মোস্ট ওয়ান্টেড নাৎসি যুদ্ধাপরাধী হাঙ্গেরিতে গ্রেপ্তার-১৬ হাজার ইহুদিকে হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকাভুক্ত লাসলো চিজিক চতারিকে গ্রেপ্তার করেছে হাঙ্গেরি। ৯৭ বছর বয়সী এই নাৎসি সদস্যের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে প্রায় ১৬ হাজার ইহুদিকে হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার প্রায় সাত দশক পরে গত বুধবার গ্রেপ্তার হন তিনি।
তবে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বুদাপেস্টের ভাড়া বাড়িতে গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন লাসলো। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল।
ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকার দাবি, লাসলোকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক চাপ ছিল হাঙ্গেরি সরকারের ওপর। রয়্যাল হাঙ্গেরিয়ান পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তাকে যুদ্ধাপরাধসহ ১৫ হাজার ৭০০ ইহুদি হত্যায় সহযোগিতার দায়ে ১৯৪৮ সালে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন চেকোস্লোভাকিয়ার একটি আদালত।
ইহুদি মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থা সাইমন উইসেনথাল সেন্টার (এসডাব্লিউসি) হাঙ্গেরি সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক এ সংস্থাটির করা তালিকায় লাসলোকে মোস্ট ওয়ান্টেড নাৎসি যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে লাসলো নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। হাঙ্গেরির সরকারি কেঁৗসুলি তিবর ইবোলিয়া বলেন, লাসলো নিজের নিরাপরাধ অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, 'তিনি কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র।'
লাসলো তৎকালীন হাঙ্গেরির কসস্ শহরের পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে শহরটি স্লোভাকিয়ার মধ্যে পড়েছে, নাম কসিৎসা। যুদ্ধকালে ইহুদি অধ্যুষিত এই শহর থেকে লোকজনকে ধরে তিনি নাৎসিদের ক্যাম্পগুলোতে পাঠাতেন। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭০০ ইহুদিকে তিনি অস্উইৎজসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠান। তবে টেলিগ্রাফ দাবি করেছে, এ সংখ্যা কমপক্ষে ১৬ হাজার। পশ্চিম ইউরোপের নাৎসি ক্যাম্পগুলোতে ইহুদিদের পাঠানোর আগে কসিৎসা শহরে গড়ে ওঠা একটি মধ্যবর্তী ক্যাম্পে রাখা হতো তাদের। লাসলো ওই ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন। সেখানে বন্দিদের ওপর তিনি নিষ্ঠুর নির্যাতন চালাতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসডাব্লিউসির দাবি, ১৯৯৪ সালে কসিৎসা শহর সফর করেছিলেন অ্যাডলফ আইখম্যান। আইখম্যান অ্যাডলফ হিটলারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
১৯৪৮ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার আদালত লাসলোর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন। তবে যুদ্ধের পরপরই গা-ঢাকা দেন লাসলো। ফলে ওই রায় কার্যকর করা যায়নি। কানাডায় দীর্ঘদিন শিল্পকর্ম কেনাবেচার কাজ করেন তিনি। সেখানে ১৯৯৫ সালে তাঁর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের ব্যাপারটি সামনে আসায় আবারও গা-ঢাকা দেন তিনি। এবার পালিয়ে হাঙ্গেরি যান। তারপর থেকেই সেখানে বসবাস করছিলেন তিনি।
তবে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান গত রবিবার তাঁর ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ব্যাপারটি আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আসে। পত্রিকাটির দাবি, লাসলো তাঁর নিজের নামেই ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলেন। পরিবারের লোকজন তাঁর জঘন্য অতীত সম্পর্কে জানেন না। তবে গত বছর এসডাব্লিউসি কর্তৃপক্ষ লাসলোর ব্যাপারে হাঙ্গেরি সরকারকে অবহিত করে। এ অবস্থায় গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সরকার। গত এপ্রিলে স্থানীয় পত্রপত্রিকায় লাসলোর পুলিশি নজরদারির মধ্যে থাকার ব্যাপারটি প্রকাশিত হয়। তদন্তে তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে এসডাব্লিউসি। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকার দাবি, লাসলোকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক চাপ ছিল হাঙ্গেরি সরকারের ওপর। রয়্যাল হাঙ্গেরিয়ান পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তাকে যুদ্ধাপরাধসহ ১৫ হাজার ৭০০ ইহুদি হত্যায় সহযোগিতার দায়ে ১৯৪৮ সালে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন চেকোস্লোভাকিয়ার একটি আদালত।
ইহুদি মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থা সাইমন উইসেনথাল সেন্টার (এসডাব্লিউসি) হাঙ্গেরি সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক এ সংস্থাটির করা তালিকায় লাসলোকে মোস্ট ওয়ান্টেড নাৎসি যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে লাসলো নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। হাঙ্গেরির সরকারি কেঁৗসুলি তিবর ইবোলিয়া বলেন, লাসলো নিজের নিরাপরাধ অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, 'তিনি কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র।'
লাসলো তৎকালীন হাঙ্গেরির কসস্ শহরের পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে শহরটি স্লোভাকিয়ার মধ্যে পড়েছে, নাম কসিৎসা। যুদ্ধকালে ইহুদি অধ্যুষিত এই শহর থেকে লোকজনকে ধরে তিনি নাৎসিদের ক্যাম্পগুলোতে পাঠাতেন। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭০০ ইহুদিকে তিনি অস্উইৎজসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠান। তবে টেলিগ্রাফ দাবি করেছে, এ সংখ্যা কমপক্ষে ১৬ হাজার। পশ্চিম ইউরোপের নাৎসি ক্যাম্পগুলোতে ইহুদিদের পাঠানোর আগে কসিৎসা শহরে গড়ে ওঠা একটি মধ্যবর্তী ক্যাম্পে রাখা হতো তাদের। লাসলো ওই ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন। সেখানে বন্দিদের ওপর তিনি নিষ্ঠুর নির্যাতন চালাতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসডাব্লিউসির দাবি, ১৯৯৪ সালে কসিৎসা শহর সফর করেছিলেন অ্যাডলফ আইখম্যান। আইখম্যান অ্যাডলফ হিটলারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
১৯৪৮ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার আদালত লাসলোর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন। তবে যুদ্ধের পরপরই গা-ঢাকা দেন লাসলো। ফলে ওই রায় কার্যকর করা যায়নি। কানাডায় দীর্ঘদিন শিল্পকর্ম কেনাবেচার কাজ করেন তিনি। সেখানে ১৯৯৫ সালে তাঁর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের ব্যাপারটি সামনে আসায় আবারও গা-ঢাকা দেন তিনি। এবার পালিয়ে হাঙ্গেরি যান। তারপর থেকেই সেখানে বসবাস করছিলেন তিনি।
তবে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান গত রবিবার তাঁর ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ব্যাপারটি আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আসে। পত্রিকাটির দাবি, লাসলো তাঁর নিজের নামেই ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলেন। পরিবারের লোকজন তাঁর জঘন্য অতীত সম্পর্কে জানেন না। তবে গত বছর এসডাব্লিউসি কর্তৃপক্ষ লাসলোর ব্যাপারে হাঙ্গেরি সরকারকে অবহিত করে। এ অবস্থায় গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সরকার। গত এপ্রিলে স্থানীয় পত্রপত্রিকায় লাসলোর পুলিশি নজরদারির মধ্যে থাকার ব্যাপারটি প্রকাশিত হয়। তদন্তে তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে এসডাব্লিউসি। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments