অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল-উপেক্ষিত হচ্ছে গ্রাহকসেবা
বিদ্যুৎ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তির অন্ত নেই। বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুতের সরবরাহ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। সরবরাহ যেখানে নিশ্চিত নয়, সেখানে লোডশেডিংয়ের ঝামেলা তো থাকবেই। এসবের পাশাপাশি বাংলাদেশের কর্মসংস্কৃতির সবচেয়ে বিরক্তিকর দিক, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু কর্মীর দৌরাত্ম্যও অস্বীকার করা
যাবে না। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে ভৌতিক ও অস্বাভাবিক অঙ্কের বিল। বিশেষ করে বছরের নির্দিষ্ট দুটি সময়ে এই ভৌতিক বিল যেন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ সেবা খাতের একটি, সেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কারণে এই অনিবার্য সেবা খাতটি গ্রাহকদের বিরক্তি ও চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিল-দুর্ভোগের নানা চিত্র ফুটে উঠেছে। ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানির আওতাধীন এক আবাসিক গ্রাহকের ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এক মাসের বিল এসেছে পাঁচ হাজার ৪৬ টাকা। বিল অনুযায়ী, তিনি ৬০৩ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন। এই গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সারা মাস ২৪ ঘণ্টা ধরে চালালেও হয়তো ৬০৩ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হওয়ার কথা নয়। এই গ্রাহক একা নন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অনেক গ্রাহকই এই বিল-ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। হঠাৎ করে বিদ্যুতের ব্যবহার এতটা বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, মিটার রিডাররা প্রতি মাসে সব গ্রাহকের মিটারের রিডিং সরেজমিন না নিয়ে অনুমাননির্ভর বিল করেন। ফলে কোনো কোনো মাসে প্রকৃত ব্যবহারের তুলনায় বিল কিছু কম হতে পারে। এতে কয়েক মাসের ব্যবহার থেকে কিছু কিছু জমা হয়ে মে-জুন ও নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বাড়তি বিল আসতে পারে। বছরের এই দুটি সময়ে ষান্মাসিক ও বার্ষিক হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করা হয়। তেমনটি হলে মিটার রিডারের অনিয়মের দায় গ্রাহকদের মেটাতে হচ্ছে। এভাবে ইউনিট জমিয়ে রেখে জুন ও ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ ব্যবহারের হিসাব সমন্বয় করা হলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবহারকারীর গ্রাহকশ্রেণী পরিবর্তন হয়ে আবাসিক গ্রাহক বাণিজ্যিক গ্রাহকে রূপান্তরিত হয়ে যাবেন। এতে বিইআরসির হিসাব অনুযায়ী একজন গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিদ্যুৎ কম্পানির গ্রাহক হয়ে সেবার বদলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। মিটার রিডারদের গাফিলতিতে অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকশ্রেণী পরিবর্তনের দণ্ড দিচ্ছেন।
বিদ্যুৎসেবা এখন ভোক্তার অধিকার। কিন্তু সেই সেবা এখন গ্রাহকদের জন্য বিরক্তির পাশাপাশি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহকদের যে সেবা পাওয়ার কথা, তার বদলে ভোগান্তি বাড়ছে। এই ভোগান্তি দূর করার কোনো চেষ্টা নেই। গ্রাহক পর্যায়ের এই ভোগান্তি দূর করতে হবে। সেবা খাতকে ভোগান্তির খাতে পরিণত করা যাবে না। গ্রাহকসেবা যেন উপেক্ষিত না হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিল-দুর্ভোগের নানা চিত্র ফুটে উঠেছে। ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানির আওতাধীন এক আবাসিক গ্রাহকের ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এক মাসের বিল এসেছে পাঁচ হাজার ৪৬ টাকা। বিল অনুযায়ী, তিনি ৬০৩ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন। এই গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সারা মাস ২৪ ঘণ্টা ধরে চালালেও হয়তো ৬০৩ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হওয়ার কথা নয়। এই গ্রাহক একা নন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অনেক গ্রাহকই এই বিল-ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। হঠাৎ করে বিদ্যুতের ব্যবহার এতটা বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, মিটার রিডাররা প্রতি মাসে সব গ্রাহকের মিটারের রিডিং সরেজমিন না নিয়ে অনুমাননির্ভর বিল করেন। ফলে কোনো কোনো মাসে প্রকৃত ব্যবহারের তুলনায় বিল কিছু কম হতে পারে। এতে কয়েক মাসের ব্যবহার থেকে কিছু কিছু জমা হয়ে মে-জুন ও নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বাড়তি বিল আসতে পারে। বছরের এই দুটি সময়ে ষান্মাসিক ও বার্ষিক হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করা হয়। তেমনটি হলে মিটার রিডারের অনিয়মের দায় গ্রাহকদের মেটাতে হচ্ছে। এভাবে ইউনিট জমিয়ে রেখে জুন ও ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ ব্যবহারের হিসাব সমন্বয় করা হলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবহারকারীর গ্রাহকশ্রেণী পরিবর্তন হয়ে আবাসিক গ্রাহক বাণিজ্যিক গ্রাহকে রূপান্তরিত হয়ে যাবেন। এতে বিইআরসির হিসাব অনুযায়ী একজন গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিদ্যুৎ কম্পানির গ্রাহক হয়ে সেবার বদলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। মিটার রিডারদের গাফিলতিতে অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকশ্রেণী পরিবর্তনের দণ্ড দিচ্ছেন।
বিদ্যুৎসেবা এখন ভোক্তার অধিকার। কিন্তু সেই সেবা এখন গ্রাহকদের জন্য বিরক্তির পাশাপাশি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহকদের যে সেবা পাওয়ার কথা, তার বদলে ভোগান্তি বাড়ছে। এই ভোগান্তি দূর করার কোনো চেষ্টা নেই। গ্রাহক পর্যায়ের এই ভোগান্তি দূর করতে হবে। সেবা খাতকে ভোগান্তির খাতে পরিণত করা যাবে না। গ্রাহকসেবা যেন উপেক্ষিত না হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
No comments