জার্মানিতে শরণার্থী ভাতা বাড়ানোর নির্দেশ
জার্মানিতে বসবাসরত শরণার্থীদের কল্যাণ ভাতা বাড়িয়ে জার্মান নাগরিকদের বেকার ভাতার কাছাকাছি করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গত বুধবার কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত জার্মান সরকারের প্রতি এ নির্দেশ জারি করেন।
শরণার্থী বা জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাংবিধানিক আদালত বলেন, জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থী বিদেশি নাগরিক ও বেকার জার্মানদের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কল্যাণ ভাতার ব্যাপারে পার্থক্য থাকা উচিত নয়। বসবাসের অনুমতির ব্যাপারে জার্মান কর্তৃপক্ষের জবাবের অপেক্ষায় থাকা শরণার্থীদের দেওয়া সাহায্যের পরিমাণ জার্মান নাগরিকদের বেকার ভাতার সমান হওয়া উচিত। ১৯৯৩ সালের পর শরণার্থীদের ভাতা আর না বাড়ানোর ঘটনাকে অসাংবিধানিক বলেও সমালোচনা করেন আদালত। জার্মানিতে অবস্থানকারী প্রাপ্তবয়স্ক শরণার্থীদের বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ২৪০ ইউরো করে দেওয়া হয়। প্রায় ২০ বছর ধরে ভাতার পরিমাণ একই আছে। যদিও এ সময়ের মধ্যে জীবনধারণের ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। শরণার্থীদের বিপরীতে বেকার জার্মান নাগরিকরা মাসে পায় ৩৭৪ ইউরো করে।
আদালত শরণার্থীদের কল্যাণ ভাতার নীতি শিগগিরই সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে নতুন আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীদের ভাতা এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাড়তি ভাতার বিষয়টি ২০১১ থেকে কার্যকর ধরা হবে।
নর্থ রাইন ওয়েস্টফিলিয়া রাজ্যে দুই শরণার্থীর করা আবেদনের জবাবে কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত ভাতা বাড়ানোর এ রায় দেন। জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য-সংক্রান্ত আইনের ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় সাংবিধানিক আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ কির্চহফ বলেন, 'সংবিধানে সব মানুষকে জীবনধারণের উপযোগী সাহায্য দেওয়ার বিধান রয়েছে। নাগরিকত্বের ঊধর্ে্ব সবার জন্যই এই সুবিধা প্রযোজ্য। জার্মান নাগরিক ও জার্মানিতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সমান। মানবিক মর্যাদার বিষয়টি অভিবাসন আইনের আওতায় বিচার করা সংগত নয়।'
ধারণা করা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশের কারণে শরণার্থীদের মাসিক ভাতা ৩৩৬ ইউরো পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। এ রায়ে জার্মানিতে অবস্থানরত প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার শরণার্থী লাভবান হবে।
জার্মানির শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, রায়ের সঙ্গে সংগতি রেখে শরণার্থীদের কল্যাণ ভাতার বিষয়ে আইন প্রণয়নে শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইউরোপীয় পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাট জানায়, ২০১১ সালে জার্মানি ইউরোপের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ব্যক্তিকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের ওপরে আছে কেবল যুক্তরাজ্য। ওই সময়ে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে ১৪ হাজার ৪০০ জনকে। সূত্র : এএফপি, পিটিআই।
সাংবিধানিক আদালত বলেন, জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থী বিদেশি নাগরিক ও বেকার জার্মানদের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কল্যাণ ভাতার ব্যাপারে পার্থক্য থাকা উচিত নয়। বসবাসের অনুমতির ব্যাপারে জার্মান কর্তৃপক্ষের জবাবের অপেক্ষায় থাকা শরণার্থীদের দেওয়া সাহায্যের পরিমাণ জার্মান নাগরিকদের বেকার ভাতার সমান হওয়া উচিত। ১৯৯৩ সালের পর শরণার্থীদের ভাতা আর না বাড়ানোর ঘটনাকে অসাংবিধানিক বলেও সমালোচনা করেন আদালত। জার্মানিতে অবস্থানকারী প্রাপ্তবয়স্ক শরণার্থীদের বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ২৪০ ইউরো করে দেওয়া হয়। প্রায় ২০ বছর ধরে ভাতার পরিমাণ একই আছে। যদিও এ সময়ের মধ্যে জীবনধারণের ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। শরণার্থীদের বিপরীতে বেকার জার্মান নাগরিকরা মাসে পায় ৩৭৪ ইউরো করে।
আদালত শরণার্থীদের কল্যাণ ভাতার নীতি শিগগিরই সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে নতুন আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীদের ভাতা এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাড়তি ভাতার বিষয়টি ২০১১ থেকে কার্যকর ধরা হবে।
নর্থ রাইন ওয়েস্টফিলিয়া রাজ্যে দুই শরণার্থীর করা আবেদনের জবাবে কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত ভাতা বাড়ানোর এ রায় দেন। জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য-সংক্রান্ত আইনের ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় সাংবিধানিক আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ কির্চহফ বলেন, 'সংবিধানে সব মানুষকে জীবনধারণের উপযোগী সাহায্য দেওয়ার বিধান রয়েছে। নাগরিকত্বের ঊধর্ে্ব সবার জন্যই এই সুবিধা প্রযোজ্য। জার্মান নাগরিক ও জার্মানিতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সমান। মানবিক মর্যাদার বিষয়টি অভিবাসন আইনের আওতায় বিচার করা সংগত নয়।'
ধারণা করা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশের কারণে শরণার্থীদের মাসিক ভাতা ৩৩৬ ইউরো পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। এ রায়ে জার্মানিতে অবস্থানরত প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার শরণার্থী লাভবান হবে।
জার্মানির শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, রায়ের সঙ্গে সংগতি রেখে শরণার্থীদের কল্যাণ ভাতার বিষয়ে আইন প্রণয়নে শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইউরোপীয় পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাট জানায়, ২০১১ সালে জার্মানি ইউরোপের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ব্যক্তিকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের ওপরে আছে কেবল যুক্তরাজ্য। ওই সময়ে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে ১৪ হাজার ৪০০ জনকে। সূত্র : এএফপি, পিটিআই।
No comments