জালে ইলিশ, মুখে হাসি
গত দুই দিনের টানা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে মেঘনা-তেঁতুলিয়া সাগরমোহনায় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এতে ভোলার জেলেপাড়ায় জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। ২৭ জুলাই বিকেল থেকে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি আর হাওয়া বইতে শুরু করে, যা টানা ২৯ জুলাই পর্যন্ত ছিল।
২৮ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দুর্গম রামদাসপুর চরে কামালের মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি জেলে নৌকা মাঝিরা ঘাটে নোঙর করে রেখেছেন। সেসব নৌকা থেকে ঝুড়ি, প্লাস্টিকের বালতি ও কনটেইনারে করে ইলিশ আড়তে তোলা হচ্ছে। বেশির ভাগ মাছ আকারে বড়। তবে যাঁরা বেশি ইলিশ পাচ্ছেন, তাঁদের মাছগুলো আকারে ছোট।
ডাঙায় তোলার পর ডাক শুরু হলে দর হাঁকছেন বরিশাল, চাঁদপুর ও ঢাকার পাইকারেরা। এখানে মাছ হালি হিসেবে দাম হাঁকা হয়। এক হালি মাছের দাম তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কথা হয় ওই ঘাটের জেলে ইদ্রিস মাঝির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুক্কুরবার রাইত্তার তোন তিন-চার হালি করি মাছ পরতেয়াছে। আল্লায় মুখ তুইল্লা চাইছে। দেনায়-দেনায় মরণদশা অইছিল। জানি না কয় দিন এ রুম থাহে।’
ভোলা সদরের খালের মাথা মাছঘাটের হানিফ মাঝি জানান, মহাজনের দাদন, এনজিওর কিস্তি আর মুদি দোকানের বাকিতে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। এখন জালে ইলিশ পড়া শুরু হয়েছে। এভাবে চললে তাঁর হতাশা কাটবে। মাস দেড়েক আগে ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হলেও ভোলার মাছঘাটগুলোয় ছিল সুনসান নীরবতা।
চরফ্যাশনের সর্ব দক্ষিণে ঢালচর মাছঘাটের জেলে ও ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান জানান, ২৭ জুলাই থেকে বড় নৌকায় চার-পাঁচ হালি ইলিশ এবং ছোট দাঁড়ের নৌকায় এক-দুই হালি করে পড়ছে। মাছের আকার ভালো। এসব মাছ প্রতি হালি দুই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিশ কুমার মল্লিক বলেন, ‘যখন খবর পেলাম মাছ পড়ছে, তখন মনটা ভালো হয়ে গেল। এ বছর বৃষ্টিই ছিল না। ইলিশের জন্য ঝড়-বৃষ্টি ও নিম্নচাপ খুব দরকার।’
চাঁদপুর ইলিশ গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান ইলিশ গবেষক আনিসুর রহমান বলেন, নদীতে ইলিশ উঠে আসার জন্য বাধাহীন জলপথ ও অনুকূল আবহাওয়া দরকার। নদীতে পলি জমে ডুবোচর সৃষ্টি হয়ে নাব্যতা কমে যাচ্ছে। তবে এখন ইলিশের চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, নদীতে ফিরতে শুরু করেছে তারা। আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত জেলেরা ইলিশ পাবেন।
ডাঙায় তোলার পর ডাক শুরু হলে দর হাঁকছেন বরিশাল, চাঁদপুর ও ঢাকার পাইকারেরা। এখানে মাছ হালি হিসেবে দাম হাঁকা হয়। এক হালি মাছের দাম তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কথা হয় ওই ঘাটের জেলে ইদ্রিস মাঝির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুক্কুরবার রাইত্তার তোন তিন-চার হালি করি মাছ পরতেয়াছে। আল্লায় মুখ তুইল্লা চাইছে। দেনায়-দেনায় মরণদশা অইছিল। জানি না কয় দিন এ রুম থাহে।’
ভোলা সদরের খালের মাথা মাছঘাটের হানিফ মাঝি জানান, মহাজনের দাদন, এনজিওর কিস্তি আর মুদি দোকানের বাকিতে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। এখন জালে ইলিশ পড়া শুরু হয়েছে। এভাবে চললে তাঁর হতাশা কাটবে। মাস দেড়েক আগে ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হলেও ভোলার মাছঘাটগুলোয় ছিল সুনসান নীরবতা।
চরফ্যাশনের সর্ব দক্ষিণে ঢালচর মাছঘাটের জেলে ও ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান জানান, ২৭ জুলাই থেকে বড় নৌকায় চার-পাঁচ হালি ইলিশ এবং ছোট দাঁড়ের নৌকায় এক-দুই হালি করে পড়ছে। মাছের আকার ভালো। এসব মাছ প্রতি হালি দুই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিশ কুমার মল্লিক বলেন, ‘যখন খবর পেলাম মাছ পড়ছে, তখন মনটা ভালো হয়ে গেল। এ বছর বৃষ্টিই ছিল না। ইলিশের জন্য ঝড়-বৃষ্টি ও নিম্নচাপ খুব দরকার।’
চাঁদপুর ইলিশ গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান ইলিশ গবেষক আনিসুর রহমান বলেন, নদীতে ইলিশ উঠে আসার জন্য বাধাহীন জলপথ ও অনুকূল আবহাওয়া দরকার। নদীতে পলি জমে ডুবোচর সৃষ্টি হয়ে নাব্যতা কমে যাচ্ছে। তবে এখন ইলিশের চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, নদীতে ফিরতে শুরু করেছে তারা। আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত জেলেরা ইলিশ পাবেন।
No comments