বলিউড-আবারও সোনাক্ষী
তাঁঁর ঝুলিতে এখন পর্যন্ত ১৪টি পুরস্কার। মুক্তির অপেক্ষায় ছয়টি ছবি। হাতে আছে আরও পাঁচটি। চারটি পণ্যের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার’ তিনি। তাঁর পারিশ্রমিক ছবিপিছু তিন কোটি রুপি ছুঁইছুঁই। দুই বছর আগে তাঁর শেষ ছবি মুক্তি পেয়েছে।
কে বলবে, এত কিছু অর্জন করেছেন যে অভিনেত্রী, তাঁর এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে! শত্রুঘ্ন সিনহার মেয়ে বলেই কি না সোনাক্ষী সিনহা শুরু থেকেই পত্রিকা কাঁপিয়েছেন! ওইভাবে পর্দা কাঁপানোর সুযোগ এখনো তাঁর হয়নি। কারণ, দাবাং ছবিতে তিনি ছিলেন অনেকটা শোপিসের মতো। পত্রিকার পাতায় সচেতনভাবেই নিয়মিত হতে চেয়েছিলেন এই দাবাংকন্যা। তাঁর মতে, ‘চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল।’ দর্শকের মনের আড়াল হতে তিনি চাননি। অবশ্য এখন সোনাক্ষী চাইলেও আড়াল হতে পারবেন না। আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে সোনাক্ষী অভিনীত দ্বিতীয় ছবি রাউডি রাথোর। সঞ্জয় লীলা বানসালির মতো পরিচালক, যিনি কিনা সব সময়ই সংবেদনশীল ছবি নির্মাণে দক্ষ, প্রথমবারের মতো বিনোদনে ভরপুর মসলাদার ছবি প্রযোজনা করেছেন। ছবি পরিচালনার ভার বানসালি অর্পণ করেছেন নৃত্যপরিচালক এবং ওয়ান্টেড ছবির পরিচালক প্রভু দেবার ঘাড়ে। হিসাবকেতাব এক করে অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, ১০০ কোটি রুপির ক্লাবে সোনাক্ষীর দ্বিতীয় ছবি হতে যাচ্ছে রাউডি রাথোর। ছবিটি ব্লকবাস্টার হিট না হওয়ার কোনো কারণ নেই। অবশ্য সোনাক্ষীর মেকআপ-গেটআপ নিয়ে কথা হচ্ছে বেশ। সোনাক্ষীর প্রথম ছবির রাজ্জো চরিত্রের সঙ্গে এই নতুন ছবির ‘পারো’ চরিত্রের তফাতটা বের করতে পারছেন না কেউই। দুই ছবিতে সোনাক্ষীকে প্রায় একই রকম লাগছে। এ বিষয়ে সোনাক্ষীর জবাব, ‘আগে তো ছবিটি মুক্তি পেতে দিন। তারপর না হয় অভিযোগটি করবেন! আমার মতে, দুটি চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। তবে হ্যাঁ, দুটি চরিত্রই পাক্কা ভারতীয়। মিল বলতে এতটুকুই।’
সালমান খানের পর এবার সোনাক্ষী নায়ক হিসেবে পেয়েছেন অক্ষয় কুমারকে। শুধু তা-ই নয়, প্রায় ২০ বছরের বড় অক্ষয়ের সঙ্গে সোনাক্ষী পরপর তিনটি ছবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে সোনাক্ষীর বক্তব্য, ‘পরিকল্পনা করে কখনো জুটি গড়িনি। কাকতালীয়ভাবে অক্ষয়ের সঙ্গে পরপর তিনটি কাজ করা হচ্ছে। তবে সুযোগ থাকলে অক্ষয়ের সঙ্গে প্রতিটি ছবি করতে চাই। কারণ, তাঁর কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।’ এখন পর্যন্ত কী কী শিখলেন সোনাক্ষী? ‘তারকা সত্তাকে বাড়িতে রেখে কী করে ইউনিটের সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে মিশতে হয়, তা অক্ষয়ের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। স্পটবয়, লাইটম্যান—সবাই আক্কি বলতে অজ্ঞান। এত বড় একজন সুপারস্টার, অথচ বিন্দুমাত্র অহমিকা নেই। তা ছাড়া এ বয়সে এতটা স্বাস্থ্যসচেতন, নিয়ম মেনে চলা অভিনেতা আমি খুব কমই দেখেছি। আমি প্রতিনিয়ত অক্ষয়ের কাছ থেকে শিখছি।’
তবে অন্য নায়কদের নিয়ে সোনাক্ষী যতই প্রশংসা করুন, তাঁর এ পর্যন্ত আসার পেছনে একজনের নামই তিনি বারবার নেবেন—সালমান খান। ‘সালমান না থাকলে আমি অভিনেত্রী হতাম না। আমার জীবনে ওঁর নাম বরাবরই স্পেশাল জোনে থাকবে।’ রাউডি রাথোর ছাড়া এ মুহূর্তে সোনাক্ষীর হাতে আছে ফারাহ খান-অক্ষয় কুমার প্রযোজিত শিরিশ কুন্দর পরিচালিত জোকার থ্রি ডি (অক্ষয়), অজয় দেবগন প্রযোজিত অশ্বিনী ধীর পরিচালিত সন অব সর্দার (অজয়), অনুরাগ কশ্যপ প্রযোজিত বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানী পরিচালিত লুটেরা (রণবীর সিং), আরবাজ খান প্রযোজিত এবং পরিচালিত দাবাং ২ (সালমান খান), একতা কাপুর প্রযোজিত মিলন লুথারিয়ার ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই ২ (অক্ষয় কুমার, ইমরান খান)। কিক (সালমান খান), কারনামা (রণবীর কাপুর) ছবিতেও সোনাক্ষীর কাজ করার কথা। শিডিউল জটিলতায় রেস ২ এবং দক্ষিণে কমল হাসান, রজনীকান্তের বিপরীতে কাজের সুযোগ হারিয়েছেন সোনাক্ষী।
আকাশে-বাতাসে কান পেতে শোনা যায়, লুটেরানায়ক রণবীর সিংয়ের সঙ্গে নাকি ডুবে ডুবে জল খাচ্ছেন মিস সিনহা। সোনাক্ষীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করুন, মহা বিরক্ত সোনাক্ষী এককথায় উত্তর সারবেন, ‘আমি আর কখনো প্রচারমাধ্যমে প্রাণ খুলে কথা বলব না।’ কেন? মিডিয়ার ওপর এত গোসসা করার হেতু কী? ‘আর বলবেন না! কফি উইদ করণ-এ করন জোহর প্রশ্ন করেছিলেন, নতুন প্রজন্মের কার সঙ্গে কাজ করতে চান? সে সময় ব্যান্ড বাজা বারাত দেখে মুগ্ধ হয়ে রণবীর সিংয়ের নাম বলেছিলাম। পরে পত্রিকায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি কোনো নায়কের সঙ্গে ডেটে যাওয়ার সুযোগ আসে, কার সঙ্গে যেতে চান? প্রশ্নটা মজার, আমিও মজা করে রণবীর সিংয়ের নাম বলেছিলাম। ব্যস, দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে সবাই মতৈক্যে পৌঁছালেন, আমরা দুটি প্রেমিক পায়রা!’ আসল ঘটনাটা কী? সোনাক্ষীর জীবনে কি কোনো পুরুষ নেই? ‘সত্যিটা শুনতে চান? তবে শুনুন। ব্যক্তি এবং অভিনেতা—কোনো দিক দিয়েই রণবীরের সঙ্গে আমার মিল নেই। আর আমার স্বপ্নপুরুষকে হতে হবে একজন মহা সুদর্শন পুরুষ। যার কাঁধে মাথা রেখে সারাটি জীবন কাটাতে পারব।’ সেকি! রণবীর কি তবে সুদর্শন পুরুষ নন?
‘আবার প্রশ্ন! প্লিজ!’ বিরক্ত সোনাক্ষী এবার বাড়ি যাওয়ার জন্য তাড়া দেন।
রুম্মান রশীদ খান
হিন্দুস্তান টাইমস, আইবিএন লাইভ, স্টারডাস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া ডট কম অবলম্বনে
সালমান খানের পর এবার সোনাক্ষী নায়ক হিসেবে পেয়েছেন অক্ষয় কুমারকে। শুধু তা-ই নয়, প্রায় ২০ বছরের বড় অক্ষয়ের সঙ্গে সোনাক্ষী পরপর তিনটি ছবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে সোনাক্ষীর বক্তব্য, ‘পরিকল্পনা করে কখনো জুটি গড়িনি। কাকতালীয়ভাবে অক্ষয়ের সঙ্গে পরপর তিনটি কাজ করা হচ্ছে। তবে সুযোগ থাকলে অক্ষয়ের সঙ্গে প্রতিটি ছবি করতে চাই। কারণ, তাঁর কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।’ এখন পর্যন্ত কী কী শিখলেন সোনাক্ষী? ‘তারকা সত্তাকে বাড়িতে রেখে কী করে ইউনিটের সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে মিশতে হয়, তা অক্ষয়ের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। স্পটবয়, লাইটম্যান—সবাই আক্কি বলতে অজ্ঞান। এত বড় একজন সুপারস্টার, অথচ বিন্দুমাত্র অহমিকা নেই। তা ছাড়া এ বয়সে এতটা স্বাস্থ্যসচেতন, নিয়ম মেনে চলা অভিনেতা আমি খুব কমই দেখেছি। আমি প্রতিনিয়ত অক্ষয়ের কাছ থেকে শিখছি।’
তবে অন্য নায়কদের নিয়ে সোনাক্ষী যতই প্রশংসা করুন, তাঁর এ পর্যন্ত আসার পেছনে একজনের নামই তিনি বারবার নেবেন—সালমান খান। ‘সালমান না থাকলে আমি অভিনেত্রী হতাম না। আমার জীবনে ওঁর নাম বরাবরই স্পেশাল জোনে থাকবে।’ রাউডি রাথোর ছাড়া এ মুহূর্তে সোনাক্ষীর হাতে আছে ফারাহ খান-অক্ষয় কুমার প্রযোজিত শিরিশ কুন্দর পরিচালিত জোকার থ্রি ডি (অক্ষয়), অজয় দেবগন প্রযোজিত অশ্বিনী ধীর পরিচালিত সন অব সর্দার (অজয়), অনুরাগ কশ্যপ প্রযোজিত বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানী পরিচালিত লুটেরা (রণবীর সিং), আরবাজ খান প্রযোজিত এবং পরিচালিত দাবাং ২ (সালমান খান), একতা কাপুর প্রযোজিত মিলন লুথারিয়ার ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই ২ (অক্ষয় কুমার, ইমরান খান)। কিক (সালমান খান), কারনামা (রণবীর কাপুর) ছবিতেও সোনাক্ষীর কাজ করার কথা। শিডিউল জটিলতায় রেস ২ এবং দক্ষিণে কমল হাসান, রজনীকান্তের বিপরীতে কাজের সুযোগ হারিয়েছেন সোনাক্ষী।
আকাশে-বাতাসে কান পেতে শোনা যায়, লুটেরানায়ক রণবীর সিংয়ের সঙ্গে নাকি ডুবে ডুবে জল খাচ্ছেন মিস সিনহা। সোনাক্ষীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করুন, মহা বিরক্ত সোনাক্ষী এককথায় উত্তর সারবেন, ‘আমি আর কখনো প্রচারমাধ্যমে প্রাণ খুলে কথা বলব না।’ কেন? মিডিয়ার ওপর এত গোসসা করার হেতু কী? ‘আর বলবেন না! কফি উইদ করণ-এ করন জোহর প্রশ্ন করেছিলেন, নতুন প্রজন্মের কার সঙ্গে কাজ করতে চান? সে সময় ব্যান্ড বাজা বারাত দেখে মুগ্ধ হয়ে রণবীর সিংয়ের নাম বলেছিলাম। পরে পত্রিকায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি কোনো নায়কের সঙ্গে ডেটে যাওয়ার সুযোগ আসে, কার সঙ্গে যেতে চান? প্রশ্নটা মজার, আমিও মজা করে রণবীর সিংয়ের নাম বলেছিলাম। ব্যস, দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে সবাই মতৈক্যে পৌঁছালেন, আমরা দুটি প্রেমিক পায়রা!’ আসল ঘটনাটা কী? সোনাক্ষীর জীবনে কি কোনো পুরুষ নেই? ‘সত্যিটা শুনতে চান? তবে শুনুন। ব্যক্তি এবং অভিনেতা—কোনো দিক দিয়েই রণবীরের সঙ্গে আমার মিল নেই। আর আমার স্বপ্নপুরুষকে হতে হবে একজন মহা সুদর্শন পুরুষ। যার কাঁধে মাথা রেখে সারাটি জীবন কাটাতে পারব।’ সেকি! রণবীর কি তবে সুদর্শন পুরুষ নন?
‘আবার প্রশ্ন! প্লিজ!’ বিরক্ত সোনাক্ষী এবার বাড়ি যাওয়ার জন্য তাড়া দেন।
রুম্মান রশীদ খান
হিন্দুস্তান টাইমস, আইবিএন লাইভ, স্টারডাস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া ডট কম অবলম্বনে
No comments