প্রদর্শনী-হেভি মেটাল by জাফরিন গুলশান
শিল্প ও শিল্পীর স্বাধীনতা এখন উত্তুঙ্গে। শিল্প নির্মাণের কৌশল কিংবা ব্যবহূত বস্তুর বৈচিত্র্য এবং নিরীক্ষা একবিংশ শতকের দৃশ্যশিল্পের ভাষাকে আরও বেশি নান্দনিক এবং তাৎপর্যময় করে তুলেছে। শিল্পীর পর্যবেক্ষণ তাই ফেলে দেওয়া তরল পানীয়র ক্যান, পুরোনো কর্ক, ফেলে দেওয়া রঙের টিউব ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ভাঙাড়ির পুরোনো
লোহালক্করের দোকানে অনুসন্ধান করে। ড. ল্যাম্বার্ট সুমবুশোর একক চিত্রপ্রদর্শনী ‘হেভি মেটাল’-এর ভিন্নধর্মিতা হলো সমতল সারফেসে মেটালের তথা ধাতব পাত্রের বিবিধ ও বিচিত্র ব্যবহারে পরিশীলিত নান্দনিক চিত্রকর্মের উপস্থাপনা।
সুমবুশো পেশায় একজন আইনজীবী। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক, বাংলাদেশে আছেন দুই বছরেরও বেশি সময়। গ্যালারির চিত্রকর্মগুলো বিষয়গতভাবে একই সঙ্গে বাংলাদেশ এবং আফ্রিকান সংস্কৃতির একধরনের ফিউশন। আফ্রিকান ‘নারী’ বিষয় চরিত্র হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে। ধাতব মেটেরিয়ালের কাঠিন্য ভেদ করে ল্যাম্বার্টের নারীরা রমণীয়, সেনস্যুয়াল। বলা যায়, এক্সপ্রেশনিস্ট বা প্রকাশবাদী রীতি চরিত্রের। উজ্জ্বল রঙের বৈপরীত্য, বড় বড় নকশা প্রধান কাপড়ে আঁকা আফ্রিকার চিত্রগুলোকে শুধু চিত্রকর্ম বললে সম্পূর্ণ হয় না। বলা উচিত, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি এবং হাতে, রঙে আঁকা। ফেলে দেওয়া বিভিন্ন ধাতব বস্তুকে নানা আঙ্গিকে কেটে, সমান করে, বাঁকিয়ে কিংবা দুমড়েমুচড়ে, পুড়িয়ে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে ছিদ্র করে বোর্ডে আটকে তৈরি হয়েছে একেকটি শিল্পকর্ম।
চিত্রকর্মেও প্রয়োজনমতো কোথাও কোথাও ঘষে রং তুলে ফেলে ধাতব প্রলেপ সরিয়ে টেক্সচার বানানো হয়েছে। আর যেখানে টেক্সচার নেই, সেখানে লাগিয়েছেন উজ্জ্বল সব রং। তবে মেটেরিয়ালগত কারণে মনে হতে পারে মেটালের ব্যবহার বিমূর্তায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু ল্যাম্বার্ট বাস্তবধর্মী-প্রকাশবাদী রীতিতেই থেকেছেন। আবার ধাতু বা মেটাল শব্দটি যেমন ভাস্কর্যের সঙ্গে বেশি খাপ খায়, কিন্তু হেভি মেটাল চিত্রপ্রদর্শনীর চিত্রকর্মগুলোতে স্কাল্পচারাল গুণ নেই। বরং সবই সমতলপটে চিত্রকর্ম। সব চিত্রকর্মে রয়েছে টোনের বৈচিত্র্য, আলোছায়া রঙের গ্রেডেশনে ডায়মেনশন ইত্যাদি সব শর্ত।
যাঁরা জলরং, তেলরং, অ্যাক্রেলিক রঙের শুধু ক্যানভাসে চিত্রকর্ম দেখে এসেছেন দীর্ঘদিন ধরে, তাঁদের জন্য ভিন্ন নান্দনিক স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ হতে পারে এই প্রদর্শনী। চোখ এবার জুড়াতে পারে উজ্জ্বল আফ্রিকান রঙের ছটায়।
মেটাল আশ্রয়ী চিত্রকর্মের অপূর্ব সমাবেশে বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জের দেয়ালজুড়ে বেশ মজার এক আবহ তৈরি হয়েছে। ‘হেভি মেটাল’ সংগীতের মতো চিত্রপটের মেটাল সারফেসে বিচিত্র আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, ব্যঞ্জনার সমন্বয় করেছেন শিল্পী।
বাংলাদেশের প্রতিদিনকার জীবনের অপ্রয়োজনীয় বস্তুগুলোই শিল্পী ল্যাম্বার্টের উৎসাহের বিষয়। তিনি নিরীক্ষা করেছেন শিল্পের কৌশল নিয়ে, মেটেরিয়াল নিয়ে। এ কারণে শিল্পের বিষয়ের ধারণাগত স্থানে খুব বেশি বৈচিত্র্য দেখা যায় না।
প্রদর্শনীতে ১৯টি শিল্পকর্মের সঙ্গে একটি ভিডিও চিত্র রয়েছে, যেখানে শিল্পী কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত লোহা, টিন, ক্যান ইত্যাদি দিয়ে কীভাবে কাজ করেন, তা দেখানো হয়েছে। এটা দেখার জন্য পুরো প্রক্রিয়া এবং শিল্পকর্মগুলো ভালোমতো বুঝতে, পড়তে দর্শকদের আরও আনন্দ লাগবে। প্রদর্শনীটি ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
সুমবুশো পেশায় একজন আইনজীবী। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক, বাংলাদেশে আছেন দুই বছরেরও বেশি সময়। গ্যালারির চিত্রকর্মগুলো বিষয়গতভাবে একই সঙ্গে বাংলাদেশ এবং আফ্রিকান সংস্কৃতির একধরনের ফিউশন। আফ্রিকান ‘নারী’ বিষয় চরিত্র হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে। ধাতব মেটেরিয়ালের কাঠিন্য ভেদ করে ল্যাম্বার্টের নারীরা রমণীয়, সেনস্যুয়াল। বলা যায়, এক্সপ্রেশনিস্ট বা প্রকাশবাদী রীতি চরিত্রের। উজ্জ্বল রঙের বৈপরীত্য, বড় বড় নকশা প্রধান কাপড়ে আঁকা আফ্রিকার চিত্রগুলোকে শুধু চিত্রকর্ম বললে সম্পূর্ণ হয় না। বলা উচিত, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি এবং হাতে, রঙে আঁকা। ফেলে দেওয়া বিভিন্ন ধাতব বস্তুকে নানা আঙ্গিকে কেটে, সমান করে, বাঁকিয়ে কিংবা দুমড়েমুচড়ে, পুড়িয়ে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে ছিদ্র করে বোর্ডে আটকে তৈরি হয়েছে একেকটি শিল্পকর্ম।
চিত্রকর্মেও প্রয়োজনমতো কোথাও কোথাও ঘষে রং তুলে ফেলে ধাতব প্রলেপ সরিয়ে টেক্সচার বানানো হয়েছে। আর যেখানে টেক্সচার নেই, সেখানে লাগিয়েছেন উজ্জ্বল সব রং। তবে মেটেরিয়ালগত কারণে মনে হতে পারে মেটালের ব্যবহার বিমূর্তায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু ল্যাম্বার্ট বাস্তবধর্মী-প্রকাশবাদী রীতিতেই থেকেছেন। আবার ধাতু বা মেটাল শব্দটি যেমন ভাস্কর্যের সঙ্গে বেশি খাপ খায়, কিন্তু হেভি মেটাল চিত্রপ্রদর্শনীর চিত্রকর্মগুলোতে স্কাল্পচারাল গুণ নেই। বরং সবই সমতলপটে চিত্রকর্ম। সব চিত্রকর্মে রয়েছে টোনের বৈচিত্র্য, আলোছায়া রঙের গ্রেডেশনে ডায়মেনশন ইত্যাদি সব শর্ত।
যাঁরা জলরং, তেলরং, অ্যাক্রেলিক রঙের শুধু ক্যানভাসে চিত্রকর্ম দেখে এসেছেন দীর্ঘদিন ধরে, তাঁদের জন্য ভিন্ন নান্দনিক স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ হতে পারে এই প্রদর্শনী। চোখ এবার জুড়াতে পারে উজ্জ্বল আফ্রিকান রঙের ছটায়।
মেটাল আশ্রয়ী চিত্রকর্মের অপূর্ব সমাবেশে বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জের দেয়ালজুড়ে বেশ মজার এক আবহ তৈরি হয়েছে। ‘হেভি মেটাল’ সংগীতের মতো চিত্রপটের মেটাল সারফেসে বিচিত্র আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, ব্যঞ্জনার সমন্বয় করেছেন শিল্পী।
বাংলাদেশের প্রতিদিনকার জীবনের অপ্রয়োজনীয় বস্তুগুলোই শিল্পী ল্যাম্বার্টের উৎসাহের বিষয়। তিনি নিরীক্ষা করেছেন শিল্পের কৌশল নিয়ে, মেটেরিয়াল নিয়ে। এ কারণে শিল্পের বিষয়ের ধারণাগত স্থানে খুব বেশি বৈচিত্র্য দেখা যায় না।
প্রদর্শনীতে ১৯টি শিল্পকর্মের সঙ্গে একটি ভিডিও চিত্র রয়েছে, যেখানে শিল্পী কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত লোহা, টিন, ক্যান ইত্যাদি দিয়ে কীভাবে কাজ করেন, তা দেখানো হয়েছে। এটা দেখার জন্য পুরো প্রক্রিয়া এবং শিল্পকর্মগুলো ভালোমতো বুঝতে, পড়তে দর্শকদের আরও আনন্দ লাগবে। প্রদর্শনীটি ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
No comments