ভালো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে-উচ্চমাধ্যমিকের পর
এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষাগুলোর ফল আগের বছরের তুলনায় বেশ ভালো; উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে গত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশেরও বেশি। জিপিএ-৫ পেয়েছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, শিক্ষকমহল, অভিভাবকসহ সবাই আনন্দিত। আমরাও সানন্দে সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
মাধ্যমিক স্তর পেরোনোর পর শিক্ষার্থীরা এখন আরও বড় সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। দেশের শিক্ষিত শ্রমশক্তি হিসেবে কে কোন অঙ্গনে প্রবেশ করবেন, তা প্রধানত নির্ধারিত হবে এখনই। বিশেষত যাঁরা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ইত্যাদি বিশেষায়িত পেশাজীবী হতে চান—তাঁদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে এখনই। স্নাতক পর্যায়ে অন্যান্য বিষয়ে নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রতিযোগিতাও প্রবল। কিন্তু যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের সবার নিজেদের পছন্দমতো বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ মিলবে না। কারণ, তাঁদের সংখ্যার তুলনায় তাঁদের পছন্দের বিষয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নিতান্তই কম। বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়গুলো পড়ার সুযোগও সীমিত, কারণ আসনসংখ্যা পর্যাপ্ত নয়।
সুতরাং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সঙ্গে যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা এখন আরও তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবেন—এটা আমাদের এক দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা। যে দেশের লোকসংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, সেখানে দৃষ্টান্তস্বরূপ চিকিৎসক প্রয়োজন কয়েক লাখ। মেধার অভাবে আমরা পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক তৈরি করতে পারছি না, বিষয়টি সে রকম নয়। বিজ্ঞান শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী ন্যূনতম জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন, তাঁদের প্রত্যেকেরই চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়ার উপযোগী মেধা ও যোগ্যতা আছে। একই কথা বলা যায় প্রকৌশলবিদ্যা, কৃষিবিদ্যা, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়ের ক্ষেত্রেও। তাই বছরে বছরে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা যতই বাড়ুক, মেধাবীদের পছন্দমতো বিষয়গুলো পড়ার সুযোগ না বাড়ানো হলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে না; বরং ভালো ফল করেও পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত মেধাবী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।
দেশে মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে, এটা সত্য। কিন্তু এই খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। শুধু চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ নয়, একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সব বিষয়ে, সব খাতেই দক্ষ পর্যাপ্ত জনবল প্রয়োজন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত কলেজগুলোতে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাদান করা হয়, কিন্তু হাতেগোনা কিছু কলেজ ছাড়া অধিকাংশতেই মানসম্পন্ন শিক্ষাদান হয় না। তাই ভর্তির জন্য ভিড় জমে অল্পসংখ্যক নামী কলেজগুলোতে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন।
স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বিভিন্ন রকমের। ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ শিক্ষার্থীদের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটতে হয়; পরীক্ষার সময়সূচির মধ্যেও শৃঙ্খলা নেই। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাইয়ে একটি অভিন্ন সমন্বিত ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা ভেবে দেখা যেতে পারে।
সুতরাং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সঙ্গে যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা এখন আরও তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবেন—এটা আমাদের এক দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা। যে দেশের লোকসংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, সেখানে দৃষ্টান্তস্বরূপ চিকিৎসক প্রয়োজন কয়েক লাখ। মেধার অভাবে আমরা পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক তৈরি করতে পারছি না, বিষয়টি সে রকম নয়। বিজ্ঞান শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী ন্যূনতম জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন, তাঁদের প্রত্যেকেরই চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়ার উপযোগী মেধা ও যোগ্যতা আছে। একই কথা বলা যায় প্রকৌশলবিদ্যা, কৃষিবিদ্যা, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়ের ক্ষেত্রেও। তাই বছরে বছরে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা যতই বাড়ুক, মেধাবীদের পছন্দমতো বিষয়গুলো পড়ার সুযোগ না বাড়ানো হলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে না; বরং ভালো ফল করেও পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত মেধাবী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।
দেশে মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে, এটা সত্য। কিন্তু এই খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। শুধু চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ নয়, একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সব বিষয়ে, সব খাতেই দক্ষ পর্যাপ্ত জনবল প্রয়োজন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত কলেজগুলোতে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাদান করা হয়, কিন্তু হাতেগোনা কিছু কলেজ ছাড়া অধিকাংশতেই মানসম্পন্ন শিক্ষাদান হয় না। তাই ভর্তির জন্য ভিড় জমে অল্পসংখ্যক নামী কলেজগুলোতে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন।
স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বিভিন্ন রকমের। ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ শিক্ষার্থীদের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটতে হয়; পরীক্ষার সময়সূচির মধ্যেও শৃঙ্খলা নেই। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাইয়ে একটি অভিন্ন সমন্বিত ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা ভেবে দেখা যেতে পারে।
No comments