যা নিয়ে আছি-রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা
যতীন সরকার। প্রাবন্ধিক-গবেষক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে চার দশক সরকারি কলেজে শিক্ষকতা শেষে বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করছেন। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ছিলেন। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ২৫। স্বাধীনতা পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন।
‘কামারের এক ঘা’ ও ‘মার্কসবাদ ভাবনা’
এখন দুটো বই পড়ছি। রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কামারের এক ঘা ও সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মার্কসবাদ ভাবনা। অসুস্থ থাকায় বাইরে বেরোতে পারি না। তাই সারাক্ষণ বই পড়ি। মাঝেমধ্যে কিছু লিখি। বারবার পড়া বই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা। প্রিয় লেখক প্রসঙ্গে আমি বিপদে পড়ে যাই। কেননা, ভিন্ন ভিন্ন লেখক আমার কাছে ভিন্ন ভিন্ন কারণে প্রিয়। সব মিলিয়ে প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মার্ক্সবাদী লেখক হিসেবে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের এবং সাহিত্যিক হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা আমার বেশ ভালো লাগে।
শেষ নাহি গো, শেষ কথা যে যাও বলে
সময়-সুযোগ পেলেই গান শুনি। রবীন্দ্রসংগীত ও লোকসংগীত বেশ শোনা হয়, বিশেষ করে ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকগীতি। প্রিয় গানের পঙিক্ত রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ নাহি গো, শেষ কথা যাও বলে’। লালনগীতিও আমার প্রিয়।
‘মেঘে ঢাকা তারা’ ও ‘পথের পাঁচালী’
দুটো রাশিয়ান ছবির কথা খুব বেশি মনে পড়ে। ছবি দুটো হলো, ব্যালাড অব সোলজার এবং ক্রেইনস আর ফ্লাইং। ঋতিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারা এবং সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালীও প্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে।
চেকোস্লোভাকিয়া বেশি প্রিয়
আমি বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় গিয়েছি। পার্টির কাজে এবং উদীচীর সভাপতি হিসেবে এই ভ্রমণ। দেশের বাইরে ভারত, লন্ডন, বার্লিন ও চেকোস্লোভাকিয়ায় গিয়েছি। এসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে আমি চিন্তা-চেতনা শাণিত করে নিয়েছি। বারবার যেতে ইচ্ছে করে চেকোস্লোভাকিয়ায়। দেশটির মানুষের ব্যবহার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হওয়ার মতো।
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি
আমি মার্ক্সবাদে বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই সমাজকে পুরোপুরি পাল্টাতে হবে। শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আমি মনে করি, যার যেটুকু সাধ্য, তা-ই দিয়ে চেষ্টা করলে একসময় অবশ্যই মার্ক্সবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: এ আহমেদ
এখন দুটো বই পড়ছি। রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কামারের এক ঘা ও সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মার্কসবাদ ভাবনা। অসুস্থ থাকায় বাইরে বেরোতে পারি না। তাই সারাক্ষণ বই পড়ি। মাঝেমধ্যে কিছু লিখি। বারবার পড়া বই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোরা। প্রিয় লেখক প্রসঙ্গে আমি বিপদে পড়ে যাই। কেননা, ভিন্ন ভিন্ন লেখক আমার কাছে ভিন্ন ভিন্ন কারণে প্রিয়। সব মিলিয়ে প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মার্ক্সবাদী লেখক হিসেবে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের এবং সাহিত্যিক হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা আমার বেশ ভালো লাগে।
শেষ নাহি গো, শেষ কথা যে যাও বলে
সময়-সুযোগ পেলেই গান শুনি। রবীন্দ্রসংগীত ও লোকসংগীত বেশ শোনা হয়, বিশেষ করে ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকগীতি। প্রিয় গানের পঙিক্ত রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ নাহি গো, শেষ কথা যাও বলে’। লালনগীতিও আমার প্রিয়।
‘মেঘে ঢাকা তারা’ ও ‘পথের পাঁচালী’
দুটো রাশিয়ান ছবির কথা খুব বেশি মনে পড়ে। ছবি দুটো হলো, ব্যালাড অব সোলজার এবং ক্রেইনস আর ফ্লাইং। ঋতিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারা এবং সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালীও প্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে।
চেকোস্লোভাকিয়া বেশি প্রিয়
আমি বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় গিয়েছি। পার্টির কাজে এবং উদীচীর সভাপতি হিসেবে এই ভ্রমণ। দেশের বাইরে ভারত, লন্ডন, বার্লিন ও চেকোস্লোভাকিয়ায় গিয়েছি। এসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে আমি চিন্তা-চেতনা শাণিত করে নিয়েছি। বারবার যেতে ইচ্ছে করে চেকোস্লোভাকিয়ায়। দেশটির মানুষের ব্যবহার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হওয়ার মতো।
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি
আমি মার্ক্সবাদে বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই সমাজকে পুরোপুরি পাল্টাতে হবে। শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আমি মনে করি, যার যেটুকু সাধ্য, তা-ই দিয়ে চেষ্টা করলে একসময় অবশ্যই মার্ক্সবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: এ আহমেদ
No comments