মহামায়া ও মুহুরীর জলে প্রকৃতির আলো ছায়ার খেলা
চার দেওয়ালে বন্দী মন খানিকটা ছুটি পেয়ে আনচান করে একটু আলো-বাতাসের ছোঁয়া পেতে। নগর নানা ব্যস্ততায় কত দিন বেড়ানো হয় না। ঈদের ছুটি সেই সুযোগটা করে দিয়েছে। আর ঘরে বসে থাকা নয় যেতেই হবে প্রকৃতির কাছাকাছি।
প্রথম বার পরশ পাওয়া পর্যটক বারবার যেতে চাইবেন মুহুরীর চরে। মুহুরী তো আছেই, তার ওপর আছে, ‘মহামায়া’। মহামায়া সত্যিকার অর্থেই যেন পর্যটকদের মায়া ছড়ায়। তাই তো একটু সুযোগ পেলেই ঘুরে আসতে মন চায় সাত মাস আগে উদ্বোধন হওয়া মহামায়া প্রকল্পের লেকে।
অপার সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য, এমন আরো কয়েকটি স্থান নিয়ে প্রস্ত্তত মিরসরাই। এবার ঈদে তাই এখানকার মুখরিত জনপদ হয়ে উঠবে আরো মুখর। প্রাণের টানে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়া প্রকৃতি প্রেমীদের আমন্ত্রণ মহামায়া ও মুহুরীর পক্ষে।
মহামায়ার প্রকৃতিতে রঙের ছড়াছড়িঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার ঠাকুর দীঘি বাজারের এক কিলোমিটার পূর্বে। ছায়াঘেরা সড়ক। বলে রাখা ভালো, অনেকটা ভাঙা-চোরা সড়ক। তবে ভয়ের কিছু নেই! মহামায়ার সৌন্দর্য এ অবসাদটুকু পুষিয়ে দেবে।
রাস্তায় প্রস্ত্তত আছে সিএনজি অটোরিকশা। কিছু দূর পর দেখা মিলবে রেলপথ। রেল লাইন পেরুলেই কাছে টানবে মহামায়া। প্রাণের টানে ছুটে আসা পথ যেন ক্রমশই বন্ধুর হতে চাইবে মনের কোণে জাগা মৃদু উত্তেজনায়।
দূর থেকে দেখা যায় প্রায় পাহাড়সম বাঁধ। উভয় পাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। বাঁধে উঠতেই...! আহ, কি অপরূপ শোভা। বাঁধের ধারে অপেক্ষমান সারি সারি ডিঙি নৌকো আর ইঞ্জিনচালিত বোট। ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লেক কেবল সোভা ছড়ায়।
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে স্বচ্ছ পানিতে তাকাতেই দেখা যায় নীল আকাশ। পূর্ব-দিগন্তের সারি পাহাড়ের বুক চিরে যেতে যেতে এক সময় হারিয়ে যেতে মন চাইবে কল্পনায়! এ সময় যদি প্রিয় মানুষটি পাশে থাকে তাহলে তো কথাই নেই! পরিবার-পরিজন নিয়ে গেলেও নেই মানা।
কিছু দূরেই দেখা যাবে পাহাড়ের কান্না। অঝোরে কাঁদছে। অথচ তার কান্না দেখে নিজের কাঁদতে ইচ্ছে হবে না। উপরন্তু কান্নার জলে গা ভাসাতে মন চাইবে।
তার পূর্বে যেখানে লেকের শেষ প্রান্ত, সেখানেও বইছে ঝর্ণাধারা। মাঝপথে থেমে গিয়ে পাহাড়চূড়ায় উঠে নিজেকে ধন্য করতে পারেন। কেননা, সেখান থেকে দেখা মিলবে দূরের পথ। এক কিলোমিটার দূরের মহাসড়ক, তার অর্ধেকের রেলপথ, ট্রেনের ছুটে চলা, কৃষাণীর ধান মাড়ানো, কৃষকের ফলন, কিশোরের দুরন্তপনা; সব-সবই দেখা মিলবে চূড়া থেকে।
তবে সাবধান! বৃষ্টিভেজা পাহাড়ের মাটি পিছলে ছিটকে পড়লে সত্যিকারের চোখের জলে ভাসতে হবে। কি নীল, কি সবুজ, সব রঙের ছড়াছড়ি যেন ঢেলে দেয়া হয়েছে মহামায়ার প্রকৃতিতে। এর সঙ্গে মিশতে গিয়ে মন এতটাই বদলে যাবে, যেন মন বারবার ঘুরে আসতে চাইবে ফেলে আসা স্মৃতিতে।
মুহুরীর চরে জল আর রোদের খেলাঃ প্রকৃতির আরেক নাম মুহুরী। যেখানে আছে আলো-ছায়ার খেলা। আছে জীবন-জীবিকার নানা চিত্র। মুহুরীর চর, যেন মিরসরাইয়ের ভেতর আরেক মিরসরাই। অন্তহীন চরে ছোট ছোট প্রকল্প। এপারে মিরসরাই, ওপারে সোনাগাজী। ৪০ দরজার রেগুলেটরের শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা যায় দূর থেকে।
পশ্চিমে মৎস্য আহরণের খেলা, আর পূর্বে মন কাড়ানিয়া প্রকৃতি। নুয়ে পড়া মনোবল জেগে উঠবে পূবের জেগে ওঠা চরে। ডিঙি নৌকায় ভর করে কিছু দূর যেতেই দেখা মিলবে সাদা সাদা বক। এখানে ভিড় করে সুদূরের বিদেশী পাখি, অতিথি পাখি বলেই অত্যধিক পরিচিত এরা।
চিকচিকে বালিতে জল আর রোদের খেলা চলে সারাক্ষণ। সামনে পেছনে, ডানে-বামে কেবল সৌন্দর্য আর সুন্দরের ছড়াছড়ি। এ অবস্থায় মন আঁধারে ঢেকে যেতে পারে, যদি ক্যামেরা সঙ্গে না থাকে। মুহুরীর প্রকৃতির ছোঁয়ায় উদ্ভাসিত স্মৃতিরা যেন হারিয়ে যাওয়ার নয়। এসব দৃশ্য ক্যামেরার ফিল্মে আটকে রাখার মত হাজার বছর ধরে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (পুরাতন) জোরারগঞ্জ বাজারে নেমে ধরতে হবে সংযোগ সড়কের পথ। জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক নামে এ সড়কে দেখা মিলবে হরেক রকমের মোটরযানের। ভাঙাচোরা আঁকাবাঁকা আধাপাকা সড়ক পাড়ি দিতে হবে প্রায় আট কিলোমিটার। এরপর মুহুরী প্রকল্পের বাঁধ। যেতে যেতে দুই কিলোমিটার পরই দেখা মিলবে আসল সৌন্দর্য।
অপার সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য, এমন আরো কয়েকটি স্থান নিয়ে প্রস্ত্তত মিরসরাই। এবার ঈদে তাই এখানকার মুখরিত জনপদ হয়ে উঠবে আরো মুখর। প্রাণের টানে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়া প্রকৃতি প্রেমীদের আমন্ত্রণ মহামায়া ও মুহুরীর পক্ষে।
মহামায়ার প্রকৃতিতে রঙের ছড়াছড়িঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার ঠাকুর দীঘি বাজারের এক কিলোমিটার পূর্বে। ছায়াঘেরা সড়ক। বলে রাখা ভালো, অনেকটা ভাঙা-চোরা সড়ক। তবে ভয়ের কিছু নেই! মহামায়ার সৌন্দর্য এ অবসাদটুকু পুষিয়ে দেবে।
রাস্তায় প্রস্ত্তত আছে সিএনজি অটোরিকশা। কিছু দূর পর দেখা মিলবে রেলপথ। রেল লাইন পেরুলেই কাছে টানবে মহামায়া। প্রাণের টানে ছুটে আসা পথ যেন ক্রমশই বন্ধুর হতে চাইবে মনের কোণে জাগা মৃদু উত্তেজনায়।
দূর থেকে দেখা যায় প্রায় পাহাড়সম বাঁধ। উভয় পাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। বাঁধে উঠতেই...! আহ, কি অপরূপ শোভা। বাঁধের ধারে অপেক্ষমান সারি সারি ডিঙি নৌকো আর ইঞ্জিনচালিত বোট। ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লেক কেবল সোভা ছড়ায়।
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে স্বচ্ছ পানিতে তাকাতেই দেখা যায় নীল আকাশ। পূর্ব-দিগন্তের সারি পাহাড়ের বুক চিরে যেতে যেতে এক সময় হারিয়ে যেতে মন চাইবে কল্পনায়! এ সময় যদি প্রিয় মানুষটি পাশে থাকে তাহলে তো কথাই নেই! পরিবার-পরিজন নিয়ে গেলেও নেই মানা।
কিছু দূরেই দেখা যাবে পাহাড়ের কান্না। অঝোরে কাঁদছে। অথচ তার কান্না দেখে নিজের কাঁদতে ইচ্ছে হবে না। উপরন্তু কান্নার জলে গা ভাসাতে মন চাইবে।
তার পূর্বে যেখানে লেকের শেষ প্রান্ত, সেখানেও বইছে ঝর্ণাধারা। মাঝপথে থেমে গিয়ে পাহাড়চূড়ায় উঠে নিজেকে ধন্য করতে পারেন। কেননা, সেখান থেকে দেখা মিলবে দূরের পথ। এক কিলোমিটার দূরের মহাসড়ক, তার অর্ধেকের রেলপথ, ট্রেনের ছুটে চলা, কৃষাণীর ধান মাড়ানো, কৃষকের ফলন, কিশোরের দুরন্তপনা; সব-সবই দেখা মিলবে চূড়া থেকে।
তবে সাবধান! বৃষ্টিভেজা পাহাড়ের মাটি পিছলে ছিটকে পড়লে সত্যিকারের চোখের জলে ভাসতে হবে। কি নীল, কি সবুজ, সব রঙের ছড়াছড়ি যেন ঢেলে দেয়া হয়েছে মহামায়ার প্রকৃতিতে। এর সঙ্গে মিশতে গিয়ে মন এতটাই বদলে যাবে, যেন মন বারবার ঘুরে আসতে চাইবে ফেলে আসা স্মৃতিতে।
মুহুরীর চরে জল আর রোদের খেলাঃ প্রকৃতির আরেক নাম মুহুরী। যেখানে আছে আলো-ছায়ার খেলা। আছে জীবন-জীবিকার নানা চিত্র। মুহুরীর চর, যেন মিরসরাইয়ের ভেতর আরেক মিরসরাই। অন্তহীন চরে ছোট ছোট প্রকল্প। এপারে মিরসরাই, ওপারে সোনাগাজী। ৪০ দরজার রেগুলেটরের শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা যায় দূর থেকে।
পশ্চিমে মৎস্য আহরণের খেলা, আর পূর্বে মন কাড়ানিয়া প্রকৃতি। নুয়ে পড়া মনোবল জেগে উঠবে পূবের জেগে ওঠা চরে। ডিঙি নৌকায় ভর করে কিছু দূর যেতেই দেখা মিলবে সাদা সাদা বক। এখানে ভিড় করে সুদূরের বিদেশী পাখি, অতিথি পাখি বলেই অত্যধিক পরিচিত এরা।
চিকচিকে বালিতে জল আর রোদের খেলা চলে সারাক্ষণ। সামনে পেছনে, ডানে-বামে কেবল সৌন্দর্য আর সুন্দরের ছড়াছড়ি। এ অবস্থায় মন আঁধারে ঢেকে যেতে পারে, যদি ক্যামেরা সঙ্গে না থাকে। মুহুরীর প্রকৃতির ছোঁয়ায় উদ্ভাসিত স্মৃতিরা যেন হারিয়ে যাওয়ার নয়। এসব দৃশ্য ক্যামেরার ফিল্মে আটকে রাখার মত হাজার বছর ধরে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (পুরাতন) জোরারগঞ্জ বাজারে নেমে ধরতে হবে সংযোগ সড়কের পথ। জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক নামে এ সড়কে দেখা মিলবে হরেক রকমের মোটরযানের। ভাঙাচোরা আঁকাবাঁকা আধাপাকা সড়ক পাড়ি দিতে হবে প্রায় আট কিলোমিটার। এরপর মুহুরী প্রকল্পের বাঁধ। যেতে যেতে দুই কিলোমিটার পরই দেখা মিলবে আসল সৌন্দর্য।
No comments