পথশিশুদের ঈদ by মাহফুজ সাদি
‘‘ঈদ বড় লোকের জন্য। আমাগোর জন্যে না। আমরা গরীব মানুষ, টাহা পয়সা নাই। নতুন জামা-কাপড় কিনতে পারি নাই। দুই বেলা খেয়ে থাকি। আমাগোর আবার ঈদ কিসের? প্রতিদেন যেমন থাকি তেমনই থাকমু ঈদের দিন।’’ আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিল হাফিজ। তার পুরো নাম হাফিজ মোহাম্মদ। কোনো বাড়ি ঘর নেই তার। সবসময় রাস্তায় থাকে। খায়ও রাস্তায়, ঘুমায়ও রাস্তায়।
মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে তাকে বেশি দেখা যায়। একদিন পরেই পবিত্র ঈদূল ফিতর। সব শ্রেনী-পেশার মানুষ এতিমধেই সেরে ফেলেছেন তাদের ঈদ কেনা কাটা। তবে শনিবার ঈদ না হওয়ায় এখন বার্তি কেনা কাটার জন্যে অনেকেই ভীর জমাচ্ছেন রাজধানীর মর্কেটগুলোতে। কিন্তু এই পথশিশুটির বেলায় চির চেনা এই চিত্রটি একবোরেই অনুপস্থিত। সে জানে না জীবনে কোনো দিন মৌসুমি এই সোনার হরিণের দেখা পাবে কিনা!
ছোটোবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছে হাফিজ। সেই থেকে মহাখালির আশপাশের এলাকায়ই তার আনাগোনা। সে আদৌ জানে না তার জন্মদাতারা বেচে আছে নাকি মরে গেছে। জীবিত থাকলেও তারা কোথায় সে খবর নেই তার কাছে। রাত যেখানে কাত সেখানে। যেখানে খায় সেখানেই ঘুমায়। আট বছর থেকে সে এভাবেই চলে আসছে। আব অবধি চলছে। সামনের দিনগুলোর খবর সে জানে না বা জানতে চায় না।
রাজধানী ঢাকার রাস্তাগুলো ঘুরলে এমন হাজারো পথশিশুর দেখা মিলবে। রাস্তায় বাস করা এই এসব শিশুদের দেখার কেউ নেই। না তাদের বাবা-মা, না রাষ্ট্র। সমাজের কোনো এক হত দরীদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া এই শিশুরা সব ধরণের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। নাগরিক অধিকারের কথা ভাবাও তো বেমানান।
সমাজের আর দশটা শিশূরা যখন ব্যস্ত থাকে লেখা-পড়া বা খেলা-ধুলায় ঠিক তখন এরা মানুষের কাছে হাত পাতে দু’মুঠো খাবারের জন্যে। কেউ বা আবার রাস্তার পাশে পড়ে থাকা আবর্জনা ও পরিত্যাক্ত কাগজ সংগ্রহ করে নিদিষ্ট স্থানে বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করে। এভাবেই তাদের জীবন জিবিকা নির্বাহ করে তারা। কেউ রাখে না তাদের খোঁজ।
এমনি আরেকজন- অভি। মগবাজরের রেল লাইনের পাশে সারা দিন পড়ে থাকে অভি। এবারে তার ঈদ প্রস্ততি জানতে চাইলে সে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, ‘‘ঈদের দিন নতুন কাপড় পড়তে আমাগোর মনে চায়। কিন্তু কি করমু, কিনোনের মতো টাকা নেই। তাই নতুন কিছু ছাড়াই এবারের ঈদ করমু।’’
গতবারের ঈদে সে কিছু কেনা কাটা করছে কিনা জানতে চাইলে আনন্দের সঙ্গে জানাল, ‘‘হেই বারে এক বড় সাহেব একটা জামা দিছিল। দেখতে খুব সুন্দর। সেইটা পড়েই ঈদ করছিলাম। এবার আর কপালে কিছুই জুটলা না।’’
‘ঈদ সবার জন্য’ এই কথাটি যেন এদের বেলায় একেবারেই বেমানান। এরা সব সময়ই সমাজে সুবিধা বঞ্চিত থাকে। প্রতিবারই ঈদ এলে ঢাকার বস্তি এলাকাগুলোর দরিদ্র শিশুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য জাকাতের কাপড় বিতরণ করা হয়। আবার সমাজের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। রাজধানীতে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা এতই বেশি যে সবাইকে এর আওতায় আনা সম্ভব হয় না।
ছোটোবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছে হাফিজ। সেই থেকে মহাখালির আশপাশের এলাকায়ই তার আনাগোনা। সে আদৌ জানে না তার জন্মদাতারা বেচে আছে নাকি মরে গেছে। জীবিত থাকলেও তারা কোথায় সে খবর নেই তার কাছে। রাত যেখানে কাত সেখানে। যেখানে খায় সেখানেই ঘুমায়। আট বছর থেকে সে এভাবেই চলে আসছে। আব অবধি চলছে। সামনের দিনগুলোর খবর সে জানে না বা জানতে চায় না।
রাজধানী ঢাকার রাস্তাগুলো ঘুরলে এমন হাজারো পথশিশুর দেখা মিলবে। রাস্তায় বাস করা এই এসব শিশুদের দেখার কেউ নেই। না তাদের বাবা-মা, না রাষ্ট্র। সমাজের কোনো এক হত দরীদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া এই শিশুরা সব ধরণের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। নাগরিক অধিকারের কথা ভাবাও তো বেমানান।
সমাজের আর দশটা শিশূরা যখন ব্যস্ত থাকে লেখা-পড়া বা খেলা-ধুলায় ঠিক তখন এরা মানুষের কাছে হাত পাতে দু’মুঠো খাবারের জন্যে। কেউ বা আবার রাস্তার পাশে পড়ে থাকা আবর্জনা ও পরিত্যাক্ত কাগজ সংগ্রহ করে নিদিষ্ট স্থানে বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করে। এভাবেই তাদের জীবন জিবিকা নির্বাহ করে তারা। কেউ রাখে না তাদের খোঁজ।
এমনি আরেকজন- অভি। মগবাজরের রেল লাইনের পাশে সারা দিন পড়ে থাকে অভি। এবারে তার ঈদ প্রস্ততি জানতে চাইলে সে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, ‘‘ঈদের দিন নতুন কাপড় পড়তে আমাগোর মনে চায়। কিন্তু কি করমু, কিনোনের মতো টাকা নেই। তাই নতুন কিছু ছাড়াই এবারের ঈদ করমু।’’
গতবারের ঈদে সে কিছু কেনা কাটা করছে কিনা জানতে চাইলে আনন্দের সঙ্গে জানাল, ‘‘হেই বারে এক বড় সাহেব একটা জামা দিছিল। দেখতে খুব সুন্দর। সেইটা পড়েই ঈদ করছিলাম। এবার আর কপালে কিছুই জুটলা না।’’
‘ঈদ সবার জন্য’ এই কথাটি যেন এদের বেলায় একেবারেই বেমানান। এরা সব সময়ই সমাজে সুবিধা বঞ্চিত থাকে। প্রতিবারই ঈদ এলে ঢাকার বস্তি এলাকাগুলোর দরিদ্র শিশুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য জাকাতের কাপড় বিতরণ করা হয়। আবার সমাজের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। রাজধানীতে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা এতই বেশি যে সবাইকে এর আওতায় আনা সম্ভব হয় না।
No comments