গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত ড. ইউনূস
গ্রামীণ ব্যাংককে রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনি রাজনৈতিকভাবে যে দলেরই হোন, পেশাগতভাবে যে পেশারই হোন, যে বয়সীই হোন,
যেকোনো অবস্থাতেই থাকুন, আমরা একযোগে সরকারকে বুঝাবার চেষ্টা করতে পারি যে, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনকাঠামো পরিবর্তন করা মোটেই সঠিক কাজ হবে না।’
প্রসঙ্গত, ১৫ মে সাবেক সচিব মামুনুর রশীদকে প্রধান করে গ্রামীণসম্পর্কিত তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। এর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গরিব মহিলাদের মালিকানা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বময় ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হবে গ্রামীণ ব্যাংককে তার মূল লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া। যেকোনো রকম ব্যাখ্যা সৃষ্টি করে এ রকম একটা পদক্ষেপ নেওয়ার অর্থ হবে গ্রামীণ ব্যাংককে অন্য আরেক ধরনের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা। যে আইন, ব্যবস্থাপনা কাঠামো, কর্মপদ্ধতিকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানসমূহের অন্যতম হতে পেরেছে, সেই বিশ্বজয়ী ফর্মুলাকে অবশ্যই অপরিবর্তিত রাখতে হবে।
ড. ইউনূসের মতে, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনকাঠামোর পরিবর্তন করে সরকারের ভূমিকা বাড়ানো হলে গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে। তিনি বলেন, ‘সারা দুনিয়ার মানুষ গ্রামীণ ব্যাংকের দিকে বিস্ময় ও সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে দেখে। এই ব্যাংক এ দেশের জন্য পৃথিবীতে একটা স্থায়ী সম্মানের আসন তৈরি করে দিয়েছে। এর প্রতি আমাদের সরকার একটু সদয় হবে, ভাবনাচিন্তা করে কাজ করবে, এটাই আমরা সবাই আশা করব। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে একটা জাতীয় ঐকমত্য থাকা দরকার। কারণ, এটা আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতিষ্ঠান।’
প্রসঙ্গত, ১৫ মে সাবেক সচিব মামুনুর রশীদকে প্রধান করে গ্রামীণসম্পর্কিত তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। এর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গরিব মহিলাদের মালিকানা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বময় ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হবে গ্রামীণ ব্যাংককে তার মূল লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া। যেকোনো রকম ব্যাখ্যা সৃষ্টি করে এ রকম একটা পদক্ষেপ নেওয়ার অর্থ হবে গ্রামীণ ব্যাংককে অন্য আরেক ধরনের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা। যে আইন, ব্যবস্থাপনা কাঠামো, কর্মপদ্ধতিকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানসমূহের অন্যতম হতে পেরেছে, সেই বিশ্বজয়ী ফর্মুলাকে অবশ্যই অপরিবর্তিত রাখতে হবে।
ড. ইউনূসের মতে, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনকাঠামোর পরিবর্তন করে সরকারের ভূমিকা বাড়ানো হলে গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে। তিনি বলেন, ‘সারা দুনিয়ার মানুষ গ্রামীণ ব্যাংকের দিকে বিস্ময় ও সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে দেখে। এই ব্যাংক এ দেশের জন্য পৃথিবীতে একটা স্থায়ী সম্মানের আসন তৈরি করে দিয়েছে। এর প্রতি আমাদের সরকার একটু সদয় হবে, ভাবনাচিন্তা করে কাজ করবে, এটাই আমরা সবাই আশা করব। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে একটা জাতীয় ঐকমত্য থাকা দরকার। কারণ, এটা আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতিষ্ঠান।’
No comments