সড়ক, সাত কোটি ৭৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে প্যাকেজ-৫-এর আওতায় সিলেট-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ক, ১৯ লাখ ১১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্যাকেজ-৬-এর সিলেট নগরের কিনব্রিজ এলাকা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চণ্ডীপুর সড়ক, চার কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্যাকেজ-৩-এর আওতায় তৃতীয় শাহজালাল সংযোগ সড়ক।
সূত্র জানায়, অর্থবছর সমাপ্তির মাস জুন শেষেই নতুন অর্থবছরের প্রকল্প ও বরাদ্দ প্রস্তাব সওজের প্রকৌশল বিভাগ গ্রহণ করে। গত অর্থবছর শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যে প্যাকেজ প্রকল্পে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধ করা হয়। এর মধ্যে প্যাকেজ-৪ ও ৩ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ জুন। ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের জন্য দরপত্রে নির্দেশনা থাকলেও এক বছরেও কোনোটিই শতভাগ হয়নি বলে সওজের প্রকৌশল বিভাগ নিশ্চিত করে।
প্যাকেজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সওজের একটি সূত্র জানায়, সাত প্যাকেজ প্রকল্পের মধ্যে প্যাকেজ-৩, ৪, ৫, ৬-এর কাজ অসম্পূর্ণ রেখে প্রকল্প গুটানো হয়েছে। তবে এসব কাজ সম্পূর্ণ করতে চলতি অর্থবছরে ফের বরাদ্দ চাওয়া হয়। চার প্যাকেজের মধ্যে কেবল প্যাকেজ-৫-এ ৬০ শতাংশ কাজ এবং বাকিগুলো ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয় বলে দাপ্তরিক নথিতে সংরক্ষিত আছে। বাস্তবের সঙ্গে নথিপত্রের কোনো মিল নেই। প্যাকেজ প্রকল্পকাজ বাস্তবায়ন করেছে ‘এজেসি-জেএনজেবি’, ‘আইএজেবি’ ও ‘এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ করলে অর্থবছর শেষ হওয়ায় পাওনা সওজের প্রকৌশলীরা দায়িত্ব নিয়েই পরিশোধ করেছেন বলে ঠিকাদারেরা জানান। প্রকল্প কাজ শেষ না করেই পাওনা পরিশোধ এবং নতুন অর্থবছরের জন্য ওই প্রকল্প গুটিয়ে নতুন প্রকল্পে ফের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবের মধ্যে সওজের ‘প্যাকেজের মারপ্যাঁচ’ প্রচলিত রয়েছে বলে ঠিকাদারেরাও স্বীকার করেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্যাকেজ-৩ ও ৫-এর ঠিকাদার এজেসি-জেএনজেবির স্বত্বাধিকারী লুৎফুর রহমান বলেন, প্রকৌশল বিভাগ ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানালেও বাস্তবে ৬০ শতাংশ কাজ হয়েছে। পাওনা পরিশোধ হওয়ায় শেষে কাজ আর হবে কি—এমন প্রশ্নে লুৎফুর বলেন, ‘আমরা তো পেশাদার ঠিকাদার। কাজ ঠিকই করে দেব।’ পাঠানটুলায় খানাখন্দের সংস্কারকাজ বৃষ্টির জন্য করতে পারছেন না জানিয়ে বলেন, বৃষ্টি কমলেই সংস্কারকাজ শেষ করা হবে। সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম ‘প্যাকেজের মারপ্যাঁচ’ বলতে কোনো কিছু নেই দাবি করে প্রথম আলোকে বলেন, প্যাকেজের কাজ বরাবরই তাড়াহুড়োর মধ্যে করতে হয়। প্যাকেজের সাত প্রকল্প যথাযথভাবেই হয়েছে। বরাদ্দস্বল্পতায় প্রকল্পে কিছু না কিছু অসম্পূর্ণতা থাকে, যা পরবর্তী বরাদ্দসাপেক্ষে সম্পূর্ণ করা হয়।
No comments